শুক্রবার, ৯ আগস্ট, ২০২৪ ০০:০০ টা

পুলিশ বাহিনীর আমূল সংস্কারের দাবি অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ অফিসার্স সমিতির

নিজস্ব প্রতিবেদক

অতি উৎসাহী, অপেশাদার এবং পক্ষপাতদুষ্ট কিছু পুলিশ সদস্য স্বৈরাচারী সরকারের পক্ষ নিয়ে নিরীহ ছাত্র-জনতাকে হত্যাসহ অত্যাচার ও নিপীড়ন চালিয়েছে। ভবিষ্যতে পুলিশ বাহিনীকে একই ধরনের অনাকাক্সিক্ষত পরিস্থিতির সম্মুখীন যাতে হতে না হয়, সে জন্য পুলিশ বাহিনীতে আমূল সংস্কারের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ অফিসার্স কল্যাণ সমিতি। গতাকল বিকালে রাজারবাগে সংগঠনটির নিজ ভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান সমিতির সভাপতি অবসরপ্রাপ্ত আইজিপি ও পিএসসির সাবেক চেয়ারম্যান এ টি আহমেদুল হক চৌধুরী। এ সময় সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা ওয়ালিউর রহমানসহ সমিতির নেতারা উপস্থিত ছিলেন। সাবেক আইজিপি আহমেদুল হক চৌধুরী বলেন, ২০০৭ সালে তদানীন্তন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে ইউএনডিপির সহায়তায় পুলিশ রিফর্ম প্রোগ্রাম হাতে নেওয়া হয়। দীর্ঘ সময় নিয়ে বিভিন্ন উন্নত গণতান্ত্রিক দেশের পুলিশি ব্যবস্থা পর্যালোচনা করে ‘দ্য বাংলাদেশ পুলিশ অর্ডিন্যান্স-২০০৭’-এর খসড়া তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কাছে পেশ করা হয়েছিল। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে তা অধ্যাদেশ আকারে জারি করা হয়নি। প্রস্তাবিত অধ্যাদেশ জারি করার জন্য বর্তমান অন্তর্র্বর্তীকালীন সরকারের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি। আমাদের সমিতি তাদের পক্ষপাতমূলক অপেশাদারি ও জনবিরোধী কর্মকান্ডের তীব্র নিন্দা করছে এবং তাদের আইনের আওতায় নিয়ে উপযুক্ত শাস্তি নিশ্চিত করার দাবি করছে। একই সঙ্গে নিরপরাধ পুলিশ সদস্য এবং তাদের পরিবারবর্গ যাতে হয়রানির শিকার না হয়, সেদিকে লক্ষ্য রেখে ঐতিহ্যবাহী পুলিশ বাহিনীকে দেশের এ ক্রান্তিলগ্নে নিরাপদে এবং নবউদ্যোমে কাজ করার পরিবেশ তৈরি করার জন্য দেশবাসীর প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানায়।

 এ ছাড়া অধস্তন সব পুলিশ সদস্যকে আইজিপির নির্দেশে যথাশিগগির নিজ নিজ কর্মস্থলে যোগদানপূর্বক আইনশৃঙ্খলা রক্ষা কাজে নিজেদের নিয়োজিত করার জন্য আহ্বান জানায়। তাদের এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ তৎপর রয়েছে।

আহমেদুল হক চৌধুরী বলেন, আসুন আমরা সবাই আমাদের প্রাণপ্রিয় শিক্ষার্থীদের বৈষম্যবিরোধী সমাজ ও দেশ গঠনের আন্দোলনের শুরু থেকে এ যাবৎ ছাত্র-জনতা, পুলিশ, আনসার, সাংবাদিক যারা দুর্ভাগ্যজনকভাবে মৃত্যুবরণ করেছেন, তাদের আত্মার শান্তি এবং যারা গুরুতর আহত হয়ে চিকিৎসাধীন আছেন তাদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করি। দেশের জনগণের জান-মাল ও সরকারি সম্পত্তি হেফাজতে রাখার জন্য পুলিশ বাহিনীর প্রয়োজনীয়তা ও গুরুত্ব অনস্বীকার্য। পুলিশের দায়িত্ব পালনে সহযোগিতা করা বর্তমানে আমাদের অন্যতম দায়িত্ব। আসুন আমরা এ পবিত্র দায়িত্ব আন্তরিকভাবে পালন করি। তিনি আরও বলেন, বিগত সরকারের একটি বৈষম্যমূলক সিদ্ধান্তের কারণে ২০২০ সালের জানুয়ারির আগে যারা অবসরে গেছেন, তারা রেশন সুবিধা হতে বঞ্চিত হয়েছেন। বঞ্চিত সব অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা রেশন সুবিধার দাবি করছি।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর