শিরোনাম
বৃহস্পতিবার, ২৭ জুন, ২০২৪ ০০:০০ টা
এনআইডি জালিয়াতি

আজিজের ভাই ও মোসলেম পরিবারের তদন্ত শেষ হতে আরও সময় লাগবে

----- ইসি সচিব

নিজস্ব প্রতিবেদক

মিথ্যা তথ্য দিয়ে সাবেক সেনাপ্রধান আজিজ আহমেদের দুই ভাইয়ের জাতীয় পরিচয়পত্র নেওয়া সংক্রান্ত অভিযোগের বিষয়ে গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন পেতে আরও অন্তত দুই সপ্তাহ সময় লাগবে। গতকাল কয়েকটি পৌরসভার ভোট শেষে নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ তথ্য জানান নির্বাচন কমিশন সচিব শফিউল আজিম। উল্লেখ্য, সাবেক সেনাপ্রধানের ভাইদের অসত্য তথ্য দিয়ে এনআইডি সংগ্রহের বিষয়টি তদন্তে যুগ্ম সচিবের নেতৃত্বে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। শফিউল আজিম জানান, তারা কীভাবে ভোটার হয়েছিলেন, কোন কোন ডকুমেন্ট এসেছে, কোথায় হয়েছে, কারও ইনভলভমেন্ট ছিল কি না- আদ্যোপান্ত তদন্ত চলছে। তদন্ত কমিটি আরও সময় চেয়েছে। আরও সময় লাগতে পারে। আমরা নির্ভুলভাবে বিস্তারিত ও নিখুঁতভাবে তদন্ত করতে চাই। আর একটু অপেক্ষা করতে হবে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হত্যার পলাতক আসামি রিসালদার মোসলেম উদ্দিনের সন্তানরা কীভাবে জাতীয় পরিচয়পত্রে (এনআইডি) তাদের বাবার নাম পাল্টেছেন, সে বিষয়ে মে মাসে তদন্ত শুরু হয়েছে।

এ বিষয়ে ইসি সচিব জানান, বঙ্গবন্ধুর এ খুনি বিভিন্ন নামে আত্মগোপনে ছিলেন, বিভিন্ন নাম ধারণ করেছেন। ইসির তদন্তে বেরিয়ে এসেছে। আমরা চাচ্ছি, কোন কোন নামে কোথায় কোথায় ছিলেন, তার আত্মীয়-স্বজনরা কোথায় কোথায় ব্যবহার করেছেন- সব তথ্য নিয়ে আসার প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। তদন্ত কমিটি কাজ করছে। এটিও একজন যুগ্ম সচিবের নেতৃত্বে তদন্ত হচ্ছে। সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে আমরা তদন্ত করছি।

তিনি উল্লেখ করেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সপরিবারে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়। বঙ্গবন্ধুর খুনিদের মধ্যে ফাঁসির দন্ডপ্রাপ্ত মোসলেম উদ্দিনসহ এখনো পলাতক পাঁচজন। সম্প্রতি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে ইসিকে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়েছে, মোসলেম উদ্দিনের ছয় ছেলে-মেয়ে তাদের জাতীয় পরিচয়পত্রে বাবার নাম পরিবর্তন করে মো. রফিকুল ইসলাম খান বানিয়ে নিয়েছেন। ভুয়া পরিচয়পত্র ব্যবহার করে মোসলেম উদ্দিনের তিন ছেলে-মেয়ে পাসপোর্ট এবং এক ছেলে ড্রাইভিং লাইসেন্সেও তাদের বাবার নাম মো. রফিকুল ইসলাম খান অন্তর্ভুক্ত করেছেন। এ অবস্থায় মোসলেমের সন্তানদের এনআইডি, পাসপোর্ট ও অন্যান্য ডেটাবেজে তাদের পিতার নাম বদলে নেওয়ার বিষয়টি রাষ্ট্রের জন্য হুমকিস্বরূপ। ইসি সচিব শফিউল আজিম বলেন, দুটি তদন্তই চলমান রয়েছে। পূর্ণাঙ্গ তথ্য গণমাধ্যমের সামনে তুলে ধরা হবে।

ভোট সম্পর্কে তিনি বলেন, ভোটার উপস্থিতি বেড়েছে, শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট হয়েছে। নারায়ণগঞ্জের কাঞ্চনে ৭২%, বরিশালের গৌরনদীতে ৪২.২৩% এবং রাজবাড়ীর পাংশায় ৩৫.২৪%. জামালপুরের মেলান্দহে ৬৯.৬৩% এবং শেরপুরের নকলায় একটি পদে ৬৯.২৫% ভোট পড়েছে। ইভিএমের প্রতি আস্থা বাড়ায় ভোটার উপস্থিতিও বাড়ছে।

সর্বশেষ খবর