বুধবার, ২১ আগস্ট, ২০২৪ ০০:০০ টা

ফেনীতে ৫০ গ্রামের মানুষ পানিবন্দি

প্রতিদিন ডেস্ক

ফেনীতে ৫০ গ্রামের মানুষ পানিবন্দি

খাগড়াছড়িতে বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে অধিকাংশ রাস্তাঘাট -বাংলাদেশ প্রতিদিন

টানা বর্ষণ এবং পাহাড়ি ঢলে মহুরী ও কহুয়া নদীর ১২টি স্থানে বাঁধ ভেঙে ফেনীর ফুলগাজী ও পরশুরামের ৫০টি গ্রাম তলিয়ে গেছে। খাগড়াছড়িতে ভারী বর্ষণে প্লাবিত হয়েছে নিম্নাঞ্চল। মৌলভীবাজারে টানা বৃষ্টি ও ভারতের ঢলে কুশিয়ারা, মনু, ধলাই ও জুড়ী নদের পানি বেড়েছে। চট্টগ্রামে টানা বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হওয়ায় দুর্ভোগে পড়েন নগরবাসী। নিজস্ব প্রতিবেদক ও প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর-

ফেনী : টানা বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে মহুরী ও কহুয়া নদীর ১২টি স্থানে বাঁধ ভেঙে ফেনীর ফুলগাজী ও পরশুরামের ৫০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এতে প্রায় সাড়ে ১২ হাজার পরিবার রয়েছে পানিবন্দি। চলিত মাসের ১৭ তারিখ থেকে অতিমাত্রায় বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে গতকাল ভোর রাতে মুহুরী ও কহুয়া নদীর পরশুরাম ও ফুলগাজীর ১২টি ভাঙা স্থান দিয়ে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করছে।

ক্ষতিগ্রস্তরা জানান, চলতি বছরের জুলাই মাসে একবার ও আগস্ট মাসে দুইবারসহ ফুলগাজী ও পরশুরাম তিনবার বন্যা হয়েছে। এতে এ এলাকায় বসবাসকারীরা পড়েছে মহাবিপদে।

ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে কৃষি ও মৎস্যখাতে। ধ্বংস হয়ে গেছে রাস্তা ঘাট বীজতলা ও সবজি বাগান। দুই মাসের ব্যবধানে তিনবার বন্যার পানি লোকালয়ে প্রবেশ করায় দিশাহারা হয়ে পড়েছেন স্থানীয়রা।

খাগড়াছড়ি : খাগড়াছড়িতে ভারী বর্ষণে চেঙ্গী ও মাইনি নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। জেলা শহরের গঞ্জ পাড়া, উত্তর গঞ্জ পাড়া, মুসলিম পাড়া, কালা-ডেবা, মেহেদীবাগ ও পুরাতন জিপ স্টেশন ও শব্দ মিয়াপাড়া গ্রামগুলো পানিতে ডুবে গেছে। এসব এলাকার লোকজন স্থানীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আশ্রয় নিয়েছে। এ নিয়ে পরপর তিনবার পানি উঠায় লোকজন চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

মৌলভীবাজার : দুই দিন ধরে টানা বৃষ্টি ও ভারতের ঢলে কুশিয়ারা, মনু, ধলাই ও জুড়ী নদের পানি বেড়েছে। গতকাল নিয়মিত বুলেটিনে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, সাগরের লঘু চাপের প্রভাব ও ভারতের অতি বৃষ্টির ঢলে পানি বেড়েছে।

এদিকে শরৎ মৌসুমে আরেক ধাপে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় নদী পাড়ের সাধারণ মানুষ আবারও দুশ্চিন্তায় পড়েছেন।

চট্টগ্রাম : চট্টগ্রামে পাঁচ দিন ধরে কখনো থেমে কখনো মুষলধারে বৃষ্টি হচ্ছে। বৃষ্টিতে নগরের নিম্নাঞ্চলে পানি জমে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। এতে শিক্ষার্থী, অফিসগামী ও সাধারণ মানুষকে দুর্ভোগে পড়তে হয়। অন্যদিকে এমন হালকা ও ভারী বর্ষণের ফলে চট্টগ্রামে পাহাড়ধস কিংবা ভূমিধসও হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা যায়, গত ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামে ৭৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়।

সর্বশেষ খবর