বৃহস্পতিবার, ৩০ মে, ২০২৪ ০০:০০ টা

অগ্রণী ব্যাংক এজিএমসহ সাতজনের বিরুদ্ধে মামলা

জমির জাল দলিল মর্টগেজ রেখে ঋণ

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রায় ২০ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে অগ্রণী ব্যাংকের সহকারী মহাব্যবস্থাপকসহ (এজিএম) সাতজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, ঋণের মর্টগেজ করা জমির জাল কাগজপত্র তৈরির মাধ্যমে তা আসল হিসেবে ব্যাংকে দাখিল করা হয়। গতকাল দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় গোপালগঞ্জে মামলাটি করেন সংস্থাটির সহকারী পরিচালক সোহরাব হোসেন। দুদক বলছে, আসামিরা জালিয়াতির মাধ্যমে অগ্রণী ব্যাংকের গোপালগঞ্জ পৌর সুপার মার্কেট শাখা থেকে ২০ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছেন। মামলার আসামিরা হলেন- অগ্রণী ব্যাংকের সহকারী মহাব্যবস্থাপক শফিকুর রহমান, প্রিন্সিপাল অফিসার মুজাহিদুল ইসলাম, গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের এমএলএসএস রেজাউল করিম, বাস শ্রমিক আরমান মোল্লা, পারভীন আক্তার, পাপিয়া বেগম ও আইনজীবী সৌরেন্দ্র নাথ মন্ডল। মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, মেসার্স রেজাউল ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী রেজাউল করিম ইট, বালু ও মাটির ব্যবসার জন্য অগ্রণী ব্যাংকের ওই শাখায় আবেদন করেন। শাখাটির তৎকালীন ঋণ কর্মকর্তা মুজাহিদুল ইসলাম ও শাখা ব্যবস্থাপক শফিকুর রহমান গ্রাহকের অনুকূলে ঋণ মঞ্জুরের সুপারিশ করেন।

পরে অগ্রণী ব্যাংক পিএলসির আঞ্চলিক কার্যালয় গোপালগঞ্জে ঋণ প্রস্তাব পাঠানো হলে ৭ লাখ টাকা ঋণ মঞ্জুর করা হয়। ঋণ অনুমোদনের বিপরীতে গ্রাহক উপস্থাপিত ও ব্যাংক কর্মকর্তাদের যাচাই করা গোপালগঞ্জ জেলার সদর থানাধীন জমি মর্টগেজ রেখে ঋণ বিতরণ করা হয়।

দুদক জানায়, মেসার্স রেজাউল ট্রেডার্সের নামে নেওয়া ঋণটি ২০১৩ সালে ২০ লাখ টাকায় বাড়ানোর সময় ভিন্ন তিনটি তফসিলের মোট ২৮ দশমিক ৪৮ শতাংশ জমি মর্টগেজ রাখা হয়। ওই মর্টগেজ করা ভূমির মধ্যে ৭ শতাংশ জমি রেজাউল করিম তার বোন পারভীন আক্তারের কাছ থেকে হেবামূলে প্রাপ্ত দেখিয়ে ভুয়া নামজারি মর্টগেজ সম্পাদন করেন। ঘোষেরচর মৌজার ১১ দশমিক ২৩ শতাংশ জমির ভুয়া নামজারি তৈরি করে রেজাউল করিম ও আরমান মোল্লা মর্টগেজ সম্পাদন করেন। ঘোষেরচর মৌজার ১০ দশমিক ২৫ শতাংশ বিক্রীত জমি পারভীন আক্তার মর্টগেজ রাখেন। পাপিয়া বেগম ওই ঋণের গ্যারান্টি এবং অগ্রণী ব্যাংক পিএলসির গোপালগঞ্জ পৌর সুপার মার্কেট শাখার প্যানেলভুক্ত আইনজীবী হিসেবে ওই ঋণ জালিয়াতির সঙ্গে জড়িত।

সর্বশেষ খবর