বুধবার, ৯ অক্টোবর, ২০২৪ ০০:০০ টা
ডিএমপি কমিশনার

নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তায় দুর্গাপূজা মণ্ডপ

নিজস্ব প্রতিবেদক

ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার মো. মাইনুল হাসান বলেছেন, শারদীয় দুর্গাপূজায় রাজধানীর প্রতিটি মণ্ডপে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। পূজা ঘিরে ঢাকায় কোনো নিরাপত্তা হুমকি নেই, কোনো ঝুঁকিও দেখছি না। প্রতিটি মণ্ডপে ফিক্সড পুলিশ মোতায়েন থাকবে। থানা পুলিশের পাশাপাশি সাদা পোশাকে থাকবে ডিবি পুলিশ।

গতকাল পুরান ঢাকার ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরে শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে ডিএমপি গৃহীত নিরাপত্তাব্যবস্থা সম্পর্কে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, মন্ডপে অতিরিক্ত টহল, চেকপোস্ট স্থাপন, উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন সিসি ক্যামেরা, আর্চওয়ে ও মেটাল ডিটেক্টরের মাধ্যমে চেকিং ব্যবস্থা থাকবে। পুলিশের পাশাপাশি প্রতিটি মন্ডপে থাকবে পর্যাপ্তসংখ্যক আনসার সদস্য। একই সঙ্গে সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যসহ র‌্যাবের সদস্যরা টহল ও অন্যান্য নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করবেন।

ঢাকা মহানগরীতে এবার ২৫৩টি মন্ডপে পূজা অনুষ্ঠিত হবে জানিয়ে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকায় ১৩১ ও উত্তর সিটি এলাকায় ১২২টি ম প রয়েছে। ঢাকা মহানগরীতে শান্তিশৃঙ্খলা ও ভাবগাম্ভীর্যে যেন পূজা অনুষ্ঠিত হয় এজন্য এর আগে সমন্বয় সভা করেছি। পূজা চলাকালে যান চলাচল স্বাভাবিক করতে পর্যাপ্তসংখ্যক ট্রাফিক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। যানজট এড়াতে পূজা কমিটিকে অনুরোধ করা হয়েছে মন্ডপের আশপাশে কোনো মেলা যাতে না হয়। বিসর্জনে ঢাকা মহানগরীতে ১৫টি স্পট নির্ধারণ করা হয়েছে। বিসর্জন শোভাযাত্রায় ডিএমপির বিশেষ নিরাপত্তাব্যবস্থা থাকবে। সন্ধ্যা ৭টার মধ্যে বিসর্জনের জন্য পূজা কমিটি ও ভক্তদের প্রতি অনুরোধ জানান তিনি।

ডিএমপিপ্রধান বলেন, শারদীয় দুর্গাপূজায় ম প এলাকা, বিসর্জন শোভাযাত্রা ও বিসর্জনের সময় মাদকদ্রব্য ব্যবহার নিষিদ্ধ থাকবে। একইসঙ্গে সব ধরনের পটকা ও আতশবাজির ব্যবহার না করার জন্য অনুরোধ করে তিনি বলেন, বিসর্জনের সময় উচ্চৈঃস্বরে সাউন্ড সিস্টেম ব্যবহার করা যাবে না। যারা সাঁতার জানেন না তাদের বিসর্জনের সময় পানিতে না নামারও অনুরোধ জানান তিনি।

পুলিশ সদস্যদের মনোবল ফিরিয়ে আনা প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে ডিএমপি কমিশনার বলেন, আগস্টের ৫-৬ তারিখে পুলিশের কার্যক্রমের সঙ্গে এখনকার পুলিশের কার্যক্রম দেখলে আপনারাই বুঝতে পারবেন পুলিশ কতটুকু মনোবল ফিরে পেয়েছে। যারা কর্মবিরতি দিয়েছিল তারাও পুরোদমে কাজে ফিরে আসছে। পূজার অনুষ্ঠানে দৃঢ় মনোবল নিয়ে দায়িত্ব পালন করবে পুলিশের প্রতিটি সদস্য। এতে কোনো ব্যত্যয় ঘটবে না। পালিয়ে যাওয়া পুলিশ সদস্যদের বিষয়ে করা এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যারা মামলার আসামি ও অপরাধে যুক্ত ছিলেন তাদের আমরা খুঁজছি।

সর্বশেষ খবর