৫ জুন, ২০২০ ২০:২৭

নিলুফার মঞ্জুর আপার শূন্যতা বহন করার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলেছি

শুক্লা সরকার :

নিলুফার মঞ্জুর আপার শূন্যতা বহন করার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলেছি

শুক্লা সরকার ও প্রয়াত নিলুফার মঞ্জুর (ডানে)

১৯৭৫ সালে সানবিমের শিক্ষক জান্নাত আপা আমার বাসায় আসেন। জান্নাত আপা ছিলেন আমার শান্তি নিকেতনের বন্ধু। আমরা একসঙ্গে শান্তি নিকেতনে পড়াশোনা করতাম। জান্নাত আপা বাংলা আর আমি নৃত্যে। আমাকে বললেন, শুক্লা সানবিমে একটি প্রোগ্রাম করবো তুমি বাচ্চাদের একটি নাচ করিয়ে দিও। আমি তখন শিল্পকলা একাডেমির চাকরি সাত মাস করে ছেড়ে দিয়েছি। আমার অন্য কোন প্রতিষ্ঠানে কাজ করার ইচ্ছা নেই। আমি বললাম পরে জানাবো। চলে গেলেনও জান্নাত আপা ভেবেছিলেন আমি আসবো। রাতে আমি ও আমার স্বামী প্রয়াত কমল সরকারকে বললাম সানবিমের প্রস্তাবের কথা। কমল সব শুনে বললেন তুমি যাও তোমার ভালো লাগবে। আমি গেলাম সানবিমে। এই আমার সানবিম স্কুলে প্রথম প্রবেশ ধানমন্ডি ২৭ নম্বরে। সেদিনই প্রথম নিলুফার মঞ্জুর বড় আপাকে আমার প্রথম দেখা। তারপর থেকে প্রোগ্রাম হলেই মাঝে মাঝে বাচ্চাদের নাচ শিখিয়ে দিতাম। তখন বড় আপার সাথে আমার দেখা হত। একদিন তিনি বললেন, শুক্লা সপ্তাহে একদিন নাচের ক্লাস করলে কেমন হয়? আমি তখন আচ্ছা বলে মাথা নাড়াতাম। ওনার সামনে গেলে আমি কেমন যেন মোহগ্রস্ত হয়ে যেতাম। পরবর্তীতে ১৯৯৭ সালে আমি সানবিম স্কুলে নৃত্য শিক্ষক হিসেবে যোগ দেই। নিলুফার আপার সানবিম আমার ইশ্বরের পরের প্রার্থনা, আমার শিক্ষা, আমার দিক্ষা, আমার বুদ্ধি, আমার বিবেক। সানবিম আমার স্বতন্ত্র ফুলের হাট। বড় আপা আমি এই শূন্যতা হারিয়ে ফেলার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলেছি। আমায় দয়া করুন, আপনি আমার আদর্শ।

লেখক : নৃত্য শিল্পী ও শিক্ষক (সানবিম স্কুল)।

বিডি-প্রতিদিন/শফিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর