সোমবার, ৮ জুলাই, ২০২৪ ০০:০০ টা

জনগণের জীবনমান উন্নয়নে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে

-স্বাস্থ্যমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন বলেছেন, ‘স্বাস্থ্যসেবার মান উন্নয়নে ও জনস্বাস্থ্যের সামগ্রিক উন্নতি ঘটাতে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে উন্নয়ন সহযোগী সংস্থাগুলো নিবিড়ভাবে কাজ করছে। মাতৃস্বাস্থ্য, টিকাদান, শিশুস্বাস্থ্য, নবজাতকের পরিচর্যা, কমিউনিটি হেলথসহ স্বাস্থ্যসেবা খাতের বিভিন্ন পর্যায়ে জনগণের স্বাস্থ্যের সামগ্রিক উন্নতিতে এ সহযোগিতা ইতিবাচক প্রভাব ফেলছে। জনগণের জীবনমান উন্নয়নে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। গতকাল রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে পার্টনারস ইন পপুলেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের ৩৯তম নির্বাহী কমিটির সভা ও ২৭তম বোর্ড কমিটির সভায় তিনি এ কথা বলেন।

 সভায় স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ডা. রোকেয়া সুলতানা, স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবারকল্যাণ বিভাগের সচিব মো. আজিজুর রহমান, পিপিডি বোর্ডের সেক্রেটারি মোহাম্মদ দোয়াগি, চায়না স্বাস্থ্য কমিশনের উপমহাপরিচালক লি ওয়েইসহ বিভিন্ন দেশের উচ্চপদস্থ ব্যক্তিবর্গ এবং সরকারি কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। পার্টনারস ইন পপুলেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (পিপিডি) একটি আন্তঃসরকারি সংগঠন, যা সদস্য রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে জনসংখ্যাজনিত ও উন্নয়নভিত্তিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় কাজ করে থাকে। বাংলাদেশ সরকার আয়োজিত এ সভায় পিপিডির সদস্য রাষ্ট্রের ২৩টি দেশের মন্ত্রী ও সহযোগী সমন্বয়কারীরা অংশগ্রহণ করেন। স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, পিপিডির সদস্য রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে সহযোগিতা, অংশীদারিত্ব, নেটওয়ার্কিং, যুগোপযোগী উদ্ভাবন এবং প্রযুক্তি স্থানান্তরে সহযোগিতা আগের চেয়ে বেশি প্রয়োজন। উদ্ভূত নানা সমস্যা ও চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আমরা সদস্য রাষ্ট্রগুলো একসঙ্গে কাজ করলে যথাযথ সমাধান খুঁজে পাব। ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, প্রজনন স্বাস্থ্য, জনসংখ্যা এবং উন্নয়নের সেরা দৃষ্টান্তগুলো আদানপ্রদান করা উচিত। যাতে আমরা একে অপরের কাছ থেকে শিখে পারস্পরিকভাবে লাভবান হতে পারি। জনসংখ্যা ও উন্নয়নভিত্তিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে পিপিডির সদস্য দেশগুলোতে টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করা এবং সদস্য দেশগুলোর মধ্যে সহযোগিতা দৃঢ় করার প্রতিশ্রুতির মাধ্যমে নির্বাহী কমিটির সভা সমাপ্ত হয়।

সর্বশেষ খবর