মঙ্গলবার, ১১ জুন, ২০২৪ ০০:০০ টা

প্রতিরক্ষা খাতে সহযোগিতা দিতে চায় ইইউ : রাষ্ট্রদূত

নিজস্ব প্রতিবেদক

ঢাকায় নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি বলেছেন, প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা খাতে বাংলাদেশের সঙ্গে আমরা কাজ করতে চাই। এ বিষয়ে সহযোগিতা দিতে আগ্রহী ইউরোপীয় ইউনিয়ন। জাতীয় প্রেস ক্লাবে গতকাল ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশ (ডিক্যাব) আয়োজিত ‘ডিক্যাব টক’ অনুষ্ঠানে এ আগ্রহের কথা জানান রাষ্ট্রদূত।

রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশের মোট দেশীয় উৎপাদনের তুলনায় মোট ঋণ ৩৭ শতাংশের বেশি নয়। এই অবস্থায় আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল সন্তুষ্ট এবং তারা বাংলাদেশকে সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশ কখনোই ঋণ পরিশোধে ব্যর্থ হয়নি। এটি খুবই চমকপ্রদ বিষয়। এ জন্য ইউরোপিয়ান ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংক বাংলাদেশে বিনিয়োগে আগ্রহী। তিনি আরও বলেন, ১০ বছর আগের বাংলাদেশ আর বর্তমান বাংলাদেশের চিত্র ভিন্ন। বাংলাদেশকে উন্নত করার বিষয়ে সরকারের কাজ দৃশ্যমান। অনেক উন্নয়ন চোখে পড়ার মতো। বিশেষ করে প্রযুক্তি ও চিকিৎসাসহ বিভিন্ন খাতে উন্নতি করছে। বাংলাদেশ নিয়ে আমি খুবই আশাবাদী। তবে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ জলবায়ু সংকট মোকাবিলা করা। আমরা সবাই এই সংকট মোকাবিলায় সঙ্গী। চীনের বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ (বিআরআই) এবং ইইউর গ্লোবাল গেটওয়ে নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে রাষ্ট্রদূত বলেন, বিআরআই থেকে ইইউর গ্লোবাল গেটওয়ের অপার ভিন্ন। কারণ ইইউ শুধু টাকা দিচ্ছে না, প্রযুক্তি হস্তান্তর করছে। আমাদের লক্ষ্য কানেক্টিভিটি এবং গুণগত মানের প্রযুক্তি হস্তান্তর।

রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে ইইউর রাষ্ট্রদূত বলেন, রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশের অবস্থান প্রশংসনীয়। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে সবসময় পাশে থাকবে। এ সমস্যা সমাধানে অগ্রাধিকার দেবে।

গাজা ইস্যুতে ইইউর ভূমিকা নিয়ে চার্লস হোয়াইটলি বলেন, ফিলিস্তিন সরকার ও জনগণের সঙ্গে ইইউর সম্পর্ক খুবই ভালো। ফিলিস্তিনে ইইউ অনেক অর্থ সহায়তা দিয়ে থাকে। তবে ইইউ হামাসকে একটি সন্ত্রাসী সংগঠন মনে করে। শিগগিরই গাজায় হত্যাযজ্ঞ বন্ধ হওয়া উচিত। পাশাপাশি যাদের জিম্মি করা হয়েছে তাদেরও মুক্তি দেওয়া দরকার।

সর্বশেষ খবর