রবিবার, ২ জুন, ২০২৪ ০০:০০ টা

রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে অব্যাহত প্রণোদনা চায় বিজিএমইএ

নিজস্ব প্রতিবেদক

বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সভাপতি এস এম মান্নান কচি বলেছেন, ২০৩০ সাল নাগাদ ১০ হাজার কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করেছে বিজিএমইএ। এ জন্য ২০২৯ সাল পর্যন্ত প্রণোদনা অব্যাহত রাখার পাশাপাশি পোশাক খাতের জন্য প্রয়োজনীয় সেবা ভ্যাটমুক্ত রাখা হোক। একই সঙ্গে প্রণোদনার জন্য দেওয়া নগদ অর্থ সহায়তার ওপর আয়কর কর্তনের হার ১০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ করার দাবি জানাই। গতকাল রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত অর্থনীতিবিষয়ক সাংবাদিকদের সঙ্গে বিজিএমইএর মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিজিএমইএর সাবেক সভাপতি আবদুস সালাম মুর্শেদী এমপি, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র ও বিজিএমইএর সাবেক সভাপতি আতিকুল ইসলাম, আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্যবিষয়ক সম্পাদক এবং বিজিএমইএর সাবেক সভাপতি মো. সিদ্দিকুর রহমানসহ বিজিএমইএর নেতৃবৃন্দ। বিজিএমইএ সভাপতি আরও বলেন, পোশাক রপ্তানির  ক্ষেত্রে উৎসে কর ১ শতাংশ থেকে কমিয়ে আগের মতো শূন্য দশমিক ৫ শতাংশ করে তা আগামী ৫ বছর পর্যন্ত কার্যকর করা হোক। এ ছাড়া আসন্ন বাজেটে রপ্তানির স্বার্থে অগ্নি ও নিরাপত্তা সরঞ্জাম আমদানির ওপর কর রেয়াতসহ বিকল বা নষ্ট সরঞ্জাম প্রতিস্থাপনেও রেয়াতি সুবিধা দেওয়ার দাবি জানান তিনি। একইসঙ্গে আমদানি পণ্য খালাস এবং রপ্তানি পণ্য ছাড়করণ ও পণ্য চালান জাহাজীকরণে ওজনের ক্ষেত্রে এইচএস কোড সংক্রান্ত জটিলতা দূর করার দাবি জানান তিনি। এস এম মান্নান কচি বলেন, পোশাক রপ্তানি বাণিজ্যের স্বার্থে আমদানি রপ্তানির প্রক্রিয়াগুলো ব্যবসাবান্ধব, দ্রুততর ও সহজ করা প্রয়োজন। শ্রমিকদের জন্য ফুড রেশনিং বাবদ বিশেষ তহবিল বরাদ্দ ও নন-কটন পোশাক রপ্তানি খাতে বিনিয়োগে সহায়তা দেওয়া প্রয়োজন।

বর্তমান বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে দেশের পোশাক শিল্পের জন্য প্রস্তাবিত এসব সুবিধা দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে বড় ভূমিকা রাখবে বলেও জানান তিনি।

সর্বশেষ খবর