নিবন্ধন বাতিলের সতর্কতা নোটিস ও বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ব্যয়ের হিসাব জমা দিয়েছে বাকি তিনটি দল। গত ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে ২৮টি দল অংশ নেয়। এর মধ্যে নির্ধারিত সময় ৭ এপ্রিলের মধ্যে ২৫টি দলীয় নির্বাচনি ব্যয়ের বিবরণী জমা দেয়।

বিলম্বের কারণে গণফ্রন্ট ও বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টিকে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা দিতে হয়েছে। তবে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগকে জরিমানা গুনতে হয়নি। গতকাল নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বৈঠক করে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের প্রতিনিধি দল। পরে দলটির সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বলেন, আমরা নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে কথা বলে যথেষ্ট খুশি হয়েছি। আরপিও অনুযায়ী যেটা লেখা আছে তা জানিয়ে দিয়েছি যে- আমরা কোনো খরচ করিনি। একটা দূরত্ব হয়তো ছিল, তারা হয়তো আমাদের লেখাটা স্পষ্ট করে বুঝতে পারেননি। এটা মিটে গেছে।

অশোক দেবনাথ বলেন, দলীয়ভাবে উনারা কোনো ব্যয় করেননি। ব্যক্তির ব্যয় হয়েছে। কমিশন এই বক্তব্য গ্রহণ করেছে। ৮ মে দেওয়া ওই তথ্য হিসাব বিবরণী হিসেবে গৃহীত হওয়ায় ১০ হাজার টাকা জরিমানা দিতে হয়নি তাদের। তবে অন্য দুটি দল জরিমানা দিয়েছে।

নির্বাচন কমিশনের নির্বাচনি সহায়তা ও সমন্বয় শাখার কর্মকর্তারা জানান, গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ অনুযায়ী নির্ধারিত সময়ের মধ্যে দলীয় ব্যয়ের হিসাব না দিলে ৩০ দিন সময় দিয়ে সতর্কতা নোটিস করা হয়। কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ, গণফ্রন্ট ও বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি- এ তিনটি দলকে জরিমানাসহ হিসাব বিবরণী দেওয়ার জন্য সময় বেঁধে দিয়েছিল ইসি। এর মধ্যে দুটি দল জমা দেয়। কিন্তু কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ গতকাল ইসির সঙ্গে বৈঠক করে বিষয়টির সুরাহা করে। বর্তমানে নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত দল রয়েছে ৪৪টি। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ, সংসদের প্রধান বিরোধী দল জাতীয় পার্টিসহ ২৮টি দল এবারের ভোটে অংশ নিয়েছে। অন্যদিকে বিএনপিসহ ১৬টি দল নির্বাচন বর্জন করেছে।