শিরোনাম
সোমবার, ৩ জুন, ২০২৪ ০০:০০ টা
দুর্যোগ ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী

রিমালে ৭ হাজার কোটি টাকা ক্ষতি

নিজস্ব প্রতিবেদক

ঘূর্ণিঝড় রিমালের আঘাতে দেশের ২০ জেলায় ৬ হাজার ৮৮০ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন দুর্যোগব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মো. মহিববুর রহমান। গতকাল সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এ তথ্য জানান।

ঘূর্ণিঝড় রিমালের সার্বিক বিষয় নিয়ে আন্তমন্ত্রণালয় সভা শেষে ব্রিফিংয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, গত ২৬ মে বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় ঘূর্ণিঝড় রিমাল আঘাত হানে। এর প্রভাবে উপকূলীয় বেশকিছু এলাকায় জলোচ্ছ্বাসের সৃষ্টি হয়। ফলে পানিতে নিমজ্জিত হয় এসব এলাকা। এ ছাড়া ১৬ জনের প্রাণহানি ঘটে। বেশকিছু রাস্তাঘাট, বেড়িবাঁধ, ঘরবাড়ি ও সামাজিক প্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ২০টি জেলার হিসাব পেয়েছি। তাতে ৬ হাজার ৮৮০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে।

কয়েকদিন ধরেই দুর্যোগ প্রস্তুতির জন্য নানা কার্যক্রম নেওয়া হয়েছে উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, সরকারের সব বিভাগের সঙ্গে সমন্বয় রেখে দুর্যোগপূর্ব কার্যক্রম পরিচালনা করেছি। এখন দুর্যোগ-পরবর্তী কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছি। ঘূর্ণিঝড় রিমাল আঘাত হানার পরের দিন আমি ব্যক্তিগতভাবে উপকূলীয় জেলার সংসদ সদস্যদের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করে স্থানীয় লোকজনের খোঁজখবর নিয়েছি।

ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে প্রতিমন্ত্রী জানান, এ পর্যন্ত ১৯টি জেলায় ক্ষতিগ্রস্তদের অনুকূলে ত্রাণ হিসেবে নগদ ৫ কোটি ৭৫ লাখ টাকা, ৫ হাজার ৫০০ মেট্রিক টন চাল, ৯ হাজার প্যাকেট শুকনা খাবার, ২০০ বান্ডিল ঢেউটিন, গো-খাদ্যের জন্য ২ কোটি ৪৫ লাখ টাকা এবং শিশুখাদ্য কেনার জন্য ২ কোটি ৪৫ লাখ টাকা বিতরণ করা হয়েছে।

তিনি বলেন, সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের বিভাগ, দফতর-সংস্থা, স্থানীয় প্রশাসন, বিভিন্ন স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দসহ আওয়ামী লীগ এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন দুর্গতদের পাশে দাঁড়িয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের পরপরই আমি ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা খুলনার কয়রা, ভোলার চরফ্যাশন এবং পটুয়াখালীর কলাপাড়া ও রাঙ্গাবালী পরিদর্শন করেছি এবং ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে ত্রাণ ও জরুরি সেবা পৌঁছানো নিশ্চিত করেছি। গত ৩০ জুন প্রধানমন্ত্রী ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শনের জন্য পটুয়াখালীর কলাপাড়া যান। সেখানে তিনি ঘূর্ণিঝড়ে আক্রান্তদের মধ্যে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করেছেন।

প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, কয়েকদিন ধরে সিলেট, সুনামগঞ্জ ও দিনাজপুর জেলায় বন্যা দেখা দিয়েছে। বন্যার্তদের সাহায্যার্থে সিলেটে ২০ লাখ টাকা, ৫০০ মেট্রিক টন চাল, ১০ লাখ টাকার গো-খাদ্য এবং ১০ লাখ টাকার শিশুখাদ্য বিতরণ করা হয়েছে। সুনামগঞ্জে ১৫ লাখ টাকা নগদ, ৫ লাখ টাকার গো-খাদ্য এবং ৫ লাখ টাকার শিশুখাদ্য বিতরণ করা হয়। দিনাজপুরে ১৫ লাখ টাকার নগদ অর্থ এবং ৩ লাখ টাকার শুকনো ও অন্যান্য খাবার বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

সর্বশেষ খবর