শিরোনাম
বুধবার, ১২ জুন, ২০২৪ ০০:০০ টা

ঢাকার পশুর হাটে কাল থেকে বিক্রি

নিজস্ব প্রতিবেদক

ঈদুল আজহার বাকি মাত্র চার দিন। ইতোমধ্যে রাজধানীর হাটগুলো পশুতে ভরে গেছে। ক্রেতারা হাটে আসছেন, দরদাম করছেন। তবে টুকটাক বিক্রি হলেও সিটি করপোরেশনের নিয়ম অনুযায়ী বৃহস্পতিবার থেকে আনুষ্ঠানিক বিক্রি শুরু হবে। যদিও ব্যাপারিরা বলছেন, সরকারি ছুটি শুরু হলে বিক্রি বাড়বে। এদিকে আজ ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন কোরবানির পশুর হাটে স্মার্ট ডিজিটাল লেনদেন ব্যবস্থার উদ্বোধন করবে।

প্রতিবারের মতো দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে গরু-ছাগল আসতে শুরু করেছে রাজধানীর বিভিন্ন কোরবানির পশুর হাটে।

 হাটে গিয়ে পছন্দের পশু ও দামের খোঁজখবরও নিতে শুরু করেছেন ক্রেতারাও। একাধিক পাইকার জানান, এবার তাদের খামারে যে পরিমাণ গরু আছে তাতে সংকট হবে না। তবে খাদ্যের দাম বাড়াতে গরু লালন-পালনে খরচ বেড়েছে। এতে গত বছরের চেয়ে এবার পশুর দাম তুলনামূলক বেশি হবে।

রাজধানীর উত্তরা ১০ নম্বর সেক্টর হাটটিতেও ট্রাকভর্তি পশু আসতে দেখা গেছে। হাটটির বাঁশের খুঁটিতে সারি সারি গরু বেঁধে রাখতে দেখা গেছে। টুকটাক বিক্রি হলেও এখনো সেভাবে জমে ওঠেনি। বিক্রেতারা বলছেন, অনেকে আসছেন, দেখছেন, দরদাম জিজ্ঞেস করে চলে যাচ্ছেন। হাটের ইজারাদার মো. মামুন বাচ্চু বলেন, উত্তরা ১০ নম্বর সেক্টর হাটটি নতুন। এখানে সব ধরনের প্রস্তুতির কাজ প্রায় শেষ। এরই মধ্যে ব্যাপারিরা হাটে গরু নিয়ে আসছেন। বুধ ও বৃহস্পতিবারের মধ্যে আশা করি হাটটি পশুতে ভর্তি হয়ে যাবে। কেনাবেচাও শুরু হবে। এই হাটে ব্যাপারিদের সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। হাটটি উত্তরা-টঙ্গী সড়কের কাছাকাছি হওয়ায় ক্রেতা-বিক্রেতারা সুবিধা পাবে। একই অবস্থা ভাটারা সাঈদ নগর হাটেও। ব্যাপারিরা পর্যাপ্ত পশু নিয়ে এলেও বেচাকেনা এখনো জমে ওঠেনি। তবে ঈদের দুই এক দিন আগে বিক্রি জমবে বলে আশা ব্যাপারি ও ইজারাদারদের।

মেরাদিয়া হাটটি বাজার থেকে দক্ষিণ বনশ্রী মসজিদ মার্কেট পর্যন্ত বিস্তৃত। একই সঙ্গে আশপাশের প্রধান সড়কসহ বনশ্রী ও দক্ষিণ বনশ্রী আবাসিক এলাকার সব গলিতে পশু উঠেছে। হাটটি পশুতে ভর্তি। ব্যাপারিরা কেউ গরুকে খাবার, কেউ আবার ক্লান্ত শরীরে রাস্তার কাছে কিংবা পশুর জন্য আনা খাবারের বস্তার ওপরই ঘুমাচ্ছেন। ক্রেতাদের অনেকে হাটে এসে কোরবানির পশু দেখছেন। অনেকে দরদাম করছেন। ব্যাপারিরা টুকটাক বিক্রিও করছেন। তবে এখনো তেমনভাবে বেচাকেনা শুরু হয়নি এই হাটে। দক্ষিণ বনশ্রীর বাসিন্দা আজগর আলী পরিবার নিয়ে এসেছেন গরু দেখতে। কথা হলে তিনি বলেন, কোরবানির জন্য গরু কিনতে এসেছি। সামর্থ্যরে মধ্যে ছোট গরু কেনার জন্য এসেছি। তবে দাম একটু বেশি মনে হচ্ছে। গত বছর যে গরু ৫০ হাজার টাকায় বিক্রি হয়েছে এবার তা ৭০ হাজার চাচ্ছে। দেখি গরু পছন্দ এবং দামে মিলে গেলে কিনব।

সোমবার সন্ধ্যায় ঝিনাইদহ থেকে ট্রাকে করে কয়েকজন ব্যাপারি ২১টি গরু নিয়ে আসেন মেরাদিয়া হাটে। তাদের মধ্যে সাইদুল করিম নামের একজন তিন বছর বয়সি একটি মাঝারি আকারের দেশি জাতের গরু নিয়ে এসেছেন। গরুটি তিনি লালন পালন করেছেন। এবারই প্রথম তিনি ঢাকায় কোরবানির গরু নিয়ে এসেছেন। তবে এখনো কোনো ক্রেতা আসেনি।

এদিকে আজ বুধবার ডিএনসিসি কোরবানির পশুর হাটে স্মার্ট লেনদেন ব্যবস্থার উদ্বোধন করবেন মেয়র আতিকুল ইসলাম। ডিএনসিসি ও বাংলাদেশ ব্যাংকের যৌথ উদ্যোগে এবং মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ ডেইরি ফারমার্স অ্যাসোসিয়েশনের সার্বিক সহায়তায় এই কার্যক্রম নেওয়া হয়েছে।

সর্বশেষ খবর