রবিবার, ১৬ জুন, ২০২৪ ০০:০০ টা

কিংস অ্যাওয়ার্ডে ফেঞ্চুগঞ্জের জিয়াউস

যুক্তরাজ্য অফিস

বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত সাবেক বিচারক জিয়াউস সামাদ চৌধুরীকে রাজা তৃতীয় চার্লস ‘মেম্বার অব দ্য ব্রিটিশ এম্পায়ার (এমবিই)’ খেতাবে সম্মানিত করেছেন। যুক্তরাজ্যের ওয়েস্টমিডল্যান্ডসে বাংলাদেশি কমিউনিটির কল্যাণে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ তাঁকে এ উপাধি দেওয়া হয়েছে।

ব্রিটেনের রাজা সামাজিক, সাংস্কৃতিক, রাজনীতি, অর্থনীতি, বিরল ব্যক্তিগত অর্জনসহ বিভিন্ন খাতে বিশেষ অবদান রাখার স্বীকৃতি হিসেবে ‘কিংস অ্যাওয়ার্ডস’ নামক এ সম্মাননা দিয়ে থাকেন।

রাজপ্রাসাদ ‘বাকিংহাম প্যালেস’ গতকাল কিংস অ্যাওয়ার্ডসে ভূষিত হওয়া ব্যক্তিদের একটি তালিকা প্রকাশ করে। এ তালিকায় ‘এমবিই’ খেতাবপ্রাপ্ত হিসেবে রয়েছেন সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার নুরপুর গ্রামের ৮৫ বছর বয়সি জিয়াউস সামাদ চৌধুরী। তাঁর ছোট দুই ভাই আহমদ-উস-সামাদ চৌধুরী ও প্রয়াত মাহমুদ-উস-সামাদ চৌধুরী এমপি দেশে-বিদেশে বহুলপরিচিত ও সম্মানিত। তাঁদের বাবা ফেঞ্চুগঞ্জের স্বনামধন্য ব্যক্তিত্ব মরহুম দেলোয়ার হোসেন চৌধুরী। জিয়াউস সামাদ পাঁচ সন্তানের জনক।

জিয়াউস সামাদ ‘বার্মিংহাম ম্যাজিস্ট্রেট কোর্ট’-এর সিনিয়র ম্যাজিস্ট্রেট এবং ‘জাস্টিস অব দ্য পিস (জেপি)’ ছিলেন। তিনি ওয়েস্টমিডল্যান্ডসের প্রথম কোনো বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ‘জাস্টিস অব দ্য পিস’। তিনি ২০০৪ সালে বিচারকের পদ থেকে অবসর নেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক হওয়ার পর তিনি ১৯৬৩ সালে উচ্চশিক্ষার জন্য যুক্তরাজ্যে আসেন।

জিয়াউস সামাদ স্যান্ডওয়েলের বাংলাদেশি নতুন প্রজন্মকে শিক্ষাদীক্ষায় উৎসাহ প্রদানের পাশাপাশি আত্মনির্ভর জীবন গঠনে পরিবারগুলোকে উৎসাহিত করেন। স্থানীয় স্কুলগুলোয় বাংলাদেশি সন্তানদের জন্য সামার স্কুল চালু, খেলাধুলা, পেইন্টিং, কম্পিউটার গেমসসহ নানা শিক্ষামূলক কার্যক্রমের ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। তাঁর অব্যাহত চেষ্টার কারণেই স্যান্ডওয়েলের হাসপাতালগুলোয় মুসলিমদের জন্য হালাল খাবার চালু হয়।

বিচারিক কাজ থেকে অবসরের পর জিয়াউস সামাদ চৌধুরী সাহিত্যচর্চায় মনোনিবেশ করেন। তাঁর লিখিত ইংরেজি ভাষায় প্রকাশিত স্মৃতিচারণামূলক গ্রন্থ ‘মেমোয়ার্স অব বাংলাদেশ’। তাঁর প্রকাশিত কবিতার বইগুলোর মধ্যে আছে মনোচ্ছ্বাস, মনমুরলী, মনমোহনা ও মনোদয়।

 

 

সর্বশেষ খবর