১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ ১০:৫৩

উচ্চ আদালতে বাংলা নেই কেন?

ডক্টর তুহিন মালিক

উচ্চ আদালতে বাংলা নেই কেন?

এক. বাংলাদেশ সংবিধানের সবচেয়ে ছোট অনুচ্ছেদটি হচ্ছে অনুচ্ছেদ ৩। তিনটি মাত্র শব্দের সমন্বয়ে এ অনুচ্ছেদটি গঠিত। ‘প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রভাষা বাংলা’। কিন্তু রাষ্ট্রভাষা বাংলা হলে কি হবে? আমাদের উচ্চ আদালতে তো একচ্ছত্র শাসন চলছে ইংরেজিরই। সেখানে বাংলা ভাষার যেন ‘প্রবেশ নিষেধ’। অথচ যে ভাষা আজ আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা হিসেবে বিশ্ব দরবারে স্বীকৃতি লাভ করল, মহান ভাষা আন্দোলনের সেই দেশেরই উচ্চ আদালতে আজও স্বীকৃতি পায় না বাংলা ভাষা।  দেশের নির্বাহী বিভাগ, আইন বিভাগ বা সংসদ বাংলায় চললে বিচার বিভাগের উচ্চ আদালতে বাংলা থাকতে অসুবিধা কোথায়? যেখানে আমরা রাষ্ট্রের গণ্ডি পেরিয়ে বহুদূরে পৌঁছে জাতিসংঘের দাফতরিক ভাষা হিসেবে বাংলা চালু করার দাবি জানাচ্ছি, অথচ নিজ দেশের সর্বোচ্চ আদালতে বাংলা চালুর সৎ সাহস দেখাতে পারি না কেন? আশ্চর্য, যে জাতি ভাষার জন্য রাজপথে বুকের রক্ত ঢেলেছে সেই দেশের উচ্চ আদালতে বাংলা পরবাসী! প্রতিবছর ২১ ফেব্রুয়ারি এলেই আমরা যেন বাংলার জন্য আপ্লুত হয়ে পড়ি। অথচ আমাদের প্রতিবেশী মাদ্রাজ হাইকোর্টে তামিল ভাষা প্রচলনের দাবিতে যেখানে অনশন পর্যন্ত হয়েছে, সেখানে আমাদের দেশে অনশন তো দূরের কথা আজ অবধি এ নিয়ে শক্তভাবে কোনো একটা দাবিও করতে দেখিনি কাউকে।

দুই. আদালতে নিজের ভাষার দাবিটা শুধু ভাষার মর্যাদা রক্ষার জন্যই নয়। বরং নিজের ভাষায় রায় পাওয়ার স্বতঃসিদ্ধ অধিকার প্রতিটি মানুষেরই রয়েছে। অথচ আমাদের দেশে ব্যাপারটা এরকম যে, ফাঁসির আসামি বুঝতেই পারল না কেন তার ফাঁসি হলো! ১৯৬৬ সনের নাগরিক ও রাজনৈতিক অধিকারসংক্রান্ত আন্তর্জাতিক চুক্তির ১৪(৩) দফায় বিচারপ্রার্থীর বোধগম্য ভাষায় বিচার পাওয়ার অধিকার মানবাধিকার হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে বিশ্ব সম্প্রদায়। বহু বছর আগেই বাংলাদেশও এ চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছে। কিন্তু নিজ দেশের উচ্চ আদালতে তা বাস্তবায়ন না করে বাংলাদেশ এই আন্তর্জাতিক আইনটিকে ১৪ বছর ধরে লঙ্ঘন করেই চলছে। ফেব্রুয়ারি এলেই আমরা সবাই এ নিয়ে যৎসামান্য আলোচনা করি। আর সারা বছর নিজেদের স্ট্যাটাস রক্ষায় চিবিয়ে ইংরেজি বলি। সুখের কথা, অতি সম্প্রতি ‘মাতৃভাষা ও দেশীয় সংস্কৃতি’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় প্রধান বিচারপতি বলেছেন, ‘উচ্চ আদালতের বিচারকাজ বাংলায় হওয়া উচিত। আমিও চিন্তা করছি, দু-একটি রায় বাংলায় দেওয়ার জন্য।’ আসলে উচ্চ আদালতে বাংলায় রায় দেওয়া দুরূহ কিছু নয়। কারণ নিম্ন আদালত যদি বাংলা ভাষায় চলতে পারে, তাহলে উচ্চ আদালতে কেন ভিন দেশি ভাষা হবে? ইংরেজিকে বাংলায় রূপান্তর করে স্বদেশী ভাষার প্রয়োগ করাটা কি এতটাই দুরূহ? এর আগেও বিচারপতি আমীরুল ইসলাম চৌধুরী, বিচারপতি মুহম্মাদ হাবিবুর রহমান, বিচারপতি কাজী এবাদুল হক, বিচারপতি হামিদুল হক, বিচারপতি খায়রুল হকসহ অনেকে বাংলায় রায় লিখে প্রমাণ দিয়েছেন, এটা অসাধ্য কিছু নয়। তাছাড়া ভাষা প্রয়োগে কোনো সমস্যা দেখা দিলে এ বিষয়ে বাংলা একাডেমিও ফলপ্রসূ ভূমিকা রাখতে পারে। উচ্চ আদালতে বাংলা ভাষার যথার্থ প্রয়োগ ও প্রচলন করাটা রাষ্ট্রের অন্যতম দায়িত্ব? কারণ প্রতিটি নাগরিকের অধিকার রয়েছে তার রায়টা বুঝতে পারার। যদি তার রায় বোঝার অধিকারকে ভাষা দিয়ে সীমাবদ্ধ করে ফেলা হয় তাহলে এটা হবে পরিষ্কার সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক।

তিন. বাদশাহী আমলে এদেশে আদালতের সরকারি ভাষা ছিল ফার্সি। ১৮৩৫ সালে ফার্সির পরিবর্তে ইংরেজিকে সরকারি ভাষা হিসেবে প্রচলন করার ২ বছর পর ১৮৩৭ সালে সব আদালতের সঙ্গে ফার্সির পরিবর্তে বাংলা প্রদেশে কোর্টকাচারিতে বাংলা ভাষা চালু হয়। তখন নিম্ন আদালতে বাংলা ও উচ্চ আদালতে ইংরেজির ব্যবহার শুরু হয়। আমাদের দেওয়ানি কার্যবিধির ১৩৭ ধারায় ইংরেজির সঙ্গে দেওয়ানি আদালতে বাংলা ভাষার ব্যবহার স্বীকৃত ছিল। আর ফৌজদারি কার্যবিধির ৫৫৮ ধারায় নিম্ন আদালতে ফৌজদারি মামলার বিষয়ে কোন ভাষা ব্যবহার হবে তা নির্ধারণ করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল সরকারকে। ১৯৪৭ সালে দেশ বিভাগের পর আদালতে বাংলার চেয়ে ইংরেজির ব্যবহার বেড়ে যেতে থাকে। পরবর্তীতে পাকিস্তানের ১৯৫৬ এবং ১৯৬২ সালের সংবিধানে বাংলা ভাষাকে অন্যতম রাষ্ট্রভাষা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়। আমাদের স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালের সংবিধানে ৩নং অনুচ্ছেদে বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে গ্রহণ করা হয়।

চার. স্বাধীনতার পর থেকে আমাদের নিম্ন আদালতে বাংলা ও ইংরেজি উভয় ভাষাই চালু ছিল। কিন্তু হামিদুল হক চৌধুরী, যিনি মুক্তিযুদ্ধ ও বাংলা ভাষা বিরোধী ছিলেন, আশির দশকে দেশে ফিরে তিনি হাইকোর্টে এর বিরুদ্ধে মামলা করলে আদালত তার পক্ষে রায় দেন। তখন নতুন করে নিম্ন আদালতে ইংরেজি চালু হয়। এ পরিপ্রেক্ষিতে এরশাদের সময় বাংলাদেশের সব অফিস-আদালতে বাংলা ভাষার প্রচলন নিশ্চিত করার জন্য ১৯৮৭ সালে বাংলা ভাষা প্রচলন আইন জারি করা হয়। ‘১৯৮৭ সালের বাংলা ভাষা প্রচলন আইনে’ বলা হয়েছে, ‘এই আইন প্রবর্তনের পর বাংলাদেশের সর্বত্র তথা সরকারি অফিস-আদালত, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান কর্তৃক বিদেশের সঙ্গে যোগাযোগ ব্যতীত অন্যান্য সব ক্ষেত্রে নথি ও চিঠিপত্র, আইন আদালতে সওয়াল জবাব এবং আইনানুগ কার্যাবলি অবশ্যই বাংলায় লিখতে হবে। উল্লিখিত কোনো কর্মস্থলে যদি কোনো ব্যক্তি বাংলা ভাষা ব্যতীত অন্য কোনো ভাষায় আবেদন বা আপিল করেন তাহলে তা বেআইনি বা অকার্যকর বলে গণ্য হবে।’ এ আইন জারির পর আমাদের সব আদালতে বাংলা ভাষায় বিচারকার্য শুরু হয় এবং বাংলা ভাষায় সব অফিসের কার্যক্রম শুরু হয়। কিন্তু শুধু ব্যতিক্রম ঘটে আমাদের সুপ্রিমকোর্টে। সেই সময় এ আইনের প্রেক্ষিতে সুপ্রিমকোর্টে একটি মামলা হয়। সে মামলাটি বিখ্যাত হাসমতুল্লাহ বনাম আজমেরি বেগমের মামলা। ১৯৯১ সালে এ মামলায় সংবিধানে স্বীকৃত রাষ্ট্রভাষা থেকে আদালতের ভাষাকে বিচ্ছিন্ন করে আমাদের মহামান্য হাইকোর্ট একটি বাংলা ভাষাবিদ্বেষী রায় দেন। যেখানে সুপ্রিমকোর্ট স্বয়ং সংবিধানের অধীনে, সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক আইন বিধি যেখানে অসংঘর্ষপূর্ণ ও বাতিল সেখানে এ রায়ের মাধ্যমে তিন ধরনের ভাষার উদ্ভব ঘটানো হয়। রাষ্ট্রভাষা, সরকারি ভাষা ও আদালতের ভাষা হিসেবে তিনটি ভাষাকে সংজ্ঞায়িত করে আদালতের ভাষা হিসেবে বাংলাকে বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়। অথচ ১৯৮৭ সালের বাংলা ভাষা প্রচলন আইনটি সংবিধানের ৩নং অনুচ্ছেদের আওতায় প্রণীত। তাছাড়া উচ্চ ও নিম্ন আদালত বলতে এ আইনে কোনো তফাৎ নেই। কিন্তু এ মামলার রায়ে যেভাবে বলা হলো আদালত বলতে নিম্ন আদালতকেই বুঝানো হবে, উচ্চ আদালতকে নয় সেটা একেবারেই অযৌক্তিক। কারণ আমাদের সংবিধানের ১৫২ অনুচ্ছেদে আদালতের ব্যাখ্যায় যে সংজ্ঞা দেওয়া হয়েছে তাতে কিন্তু নিম্ন আদালত ও উচ্চ আদালত বলতে কোনো পার্থক্য দেওয়া হয়নি। আদালত বলতে সব আদালতকেই বুঝানো হয়েছে।

পাঁচ. খুবই আশ্চর্য বিষয়, যেখানে আমাদের সুপ্রিমকোর্ট বাংলা ভাষার বিকৃতি ও ভাষা দূষণ বিষয়ে রুল জারি করে বলেন, ‘পৃথিবীতে বাংলাই একমাত্র ভাষা যার জন্য মানুষ রক্ত দিয়েছে, পৃথিবীর ইতিহাসে এরকম দৃষ্টান্ত আর দ্বিতীয়টি নেই। সুতরাং এ ভাষার পবিত্রতা আমাদের রক্ষা করতে হবে।’ অথচ এ সুপ্রিমকোর্টেই বাংলা নেই কেন? আমাদের সুপ্রিমকোর্ট প্রায়শই বিভিন্ন জনস্বার্থবিষয়ক স্বতঃপ্রণোদিত সুয়োমটো রুল জারি করে। অথচ ১৯৮৭ সালের বাংলা ভাষা প্রচলন আইনটি প্রয়োগের ব্যাপারে কোনো স্বতঃপ্রণোদিতা দেখি না কেন? উচ্চ আদালতে ইংরেজির পক্ষে যুক্তি দিতে গিয়ে যারা ভারত বা পাকিস্তানের উদাহরণ টানেন তাদের জানা দরকার যে, বিভিন্ন ভাষাভাষীর দেশ ভারত কিংবা পাকিস্তানে জনগণের একক কোনো ভাষা নেই। তাদের সংবিধানে বহু ভাষার মধ্যে আপসকামিতা হিসেবে ইংরেজিকে আদালতের ভাষা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু আমাদের সংবিধানে ইংরেজিকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়নি। বাংলাকেই রাষ্ট্রভাষা করা হয়েছে। এমনকি আমাদের সংবিধানে বাংলা ও ইংরেজির মধ্যে বিরোধ হলে বাংলাকেই প্রাধান্য দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। ভারতের সংবিধানে ৩৪৮ অনুচ্ছেদে আদালতের ভাষা করা হয়েছে ইংরেজি। কারণ আদালতের বিচারকরা সারা ভারত থেকে আসেন। ২২টি সরকারি ভাষার দেশ ভারতে হিন্দির সঙ্গে সব বিচারক পরিচিত নন। কিন্তু আমাদের দেশের আমরা সবাই একই ভাষার। আমাদের দেশে আইনজীবী, বিচারপতি, বিচারপ্রার্থী প্রত্যেকেরই ভাষা বাংলা।

ছয়. আদালতে ভাষার দাবিতে গোটা বিশ্বেই এখন জনমত প্রবল। ১৯৯৮ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার হাইকোর্ট স্পষ্টতই বলেন, বিচারপ্রার্থীর বোধগম্য ভাষাতেই বিচার পাওয়ার অধিকার তার রয়েছে। একান্তই সম্ভব না হলে সেটার অনুবাদ তাকে করে দিতে হবে। তাদের সংবিধানেও অভিযুক্তের বোধগম্য ভাষায় বিচার পাওয়ার অধিকার রয়েছে। কানাডার উচ্চ আদালতের সব রায় ইংরেজি ও ফ্রেঞ্চ ভাষায় ছাপানো বাধ্যতামূলক। মালয়েশিয়ার সংবিধান ও জাতীয় ভাষা আইনে আদালতের সব রায় তাদের ‘বাহাসা’ ভাষায় লেখা বাধ্যতামূলক। তাছাড়া সোভিয়েত রাশিয়া, জার্মানি, চীন, ফ্রান্স, স্পেন, নেদারল্যান্ডস, জাপান এমনকি আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ নেপালেও তাদের নিজেদের ভাষায় আদালত চলে।

সাত. দুটো যুক্তি দেখানো হয় উচ্চ আদালতে বাংলা প্রচলনের বিরুদ্ধে। এক. আমাদের আইন ও বিদেশি মামলার নজিরগুলো ইংরেজিনির্ভর এবং দুই. উচ্চ আদালতে বাংলা চালু হলে বাংলাদেশ বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বে। আমার জানা মতে, দেশে বিদ্যমান প্রয়োজনীয় প্রায় সব আইনই বাংলায় রয়েছে। শুধু তাই নয়, আশ্চর্য হবেন এটা জেনে যে, সেই ১৯৩৭ সালেও ইংরেজদের সময় সব আইন বাংলায় অনূদিত ছিল। ১৭৯৩ সালের আইনের কোডগুলো, এমনকি চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত আইনেরও বাংলায় অনুবাদ ছিল। অন্যদিকে আমাদের বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ার আশঙ্কা প্রকারান্তরে ইংরেজি না জানা বিচারপ্রার্থী সাধারণ মানুষকে আদালত থেকে বিচ্ছিন্ন করে রাখার অপকৌশলই মাত্র। হাইকোর্টে বিচারক নিয়োগের ক্ষেত্রে ইংরেজিকে যেখানে সর্বাধিক গুরুত্ব দেওয়া হয়, সেখানে বাংলায় রায় লিখতে না পারাকে কেন অযোগ্যতা হিসেবে দেখানো হয় না? আমাদের ভাবখানা এমন যেন বাংলায় লিখলেই আমরা সবাই অধম হয়ে গেলাম!

আট. ২০১২ সালের হাইকোর্ট বিধিমালার পর এখন আর উচ্চ আদালতে বাংলা ব্যবহারে কোনো প্রতিবন্ধকতা নেই। আসলে সব প্রতিবন্ধকতা একান্তই আমাদের মানসিকতার। যেখানে আমাদের সুপ্রিমকোর্ট বাংলা ভাষার বিকৃতি ও ভাষা দূষণ রোধে রুল জারি করে, সেখানে সংবিধানের ষোলটি সংশোধনীর পরও ৪৫ বছরেও সংবিধানের বাংলা শব্দের অসংখ্য ভুল বানান রয়েই গেছে। শুধু সংবিধানের প্রথম পাতাতেই প্রস্তাবনায় ‘খ্রিস্টাব্দ’ শব্দের ভুল বানান হিসেবে ‘খ্রীষ্টাব্দ’ লেখা আছে। আর ‘আশি’ শব্দের ভুল বানান হিসেবে ‘আশী’ লেখা আছে। কিন্তু এ বানান ভুলটি যদি ইংরেজির বেলায় হতো তাহলে বাঙালির শিক্ষাগত যোগ্যতায় বিশাল গলদ আবিষ্কৃত হয়ে যেত নিঃসন্দেহে। তাই নিজের ভাষাকে ভালোবাসতে পারলে কিছুই আর তখন অজুহাত হয়ে দাঁড়াতে পারবে না। বাংলা শুধু আমাদের মুখের ভাষাই নয়, এটা আমাদের পরিচয়ও বটে। পুরো পৃথিবীতে ভাষাভিত্তিক রাষ্ট্র মাত্র একটিই। আর সেটা হচ্ছে বাংলাদেশ। অথচ দুর্ভাগ্যজনকভাবে সেদেশেরই উচ্চ আদালতে নিজের মাতৃভাষা যেন ‘অবাঞ্ছিত’।  দেশের সব সাইনবোর্ড থেকে শুরু করে গাড়ির নাম্বার প্লেট পর্যন্ত ইংরেজি শব্দ মুছে বাংলায় করার জন্য আমাদের যে আদালত নির্দেশ জারি করেন, সেই উচ্চ আদালতের নিজের সব শব্দই কেন ইংরেজিতে হবে?

 

লেখক : সুপ্রিমকোর্টের আইনজ্ঞ ও সংবিধান বিশেষজ্ঞ।

e-mail:[email protected]


বিডি-প্রতিদিন/ ১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬/ রশিদা

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর