রবিবার, ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ০০:০০ টা

শিক্ষকদের বেতন ও সামাজিক মর্যাদা বৃদ্ধি করতে হবে

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক

শিক্ষাসংস্কার ও দক্ষ গ্র্যাজুয়েট প্রস্তুত করার জন্য দেশের শিক্ষকদের বেতন ও সামাজিক মর্যাদা বৃদ্ধি করা অপরিহার্য বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইসলামিক থ্যট এর মহাপরিচালক এবং শিক্ষাবিদ আবদুল আজিজ। গতকাল বিকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আর সি মজুমদার অডিটোরিয়ামে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইসলামিক থ্যট আয়োজিত ‘গণ অভ্যুত্থান-উত্তর বাংলাদেশ ২.০ শিক্ষাসংস্কার : কেমন গ্র্যাজুয়েট চাই?’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।

বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থাকে উন্নত করা এবং এর মাধ্যমে দক্ষ গ্র্যাজুয়েট প্রস্তুত করার জন্য পাঠ্যক্রম সংশোধন, সিলেবাসে নতুন বিষয় যুক্ত করা, শিক্ষা সংস্কার কমিশন গঠন করা, শিক্ষকদের বেতন ও সামাজিক মর্যাদা বৃদ্ধিসহ বেশ কিছু বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন তিনি। শিক্ষাবিদ আবদুল আজিজ বলেন, বাংলাদেশে শিক্ষকদের চাকরি হওয়া উচিত ছিল প্রথম শ্রেণির চাকরি কিন্তু তারা তাদের কাজের মূল্যায়ন পায় না, সামাজিক মর্যাদাও তাদের সেভাবে দেওয়া হয় না। এর ফলে তারা যে নতুন প্রজন্মকে দক্ষ করে গড়ে তুলবে সে প্রেষণা তারা পান না। শিক্ষাব্যবস্থার সংস্কার করতে হলে শিক্ষকদের যথাযথ মূল্যায়ন দিতে হবে। এ সময় তিনি ইসলামী শিক্ষার ক্রমবিকাশ, আধুনিক শিক্ষার ক্রমবিকাশে মুসলমানদের অবদান, ওয়েস্টার্ন এবং ইসলামী শিক্ষার পার্থক্য, বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থায় ধর্মীয় শিক্ষার গুরুত্ব ইত্যাদি বিষয়েও তথ্য-উপাত্ত সহকারে বিষদ আলোচনা করেন।

সমন্বিত শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে আবদুল আজিজ বলেন, বাংলাদেশে বিভিন্ন ধর্ম, মতাদর্শের মানুষ বাস করে। সেক্ষেত্রে সবাইকে একটা কমন শিক্ষা ব্যবস্থায় আনা উচিত যেখানে মাদরাসা, সাধারণ স্কুল শিক্ষা কার্যক্রম এবং ভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের ধর্মীয় জ্ঞান এবং নৈতিক মূল্যবোধ গড়ে ওঠার সুযোগ পায়। কেননা ধর্ম আমাদের মূল্যবোধ শেখায় আর সেক্ষেত্রে ধর্মীয় শিক্ষার মাধ্যমে গ্র্যাজুয়েট তৈরি করা জরুরি। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মো. শহীদুল হক প্রথমে শিক্ষাবিদ আবদুল আজিজের সমন্বিত শিক্ষাব্যবস্থার সমালোচনা করে বলেন, এই মুহূর্তে দেশে কোনো নির্বাচিত সরকার নেই তাই এই অবস্থায় যদি সমন্বিত শিক্ষাব্যবস্থা চালু হয় তাহলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে ইসলামী শিক্ষা। ইসলামিক অর্থনীতি হয়ে যাবে শুধু অর্থনীতি, ইসলামী পৌরনীতি হয়ে যাবে শুধু পৌরনীতি সুতরাং ক্ষতিগ্রস্ত হবে ইসলামী শিক্ষাই। সভায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ সভাপতিত্ব করেন। এ ছাড়াও সভায় এশিয়া প্যাসিফিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক আজিজুন নাহার মুনমুনের সঞ্চালনায় আলোচক হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির সাবেক ভিসি অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ফাজলী ইলাহী, মা’হদাকুল ফিকরি ওয়াদ দিরাসাতিল ইসলামিয়ার প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক শায়খ মুসা আল হাফিজ।

সর্বশেষ খবর