মঙ্গলবার, ১১ জুন, ২০২৪ ০০:০০ টা

বাজেটে বর্ধিত কর বিদেশি বিনিয়োগে বাধার সৃষ্টি করবে : ফরেন চেম্বার

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রস্তাবিত বাজেটে বিভিন্ন স্তরে কর ও ভ্যাট বাড়ানো হয়েছে। যা বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণে বাধার সৃষ্টি করবে। ফলে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আস্থার ঘাটতি সৃষ্টি হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে দেশীয় বিনিয়োগকারীরা বিনিয়োগ করলেও বিদেশি বিনিয়োগ আরও কমে যাবে। তারা তো যেখানে তুলনামূলক বেশি সুবিধা পাবেন সেখানে নতুন করে বিনিয়োগ করবেন। তাদের বিনিয়োগের মূল লক্ষ্য হলো বেশি (রিটার্ন) মুনাফা পাওয়া। উৎপাদন কিংবা নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি তাদের লক্ষ্য নয়।

গতকাল রাজধানীর হোটেল প্যানপ্যাসিফিক সোনারগাঁওয়ে বাজেটোত্তর সংবাদ সম্মেলনে ফরেন ইনভেস্টরস চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফআইসিসিআই-ফিকি) সভাপতি, ইউনিলিভার বাংলাদেশের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক জাভেদ আখতার এসব কথা বলেন। এফআইসিসিআইর সভাপতি বলেন, ব্যক্তিগত উদ্যোগে গঠিত হওয়া ইকোনমিক জোনের ইনভেস্টরদের বেশকিছু সুবিধার কমিটমেন্ট ছিল, হঠাৎ করেই তা প্রত্যাহার করা হয়েছে। এতে দেশের বিশ্বাসযোগ্যতার ক্ষেত্রে বিনিয়োগকারীদের মনে প্রশ্ন উঠবে। নতুন করে তারা হয়ত আর বিনিয়োগ করবেন না। আর পাইপলাইনে যেসব বিনিয়োগ আছে, তারাও রিথিঙ্ক করবেন। যার নেতিবাচক প্রভাব পড়বে এফডিআইতে। আর এফডিআই কমলে রিজার্ভ তো বাড়বে না। তিনি বলেন, দেশে অর্থনৈতিক অঞ্চল ও হাইটেক পার্কের জন্য বিশেষ কর ছাড় এবং ব্যবসার জন্য সুবিধা ঘোষণা করেছিল সরকার। সেই অনুযায়ী বৈদেশিক বিনিয়োগের পরিকল্পনা করা হয়। অনেক বিনিয়োগকারী জমি কিনেছেন এবং লোকবল নিয়োগসহ মূলধনী যন্ত্রপাতি আমদানি করেছেন। কিন্তু এবারের বাজেটে কিছু সুবিধা কমানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। এভাবে হঠাৎ করে নীতি পরিবর্তনে বিনিয়োগকারীদের সমস্যা হবে। কর বোঝা হবে। এসব বিষয়ে ডাটা এবং নীতির স্বচ্ছতা থাকতে হবে। তা না হলে বৈদেশিক বিনিয়োগ বাধাগ্রস্ত হবে। এফআইসিসিআইর সাবেক সভাপতি এবং বর্তমান উপদেষ্টা রূপালী হক চৌধুরী প্রতিবেশী দেশগুলোতে এফডিআইর ক্ষেত্রে দেওয়া বিভিন্ন সুবিধার কথা তুলে ধরে বলেন, বিনিয়োগের জন্য বাংলাদেশই একমাত্র গন্তব্য নয়।

তারা (বিনিয়োগকারী ও বিদেশি কোম্পানি) অন্যান্য দেশের সুবিধাগুলোর কথাও বিবেচনা করছেন। এসব সুবিধা কমানোর বিষয় তারা জেনে যাবেন। তখন বিনিয়োগ করবেন কিনা তা নিশ্চিত করে বলা যায় না।

সংগঠনটির উপদেষ্টা ও ব্রিটিশ আমেরিকান টোবাকো বাংলাদেশ লিমিটেডের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক শেহজাদ মুনিম বলেন, প্রমিজের (বিনিয়োগকারীদের বেনিফিট) ভিত্তিতে বিনিয়োগ করেছি। হঠাৎ করে পলিসি চেঞ্জ হয়ে গেলে এ বিনিয়োগকারীদের আরেকবার আনা কঠিন হবে।

সর্বশেষ খবর