শিরোনাম
সোমবার, ৮ জুলাই, ২০২৪ ০০:০০ টা

রংপুরে রোগীর ভাতিজিকে চিকিৎসকের লাথি, তদন্তের নির্দেশ মানবাধিকারের

নিজস্ব প্রতিবেদক

রংপুরে রোগীর ভাতিজির পেটে লাথি মারার অভিযোগ উঠেছে এক চিকিৎসকের বিরুদ্ধে। ‘রোগীর অবস্থা আশঙ্কাজনক, ডাক্তারকে ডাকতে গেলেই মারলেন লাথি’ শিরোনামে গণমাধ্যমে প্রচারিত সংবাদ আমলে নিয়ে (সুয়োমটো) গ্রহণ করেছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তে রংপুর জেলা প্রশাসককে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে ২০ আগস্টের মধ্যে কমিশনে বিস্তারিত প্রতিবেদন পাঠাতে বলা হয়েছে।

গতকাল জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের জনসংযোগ কর্মকর্তা ইউশা রহমান জানান, কমিশনের চেয়ারম্যান ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ স্বাক্ষরিত সুয়োমোটো আদেশনামার বিষয়বস্তুতে উল্লেখ করা হয়, রংপুরে রোগীর স্বজনের পেটে লাথি মারার অভিযোগ উঠেছে চিকিৎসক সুকুমার মজুমদারের বিরুদ্ধে। তিনি রংপুর মেডিকেলের নিউরোলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক। নিয়মিত রোগী দেখেন পপুলার-২ ডায়াগনস্টিক সেন্টারে।

ভুক্তভোগী ছালমা বেগমের বাড়ি ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গীতে।

 বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ঘটে যাওয়া ওই ঘটনার বিবরণ দিয়ে ভুক্তভোগী নারী বলেন, ‘আমার চাচা দীর্ঘদিন ধরে গুরুতর অসুস্থ। ১৪ দিন আগে অসুস্থ চাচাকে নিয়ে ডা. সুকুমার মজুমদারকে দেখাই। এ সময় তিনি প্রেসক্রিপশন দিয়ে ঠাকুরগাঁও সদর হাসপাতালে ভর্তি করাতে বলেন। দুই সপ্তাহ পরও চাচার অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় পপুলার-২ ডায়াগনস্টিক সেন্টারে নিয়ে ডা. সুকুমার মজুমদারকে দেখাতে আসি।

 চাচার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়া সত্ত্বেও তিনি সিরিয়াল দিচ্ছিলেন না। এক পর্যায়ে আমার চাচা নিশ্বাস নিতে পারছিলেন না। শেষে আমি ডাক্তারের কক্ষে গেলে উনি কোনো কিছু বলার আগেই পেটে লাথি মারেন। আমি এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই।’

নারীকে লাথি মারার ব্যাপারে জানতে চাইলে ডা. সুকুমার মজুমদার বলেন, ‘ওই নারী জোর করে চেম্বারে ঢোকার চেষ্টা করলে আমার সহকারী তাকে বাধা দেন। তারপরও জোর করে চেম্বারে ঢোকে। এতে রেগে গিয়ে আমি তাকে ধাক্কা দিয়েছি। তবে পেটে লাথি মারার অভিযোগ মিথ্যা। তবে যেহেতু আমি তাকে রেগে গিয়ে ধাক্কা মেরেছি সেজন্য ক্ষমা চেয়েছি। ভবিষ্যতে যেন এমন না হয় এ ব্যাপারে সতর্ক থাকব।’

সর্বশেষ খবর