শনিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ০০:০০ টা

সহকারী শিক্ষক পদে দশম গ্রেড ও পদোন্নতির দাবি

নিজস্ব প্রতিবেদক

২০০৯ সাল থেকে বন্ধ থাকা প্রধান শিক্ষক পদে পদোন্নতি চালু না হওয়ায় প্রাথমিক শিক্ষকদের সহকারী শিক্ষক হিসেবে যোগদান করে একই পদে অবসরে যেতে হচ্ছে। তা ছাড়া প্রধান শিক্ষকদেরও বিভাগীয় পদোন্নতি ব্লক করে রাখা হয়েছে। এজন্য সহকারী শিক্ষকদের এন্ট্রি পদ থেকে দশম গ্রেড ও শতভাগ বিভাগীয় পদোন্নতির দাবি জানিয়েছে বৈষম্য নিরসনে প্রাথমিক শিক্ষক সমন্বয় পরিষদ। গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন বক্তারা।

লিখিত বক্তব্যে জাতীয় প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ফাউন্ডেশনের সভাপতি শাহীনুর আকতার বলেন, ২০১৫ সালে সর্বশেষ জাতীয় পে-স্কেল ঘোষণা করা হয়েছিল। সেখানেও প্রাথমিক শিক্ষকরা বৈষম্যের শিকার হয়েছেন। এ ১০ বছরে দ্রব্যমূল্য যে হারে বেড়েছে, তাতে প্রাথমিক শিক্ষকরা বাজারমূল্য বহন করতে দিশাহারা। বিগত সরকারের মেয়াদে বেতন বৃদ্ধির আশ্বাস পেলেও তা আদৌ বাস্তবায়ন হয়নি।

তিনি আরও বলেন, ২০১৫ সালের পে-স্কেলে ২০টি গ্রেডে বেতন নির্ধারিত হয়েছিল, যার ২০ থেকে ১১তম গ্রেড পর্যন্ত গ্রেডের ব্যবধান নির্ধারিত হয়েছিল সর্বোচ্চ ৮০০ টাকা। অথচ দশম থেকে প্রথম গ্রেডের ব্যবধান রাখা হয়েছে সর্বোচ্চ ১২ হাজার টাকা পর্যন্ত। ফলে ১৩তম গ্রেডধারী সহকারী শিক্ষক এবং ১১তম গ্রেডধারী প্রধান শিক্ষকের জীবনমানের কোনো উন্নয়ন ঘটেনি।

তিনি আরও বলেন, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় বৈষম্য নিরসনে সহকারী শিক্ষকদের জন্য ১২তম গ্রেডের, সহকারী প্রধান শিক্ষক ১১তম এবং প্রধান শিক্ষকদের দশম গ্রেড প্রদানের প্রস্তাব করেছেন। এ সময় সংবাদ সম্মেলন থেকে পৃথক তিন দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। তাদের কর্মসূচিগুলো হলো ৩ অক্টোবর জেলা প্রশাসকের কার্যালয় চত্বরে একযোগে মানববন্ধন ও জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা। ৮ অক্টোবর বিভাগীয় শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে মানববন্ধন এবং বিভাগীয় কমিশনার মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা। ১৭ অক্টোবরের মধ্যে দাবি আদায়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা নাহলে ১৯ অক্টোবর জাতীয় প্রেস ক্লাবে মানববন্ধন ও প্রধান উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি প্রদানসহ পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা হবে।

সর্বশেষ খবর