আইসিবি সিকিউরিটিজ ট্রেডিং কোম্পানি লিমিটেডের (আএসটিসিএল) ক্রয়ক্ষমতা বাড়াতে সিকিউরিটিজ কেনার সীমা ১০ কোটি থেকে বাড়িয়ে ৫০ কোটি টাকা করার খবরে শুরুতে বড় উত্থান হয়। তবে দিনের লেনদেন শেষে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) বেশির ভাগ কোম্পানির দর কমেছে। এতে কমেছে সূচক।
বাংলাদেশের সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) আইসিবি ক্রয় ক্ষমতা বাড়ানোর ঘোষণায় গতকাল লেনদেনের শুরুতেই সূচকের বড় উত্থান হয়। লেনদেনের একপর্যায়ে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান মূল্যসূচক ৯১ পয়েন্ট বেড়ে যায়। কিন্তু এর পরই হঠাৎ বিক্রির চাপ বেড়ে যায়। দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইতে দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে ১০২টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের। বিপরীতে দাম কমেছে ২৩৫টি প্রতিষ্ঠানের। আর ৫৬টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। ফলে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স ২২ পয়েন্ট কমে ৫ হাজার ৩৭১ পয়েন্টে নেমে গেছে। সবকটি মূল্যসূচক কমলেও ডিএসইতে লেনদেনের পরিমাণ বেড়েছে। দিনভর বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৫৯১ কোটি ৬২ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ৫৬১ কোটি ২১ লাখ টাকা। সে হিসেবে লেনদেন বেড়েছে ৩০ কোটি ৪১ লাখ টাকা। টাকার অঙ্কে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে ওরিয়ন ফার্মার শেয়ার। কোম্পানিটির ৪৩ কোটি ৬৭ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা লাভেলো আইসক্রিমের ২১ কোটি ২৫ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। ২১ কোটি ১৯ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে এশিয়াটিক ল্যাবরেটরিজ। অন্যদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক মূল্যসূচক সিএএসপিআই কমেছে ৪৬ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ২৪১টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৭২টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১৪১টির এবং ২৮টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। লেনদেন হয়েছে ৭ কোটি ৫৫ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ৭০ কোটি ১৩ লাখ টাকা।