২৪ জুন, ২০২০ ২০:০৮

আনন্দবাজারের ‘খয়রাতি’, অতপর...

ড. কাজী এরতেজা হাসান

আনন্দবাজারের ‘খয়রাতি’, অতপর...

ড. কাজী এরতেজা হাসান

আজ মঙ্গলবার উপমহাদেশের অন্যতম প্রাচীন রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ৭১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে স্বাধীন ও অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ পেয়েছিলাম। তারই সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এখন এশিয়ার অর্থনীতির উদীয়মান বাঘ এবং সারা বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেলে পরিণত হয়েছে।

বিশ্বব্যাংক ও অন্যান্য দাতা সংস্থার কারসাজির পর নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু তৈরি করার মাধ্যমে শেখ হাসিনার বাংলাদেশ দেখিয়ে দিয়েছে, আমাদের অর্থনীতি কতটা শক্তিশালী। আমাদের মতো উদীয়মান একটি অর্থনৈতিক শক্তিকে প্রতিবেশী ও বন্ধু রাষ্ট্র ভারতের একটি আঞ্চলিক পত্রিকা আনন্দবাজার বাংলাদেশকে অসম্মান করে ‘খয়রাতি’ শব্দ ব্যবহার করে একটি সংবাদ প্রকাশ করে। এমন একটি দুঃখজনক সংবাদ আমার দৃষ্টিগোচর হলেই বুকের মধ্যে তীব্র একটা ব্যাথা অনুভব করি। যে আনন্দবাজার পত্রিকা আমাদের সুমহান মুক্তিযুদ্ধের সময় চমৎকার সংবাদ পরিবেশন করেছিল, সেই পত্রিকাটিই কিভাবে স্বাধীনতার ৫ দশক পরে কিভাবে বাংলাদেশকে হেয়প্রতিপন্ন করে এমন সংবাদ প্রকাশ করে। এরপরই বিষয়টি নিয়ে নানান জনের সাথে আলাপ করতে থাকি।

আমিও যেহেতু বাংলাদেশের দুইটি জাতীয় দৈনিকের সম্পাদক ও প্রকাশক তাই, বিষয়টা নিয়ে প্রতিবাদ করার উপায় খুঁজতে থাকি। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শের একজন সৈনিক এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একজন সিপাহী হিসাবে আর চুপ করে বসে থাকতে পারি নাই। আমি প্রথমেই যোগাযোগ করি আমাদের অতি আপনজন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশ্বস্ত সেনানী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে এম  আব্দুল মমিনের সাথে। তার সাথে আমার দীর্ঘদিনের পরিচয়। আমি যতবারই প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গী হয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে গিয়েছি, প্রতিবারই তিনি আমাদের আপন করে নিয়েছেন। একবার ঈদের দিন পুরো প্রতিনিধি দলকে নিজের বেতনের টাকায় কেনা কোরবানির খাসি দিয়ে একটি হোটেলে তিনি দাওয়াত দিয়েছিলেন।

শেখ রাসেলের নামে দেয়া কোরবানির মাংস দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম, এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি ও বর্তমান ঢাকা ১০ আসনের সংসদ সদস্য মহিউদ্দিন আহমেদও সেখানে উপস্থিত ছিলেন। সেখানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছিলেন, ‘মমিনকে এবার দেশে নিয়ে যাবো।’ তখনই বুঝে গিয়েছিলাম, এ কে এম আব্দুল মমিনকে দেশে ফিরিয়ে এনে প্রধানমন্ত্রী পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব দিবেন। তখনই তার জন্য দোয়া করেছিলাম। তিনি আজ আমাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসাবে অত্যন্ত দক্ষতার সাথে দায়িত্ব পালন করছেন।

আমি যখন ফোন করে তাকে বললাম, আনন্দবাজার বাংলাদেশ সম্পর্কে এমন একটি আপত্তিকর শব্দ ব্যবহার করেছে। আমরা এর প্রতিবাদ করতে চাই। তখন তিনি জানতে চাইলেন, কিভাবে? এটা তো রাষ্ট্রীয় কোনো বিষয় নয়। তখন তাকে বললাম, দৈনিক ভোরের পাতার নিয়মিত আয়োজন ভোরের পাতা সংলাপের মাধ্যমে আপনারা দেশবাসী ও বিশ্ববাসীর কাছে বিষয়টা নিয়ে কথা বলতে পারেন। তখন তিনি রাজি হয়ে যান এবং তিনি ভোরের পাতা সংলাপে চমৎকারভাবে বলেছেন, বাংলাদেশকে অসম্মান করে উদ্দেশ্যমূলকভাবে এই সংবাদ পরিবেশন করেছিল আনন্দবাজার। কিন্তু ভারতের সাথে বাংলাদেশের সম্পর্ক অত্যন্ত নিবিড়। ভারত আমাদের সবচে বন্ধুরাষ্ট্র। আমরা মনে করি, আমাদের উন্নয়নের হলে ভারতেরও ‍উন্নয়ন হবে। কিন্তু আমাদের ‘খয়রাতি’ শব্দ ব্যবহার করে দুঃখ পেয়েছি।

চীনা উন্নত দেশ হিসাবে উন্নয়নশীল দেশগুলোকে এমন শুল্কমুক্ত সুবিধা দেয়া হয়। চীনাও তেমনভাবেই দিয়েছে। কিন্তু করোনার কারণে পুরো বিশ্বের মতোই আমাদের অর্থনীতিও বিপর্যস্ত। আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চীনের রাষ্ট্রপতির সাথে কথা বলেছেন এই বিষয়ে। এরপর সিদ্ধান্ত হয়েছে। চীনা এবং ভারতের সাথেও আমাদের বাণিজ্য ঘাতটি রয়েছে।

তিনি আরও বলেছেন, পশ্চিমবঙ্গের একটা পত্রিকা একটা কিছু লিখলে এটা নিয়ে এত মাথাব্যথার কিছু নেই। ভারত আমাদের আত্মার আত্নীয়। একে অপরের উন্নয়ন হলে আমরা সবাই ভালো থাকবো। ভারত সরকার এ বিষয়ে আমাদের কিছুই বলেনি।

এরপর ফোন করেছিলাম তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসানকে। তিনি প্রথমে ফোন ধরেননি। পরে কল ব্যাক করলে আমার কাছে বিষয়বস্তু জানতে চান। আমি আনন্দবাজারের বিষয়টি বললে তিনি প্রথমে রাজি হননি। বললেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী যেখানে কথা বলবেন, সেখানে আমার কিছু বলার থাকে না। তখন বললাম এটা একটা পত্রিকার বিষয়। গণমাধ্যমের বিষয়ে আপনি কথা বলতেই পারেন। তারপর তিনি রাজি হয়ে যান এবং ভোরের পাতা সংলাপে এসে বলেন, বাংলাদেশের কোনো মানুষই চায় না, ভারত বিদ্বেষী ভাব প্রতিষ্ঠিত হোক। আমরা বঙ্গবন্ধুর পররাষ্ট্রনীতি সবার সাথে বন্ধুত্ব, কারো সাথে শত্রুতা নয়; বজায় রেখে আমরা উন্নয়ন করতে চাই। আমরা কোনো যুদ্ধ চাই না। আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে যখন বৈশ্বিক দুর্যোগ মোকাবিলা করছি, তখন কেন আমরা অন্যদেশের সাথে বিদ্বেষমূলক আচরণ করবো। আমরা সবার সাথে বন্ধুত্ব রেখেই উন্নয়নের ধারা বজায় রাখতে চাই। ভারতের আনন্দবাজার খয়রাতি, ভিক্ষুক লিখলেও আমাদের কিছু যায় আসে না। কারণ সারা বিশ্বই জানে বাংলাদেশ এখন কোথায়। আমাদের অর্থনীতি এখন উদীয়মান বাঘের মতো গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। ভারত যেখানে ২০১৪ সালে ডিজিটাল দেশ গড়ার কথা বলেছিল, সেখানে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা ২০০৮ সালেই একথা বলেছিলেন। তার নেতৃত্বেই বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে, ইনশাল্লাহ।

ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের মধ্যে মেলবন্ধন সৃষ্টিতে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করে যাচ্ছেন ইন্দো-বাংলা চেম্বারের সভাপতি এবং এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি মাতলুব আহমেদ। আমার পরম শ্রদ্ধেয় এই মানুষটিকে ফোন করে বলার সাথে সাথেই ভোরের পাতা সংলাপে যোগ দেয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেন। এরপর তিনি বলেন, আমাদের মনে রাখতে হবে আনন্দবাজার ভারত নয়, ভারত ও আনন্দবাজার নয়। ভারতের পুরো দেশে আনন্দবাজার খুব কম লোকই পড়ে। আমরাই বিষয়টিকে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছি। এসব ছোটখাটো বিষয় নিয়ে আমাদের না ভেবে আরো বড় বড় বিষয় নিয়ে ভাবতে হবে। যারা এসব নিয়ে মাতামাতি করছে, তাদেরকে করতে দিন। বাংলাদেশ উন্নয়নের শীর্ষে  উঠে যাচ্ছে, এটা দেখে অনেকেই ঈর্ষান্বিত হচ্ছে। বাংলাদেশ কিন্তু ভারতের কাছ থেকে সমুদ্রসীমা জয় করেছি, ছিটমহলও বিনিময় হয়েছে।  এখন চীন ৯৭ শতাংশ পণ্যে শুল্কমুক্ত সুবিধা দিয়েছে, কিন্তু ভারত তো শতভাগ পণ্যের ওপর শুল্কমুক্ত সুবিধা ২০১১ সালেই দিয়েছিল।

এছাড়া আমি যোগাযোগ করি নিরাপত্তা বিশ্লেষক মেজর জেনারেল (অব.) আব্দুর রশিদের সঙ্গে। তিনিও বাংলাদেশকে অবমাননা করার যৌক্তিক জবাব দেয়ার জন্য মুখিয়ে ছিলন। ভোরের পাতা সংলাপে তিনি বলেন, আনন্দবাজার বাংলাদেশের মানুষকে আহত করেছে। ভারতের এই নিউজটি করা হয়েছে এমন একটা সময়ে যখন ভারত-চীনের মধ্যে যুদ্ধ যুদ্ধ অবস্থা রয়েছে। ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয় এটা।

আমাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রী যথার্থই বলেছেন, ভারতের সাথে বন্ধুত্বের গভীরতা অনেক। বাংলাদেশ এখন এমন একটি জায়গায় রয়েছে,  আমরা কাউকে বাধ্য নই সমর্থন দিতে। কিন্তু পাকিস্তান চীনের কাছ থেকেই যে পরিমাণ অর্থ নিয়ে, তা ফেরত দিতে পারবে না। কিন্তু বাংলাদেশ সেই অবস্থানে নেই। ভারত-চীনের মতো বড় দেশগুলো যখন যুদ্ধাবস্থায় তখন আমাদের কৌশলগত ভাবে এগুতে হবে। ভারতকে আমরা কোনো পরামর্শ দিচ্ছি না, তবে তাদের এতটুকু বলতেই হয়, প্রতিবেশীদের সাথে ভারতের সম্পর্কের অবনতি হয়েছে। এগুলো তাদেরই কাটিয়ে উঠতে হবে। কিন্তু ভারতের কাছ থেকে তিস্তাচুক্তি বাস্তবায়নের বিষয়ে অঙ্গীকার আদায় করতে হবে।

একই সঙ্গে আমি যোগাযোগ করি আনন্দবাজারের ঢাকা প্রতিনিধি (ডিজিটাল অনলাইন বিভাগ) সাংবাদিক অঞ্জন রায়ের সঙ্গে। তাকে আসামি হিসাবে এখানে উপস্থিত করেছিলাম। কিন্তু তিনি চমৎকারভাবে নিজের অবস্থান ব্যাখ্যা করে বলেন, আমি আনন্দবাজার পত্রিকার ডিজিটাল মাধ্যমের দায়িত্বে রয়েছে। আনন্দবাজারে ঢাকা থেকে কোনো নিউজ গেলে সেখানে ডিজিটাল লেখা থাকে। উল্লেখিত সংবাদটি আমার পাঠানো নয়। একজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হিসাবে আমাকেও সংবাদটি আহত করেছে। আমিও কষ্ট পেয়েছি। প্রথমেই আমার দেশ। আমার দেশ সম্পর্কে কোনো অবাঞ্ছিত কথা বলে তা আমি মানতে পারবো না।

বাংলা ভাষায় একটি কাগজে এসেছে বলে আমরা এতো বেশি আলোচনা করছি। এটা যদি তেলেগু ভাষায় ছাপ হতো তাহলে এতো আলোচনা হতো না। বাংলাদেশ এখন আগের মতো নেই। এখন কোনো দেশে দুর্যোগ হলে উড়োজাহাজে করে ত্রাণ পাঠানো হয়, নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু করছে। সেখানে অসম্মানজনক শব্দ আনন্দবাজার ব্যবহার করেছে, সেটা কাম্য নয়। এটি অবশ্যই দুঃখজনক। এই ধরণের শব্দচয়নের প্রতিবাদ জানাই। তবে সবচে ভালো কথা, ভারত সরকার এ বিষয়ে কিছু বলেনি।  বাংলাদেশ এখন সহায়তা দেয়া দেশ। তাই একটি পত্রিকার লেখায় বাংলাদেশের কিছুই হবে না।

এই ভোরের পাতা সংলাপের জের ধরেই আজ মঙ্গলবার পশ্চিমবঙ্গের প্রভাবশালী গণমাধ্যম আনন্দবাজার বাংলাদেশ সম্পর্কে ‘খয়রাতি’ শব্দটি ব্যবহারের জন্য নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করেছে। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ৭১ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর এই দিনে এই ক্ষমা চাওয়াটা আমাদের বিজয় বলে গণ্য করতে চাই। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শিক সৈনিক এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একজন কর্মী হিসাবে এটাকে আমার দায়িত্ব বলে মনে করি। এর আগেও জাতির পিতাকে অবমাননা করার কারণে বাংলাদেশ ব্যাংকের বিরুদ্ধে আইনি লড়াই করেছি। বাংলাদেশ ব্যাংকের ইতিহাস গ্রন্থে  বঙ্গবন্ধুকে অবমাননা করার পর মহামান্য হাইকোর্টে রিট আবেদন করেছিলাম। দীর্ঘ আইনি লড়াইয়ের পর সেই বইগুলো রিটকারী হিসাবে আমাকে সাথে নিয়ে ধ্বংস করার আদেশ দিয়েছে মহামান্য হাইকোর্ট। এটাও আমাদের সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টার ফল ছিল। এদেশে পাকিস্তানি প্রেতাত্মাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আমরা জিতেছি।

আনন্দবাজারের নিঃশর্ত ক্ষমা চাওয়ার মাধ্যমে আবারও বীরের জাতি বাংলাদেশিদের বিজয় হলো। দৈনিক ভোরের পাতা ও দ্যা পিপলস টাইমসের মাধ্যমে গত ১৬ বছর ধরে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী হিসাবে কাজ করে যাচ্ছি। বিএনপি-জামায়াত সরকারের আমলে আমাদের এই গণমাধ্যমকে টুঁটে ধরার অপচেষ্টা করা হয়েছিল। তবুও মাথা নত করি নাই, অপরাজনীতির কাছে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় অবিচল থেকে কাজ করে যাচ্ছি অবিরত। আরেকটা কথা না বললেই নয়, আজকের আনন্দবাজার আর আগের আনন্দবাজার এক অবস্থায় নেই। আর্থিক সংকটে পরে পত্রিকাটি এখন অনেকটাই শ্রী হারিয়েছে। আমাদের এই লড়াইয়ের কারণে আনন্দবাজারের মতো পত্রিকাকেও ক্ষমা চাইতে হয়েছে। আমাদের এই বিজয় পুরো বাংলাদেশীদের বিজয়। জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু, বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।

লেখক: সম্পাদক ও প্রকাশক, দৈনিক ভোরের পাতা ও দ্যা পিপলস টাইমস, পরিচালক, এফবিসিসিআই, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় শিল্প বাণিজ্য ও ধর্ম বিষয়ক উপকমিটির সদস্য।

বিডি প্রতিদিন/আরাফাত

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর