১৬ এপ্রিল, ২০২০ ১৫:১১

আমি চাল চোরদের বিচার চাই!

মোহাম্মদ এ. আরাফাত

আমি চাল চোরদের বিচার চাই!

আমি অবশ্যই চাল চোরের বিচার চাই। এই গুটি কয়েক চাল চোরেরা চুরি না করলে তো এতো আলোচনা-সমালোচনা হতো না, তাই না? এই চাল চোরেরা শুধুমাত্র জনগণের শত্রু না, এরা সরকারেরও সবচেয়ে বড় শত্রু। এরা বরং দলের ভিতরে থেকে তাদের অপকর্মের মাধ্যমে দল এবং সরকারের প্রতিপক্ষের হাতে সমালোচনার অস্ত্র তুলে দিয়েছে। যে কারণে আমি সবার আগে এই চোরদের কঠোর বিচার চাই। এবং এদের যেন যথাযথ বিচার হয় তার জন্য আমি আমার সাধ্যের মধ্যে যা কিছু করার আছে সবকিছু করছি এবং করবো। আমি কিন্তু কিছু সস্তা প্রশংসা পাওয়ার জন্য ফেসবুকে এদের বিচার চেয়ে একটি-দুটি পোস্ট দেয়ার মধ্যেই আমার দায়িত্ব পালন শেষ বলে মনে করি না। বরং আমি চোরদের বিচার নিশ্চিত করার জন্য আরও কিছু করছি এবং করতে চাই। তবে এই চাল চুরির ঘটনাকে কেন্দ্র করে যারা অপরাজনীতি করছে এবং দিনরাত কঠোর পরিশ্রম করে যাওয়া বাকি সবাইকেই চোর বানিয়ে দিচ্ছে আমি তাদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছি। অতিরঞ্জনও কিন্তু মিথ্যার পর্যায়ে পড়ে। আমি সত্যের পক্ষে অবস্থান নিয়েছি। গড্ডালিকা প্রবাহে গা ভাসিয়ে সস্তা তালি পাওয়ার থেকে জনগণকে সঠিক তথ্যটা তথা সত্যটা জানানো অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ বলে আমি মনে করি। 

চাল চোরদের ধরা হচ্ছে, বরখাস্ত করা হচ্ছে, লুণ্ঠিত মালামাল উদ্ধার করা হচ্ছে, তাদের শাস্তি দেয়া হচ্ছে এবং আগামীতেও ওদের রেহাই নেই, এ ব্যাপারে নিশ্চিত থাকুন। তবে কি জানেন, বাংলাদেশে জনপ্রতিনিধির সংখ্যা ৬০ হাজারের উপর, এর মধ্যে এখন পর্যন্ত মাত্র ১৫/১৬ জন চাল চুরির সাথে জড়িত- যাদের সবাইকে আবার ধরাও হচ্ছে। অতএব, চাল চোর, চাল চোর বলে হট্টগোল বাঁধিয়ে আসল কাজ থেকে  যাতে আমাদের দৃষ্টি সরে না যায়, সেদিকে সবার খেয়াল রাখা উচিত।

আমাদের মাথায় রাখা জরুরি যে, চুরিটা করছে চোরেরা। এদেশে সব জায়গায় চোর আছে। প্রতিটি পেশা, প্রতিটি প্রতিষ্ঠানেই চোর আছে। তথাকথিত সুশীল সমাজেও চোর আছে, রাজনীতিতেও চোর আছে, প্রতিটি দলেও চোর আছে। তবে দলীয়ভাবে শীর্ষ পর্যায়ে সিদ্ধান্ত নিয়ে চুরি হলে অথবা দলীয় লোকজন চুরি করলে তাদের না ধরে প্রশ্রয় দিলে বলা যাবে দল চুরি করছে, তাছাড়া নয়। দেখার বিষয় হলো, দলীয় সরকার দলের মধ্যে ঘাপটি মেরে থাকা চোরদের প্রশ্রয় দিচ্ছে, নাকি চোর ধরছে? এই চোরদের প্রশ্রয় না দিয়ে বরং ধরছে আওয়ামী লীগ সরকারেরই প্রশাসন, এটাই বাস্তবতা। 

রাষ্ট্র চালায় দলীয় সরকার। দলীয় কোন ব্যক্তি চুরি করলে, দলীয় সরকার চোরকে ধরে ব্যবস্থা নিলে সরকারের প্রশংসা করা উচিত। কিন্তু, উল্টো দলের উপর দোষ চাপালে কি সে দেশে সুশাসন দেয়া সম্ভব? আমার অবস্থান সাময়িক সস্তা জনপ্রিয়তার পক্ষে নয়, বরং দীর্ঘমেয়াদে সুশাসন প্রতিষ্ঠার পক্ষে সাধারণ মানুষের মধ্যে মানসিক প্রস্তুতির যে ঘাটতি আছে তা জাগিয়ে তোলাও আমার/ আমাদের দায়িত্ব বলে মনে করি।

বিডি প্রতিদিন/ফারজানা

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর