সোমবার, ৩ জুন, ২০২৪ ০০:০০ টা

সলঙ্গা গণহত্যা স্পটে স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণে হাই কোর্টের নির্দেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক

বিগত ১৯২২ সালের ২৭ জানুয়ারি সিরাজগঞ্জের সলঙ্গা হাটে ব্রিটিশ পুলিশের নৃশংস হত্যাযজ্ঞ সংঘটনের স্থানে স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণের নির্দেশ দিয়েছেন হাই কোর্ট। সিরাজগঞ্জের স্থানীয় বাসিন্দা সুপ্রিম কোর্টের ১১ আইনজীবীর করা রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে গতকাল বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি এস এম মাসুদ হোসাইন দোলনের হাই কোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন।

রুলে সলঙ্গা গণহত্যা দিবস, ২৭ জানুয়ারিকে জাতীয় দিবসের স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়েছেন হাই কোর্ট। রিটের বিবাদীরা হচ্ছেন- মন্ত্রিপরিষদ সচিব, সংস্কৃতি সচিব, জনপ্রশাসন সচিব, সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসক এবং রায়গঞ্জ ও উল্লাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মো. আসাদ উদ্দিন।

 ১১ জন আইনজীবী হলেন- মো. আসাদ উদ্দিন, মো. কাওসার আলী, মো. বদরুদ্দোজা বাবু, মো. গোলাম হাসনায়েন, মো. হারুনর রশিদ, মো. গোলাম কিবরিয়া, রোকসানা সুলতানা, জহিরুল হক কিসলু, ব্যারিস্টার মো. আবদুল বাতেন শেখ, মো. হেকাম আলী শিমুল ও মো. মোরশেদুল ইসলাম। পরে আইনজীবী মো. আসাদ উদ্দিন বলেন, ১৯২২ সালের ২৭ জানুয়ারি ছিল সলঙ্গা হাটের দিন। সেদিন যুবক আবদুর রশিদের (যিনি বাংলাদেশ গণপরিষদের প্রথম অধিবেশনের সভাপতি ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি ‘মাওলানা আবদুর রশিদ তর্কবাগীশ’ নামে পরিচিত) নেতৃত্বে সলঙ্গা হাটে চলতে থাকে ব্রিটিশ পণ্য বর্জনের প্রচারাভিযান। ‘বিলেতি পণ্য বর্জন কর, এ দেশ থেকে ব্রিটিশ হটাও’- স্লোগানে স্বেচ্ছাসেবকদের প্রচারাভিযান যখন তুঙ্গে তখন কংগ্রেস অফিস থেকে আবদুর রশিদকে গ্রেফতার করা হয়।

 ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই সেদিন ব্রিটিশ বেনিয়াদের নৃশংসতার রক্তাক্ত অধ্যায় বিরচিত হয় সলঙ্গায়।

মো. আসাদ উদ্দিন বলেন, সলঙ্গা বিদ্রোহের বয়স ১০০ বছর পার হয়েছে। এত বছর পরও দিবসটি জাতীয় দিবস হিসেবে ঘোষণা ও একটি স্মৃতিস্তম্ভ স্থাপন না হওয়া অত্যন্ত দুঃখজনক। জাতি হিসেবে এটি আমাদের জন্য ব্যর্থতা ও লজ্জার বটে। তাই একজন সলঙ্গাবাসী এবং সচেতন নাগরিক হিসেবে বিষয়টি অত্যন্ত যৌক্তিক ও গুরুত্বপূর্ণ বিবেচনায় এ রিটটি দায়ের করা হয়।

সর্বশেষ খবর