৭ অক্টোবর, ২০২০ ১০:৩৭

হেলাল হাফিজ এক ধ্রুপদী অস্পষ্টতা

মাহমুদ হাসান

হেলাল হাফিজ এক ধ্রুপদী অস্পষ্টতা

হেলাল হাফিজ

তার দু’চোখ ভেজা জলে, তার চোখে আগুন জ্বলে। আগুন ও জলের সুনিপুণ কারুকাজের একনিষ্ঠ কারিগর তিনি, দুর্বিনীত যৌবন ধুয়েছেন আগুনজলে। স্বরচিত কবিতায় আবেগের বেনোজলে নিজেকে ভাসিয়ে গেয়েছেন যৌবনের জয়গান ‘এখন যৌবন যার মিছিলে যাবার তার শ্রেষ্ঠ সময়/এখন যৌবন যার যুদ্ধে যাবার তার শ্রেষ্ঠ সময়।’এ যৌবন কেবল বিদ্রোহের প্রতিবাদ-প্রতিরোধের নয়, এ যৌবন শ্বাশত প্রেমের, নতুন সৃষ্টির। এ যৌবনে যিনি আগুন জ্বালেন, জল ঢালেন, তিনি প্রেমিক ও প্রতিবাদী হেলাল হাফিজ। আজ ৭ অক্টোবর তিনি পা রাখলেন তিয়াত্তরে। শুভ জন্মদিন কবি। জন্মদিনে কবিকে তারই রচিত কবিতা দিয়ে শুভেচ্ছা ‘তোমার জন্য সকাল, দুপুর/ তোমার জন্য সন্ধ্যা,/ তোমার জন্য সকল গোলাপ/ এবং রজনীগন্ধ্যা’। 

১৯৬৯ এর গণঅভ্যুত্থানের সময় রচিত ‘নিষিদ্ধ সম্পাদকীয়’ কবিতার কালোত্তীর্ণ দুটি পঙক্তি (‘এখন যৌবন যার...) হেলাল হাফিজকে এনে দেয় তারকা কবির খ্যাতি। এ দুটি পঙক্তি কেবল হেলাল হাফিজের নয়, তরুণদের কাছেও অত্যন্ত প্রিয়। তরুণ সমাজের কাছে অন্যায়- অনাচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ-প্রতিরোধের অনুপ্রেরণা। কিন্তু এমন উদ্দীপক কবিতার স্রষ্টা হলেও কবি হেলাল হাফিজ আমার চোখে কেবলই একজন ‘পরিপুষ্ট প্রেমিক’। জল ও আগুনের বৈপরীত্যের মধ্যেও যে সন্মিলন, তার আরেক রূপই তো প্রেম। প্রেম হলো স্বপ্ন দেখা। হেলাল হাফিজ প্রকৃতপক্ষে স্বপ্ন ও স্বপ্নভঙ্গের মেলবদ্ধ কবি। স্বপ্ন মানুষকে বাঁচিয়ে রাখে, আবার জীবিতের মধ্যেই বেঁচে থাকে স্বপ্নরা। এই প্রেম ও স্বপ্নকে সুঁই-সুতো বানিয়ে কবিতার পরতে যে অমোঘ শিল্পকর্ম রচনা করেন হেলাল হাফিজ, তা কেবল একজন কবির নিছক খেয়াল নয়। যদিও হেলাল বড় খেয়ালী মানুষ, যিনি আপন ঘরে খিল লাগিয়ে নিজেকে নিভৃতে লুকিয়ে রাখতে পছন্দ করেন আলস্যজাত নীরবতায়। তাই তো স্বল্পপ্রজ, নিভৃতচারী হেলাল হাফিজ তিয়াত্তরেও এক ধ্রুপদী অস্পষ্টতা,  খ্যাতির বিড়ম্বনায় বিব্রত এক লাজুক প্রাণ। যে প্রাণ নিজেকে দোলাতে ভেজাতে ভালোবাসে শরীরি ঝর্ণার জলে, জলের অনলে। যে প্রাণ দ্বিধাহীন বলে ‘যদি যেতে চাও, যাও/ আমি পথ হবো চরণের তলে,/ না ছুঁয়ে তোমাকে ছোঁব/ ফেরাবো না, পোড়াবোই হিমেল অনলে।’
কাব্যগ্রন্থ ‘যে জলে আগুন জ্বলে’ (১৯৮৬) ও ‘বেদনাকে বলেছি কেঁদো না’(২০১৯) এর কিছু কবিতা বিশেষ করে ’কবিতা একাত্তর’(২০১২) তে ‘অচল প্রেমের পদ্য’ অনুশিরোনামে প্রেম-বিরহের হৃদয়গ্রাহী  ক্ষুদে কবিতাগুলো  আমাকে দারুনভাবে বিমোহিত করে আজও। আমি ‘অচল প্রেমের পদ্য’এর ভেতর খুঁজে পেয়েছি এক আপাতঃ প্রতিবাদীর আড়ালে একজন পরিপূর্ণ প্রেমিককে। পদ্যগুচ্ছের অন্তরাত্মা যেন কবির নিজের জীবনের মতো ধ্রুপদী প্রেম ও রহস্যময়তায় পরিপূর্ণ। 

কবিতা, প্রেম, আলস্য, আত্মপীড়ণ, নিভৃতবাস এবং সময়ের অপচয় নিয়েই হেলাল হাফিজ। তরুণেরা তাকে ভালবাসে। তরুণীরা বেশি। সে দলে কিশোরীও আছে। তারা হেলালের কবিতায় খুঁজে পায় নিজেদের ব্যক্তিগত গল্প। কবির জন্মদিনে একটা অপ্রিয় কথা বলি,অল্প লিখে নামি কবি হওয়া হেলাল হাফিজ যিনি নিজেকে কেবল ঠকিয়েই গেলেন আর ঠকিয়ে চলেছেন তার ভক্তক‚লকে। পাঠকদের নতুন কবিতা থেকে বঞ্চিত করাও এক ধরনের ঠকানো বৈকি! যদিও নিজে ঠকতে ঠকতে হেলাল থেকে কবি হয়ে উঠেছেন। ‘কবি’ এখন তার ডাকনাম হয়ে গেছে। সবাই কত দরদ দিয়ে তাকে কবি ডাকে। যেমন খোলা আকাশে উড়তে উড়তে মেঘেরা ডাকে, মেঘের সংসারে কবি দরদী বন্ধু এক, বন্ধু প্রতিদিন। যে বন্ধু কবিতার রৌদ্রকরোজ্জ্বল উঠোনে দাড়িঁয়ে  বলতে পারেন ‘কেউ ডাকেনি তবু এলাম, বলতে এলাম ভালোবাসি।’ দীর্ঘ জীবনের চেয়েও দীর্ঘতর বেদনায় মোড়া এ কবিজীবন যখন শুদ্ধ উচ্চারণে বলে ‘হয়তো তোমাকে হারিয়ে দিয়েছি/ নয় তো গিয়েছি হেরে,/ থাক না ধ্রুপদী অস্পষ্টতা/ কে কাকে গেলাম ছেড়ে।’ তখন মন ছুঁয়ে যায় মুগ্ধতায়। এসব পঙক্তি ভালো লাগার কী কোন বয়স আছে!  ভাল লাগার বয়স নেই বলে ভাল লাগে শুনতে ‘আমাকে উস্টা মেরে দিব্যি যাচ্ছো চলে,/ দেখি দেখি/ বাঁ পায়ের চারু নখে চোট লাগেনি তো?/ ইস ! করেছো কি? বসো না লক্ষ্মীটি/ ক্ষমার রুমালে মুছে সজীব ক্ষতেই/ এন্টিসেপটিক দুটো চুমো দিয়ে দেই।’ কিংবা  ‘নখের নিচে রেখেছিলাম/ তোমার জন্য প্রেম,/ কাটতে কাটতে সব খোয়ালাম/ বললে না তো,-‘শ্যাম’/ এই তো আমি তোমার ভূমি/ ভালোবাসার খালা,/ আঙুল ধরো লাঙ্গল চষো/ পরাও প্রণয় মালা।’ অথবা ‘আছি।/ বড্ড জানান দিতে ইচ্ছে করে,/ আছি,/ মনে ও মগজে/ গুন্ গুন্ করে / প্রণয়ের মৌমাছি।’

নেত্রকোণার তালুকদার বাড়ির পুত হেলালের কবি হয়ে ওঠার পেছনে সবচেয়ে বড় অবদান নারীর।

তিনি এক জীবনে খন্ড খন্ড ভালবাসা পেয়েছেন আর সেই ভালবাসা বেদনা হয়ে তাকে দিয়ে কবিতা লিখিয়ে নিয়েছে। আর এখনো তিনি দিনের পর দিন নিজেকে দিয়ে নিজে উপভোগ করেন ভক্তের ভালোবাসা। দুঃখ ও বেদনাকে সবাই উপভোগ করতে পারে না। কবি সেটা ভাল করেই রপ্ত করেছেন।  হেলাল হাফিজ দেশের কবিতাঙ্গনে পা রাখেন ১৯৬০ দশকের মাঝামাঝি এবং সাংবাদিকতা পেশায় যোগ দেন ১৯৭০ দশকের গোড়ায়। ১৯৯০ দশকের শেষভাগে দৈনিক যুগান্তর পত্রিকায় কিছুকাল কবির সঙ্গে কাজ করার সুযোগ হয়েছিল আমার। তখন আমাদের ঘনিষ্ঠতা বাড়ে। কবি সেসময় একান্তে অনেক জমানো কথা বলেন আমাকে। তিনি বড় দুঃখপ্রিয় মানুষ। দুঃখ-বেদনা তাকে কবি করে তুলেছে। মাতৃহীনতার বেদনা, একাকিত্বের বেদনা, অপ্রাপ্তির বেদনা আর ভালোবাসাজাত মিহি বেদনার মিশিলে তিনি আজকের হেলাল হাফিজ। এই বেদনাময় ভালবাসা তাকে বহেমিয়ান করেছে আর অভিমানী। যুগান্তরের কমলাপুর লাগোয়া মতিঝিলের স্টিলবিল্ড অফিসে বসে তার কবি হয়ে ওঠার কাহিনি শুনতে শুনতে রাত ফুরিয়ে গেছে, আমরা টের পাইনি। বেশির ভাগই ছিল তার ভালবাসার, তার বেদনার গল্প। যেখানে কবিপ্রাণ ‘এতো ভালোবাসা পেয়ে, ভিতরে ভীষণ লাজে বেদনারা লাল হয়ে গেছে।’ ব্যক্তিগত গল্পে জানিয়েছেন কবি নিজের কবিতার মতই নারীর দারুণ ভক্ত। ডিজিটাল জামানার আগে মেয়েদের কাছ থেকে গাদা গাদা প্রেমপত্র পেতেন। এখন নিয়মিত তাকে ভার্চুয়াল লাভ অফার পাঠান ফেসবুক কন্যারা।  শৈশবে প্রায়ই কাউকে কিছু না বলে বাড়ি থেকে হঠাৎ হাওয়া হয়ে যেতেন। এ যেন ‘কোনোদিন, আচমকা, একদিন/ ভালোবাসা এসে যদি হুট করে বলে বসে,/ ‘চলো’, যেদিকে দু’চোখ যায় চলে যাই,/ যাবে?’ 
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার পর কবির মগজে পাকাপাকি বাসা বাঁধে  বহেমিয়ানতা। একসময় একঘেয়েমি কাটাতে চাকরি ছেড়ে জুয়াকে পেশা করে দিবানিশি তাস খেলেছেন। আবার কখনওবা অর্থের বিনিময়ে  বিত্তশালী সুন্দরী নারীর এক্সট্রা মেরিটিয়াল ফ্রেন্ড বা জিগলৌ হয়ে দিনের পর দিন তাদের সঙ্গ দিয়েছেন, কবিতা শুনিয়েছেন। সে-সব দূর অতীতের কেচ্ছা। বহুকাল হয় ধূমপান, মদ্যপান, জুয়াখেলা ছেড়ে এখন ফেসবুকের নতুন নেশায় মাতোয়ারা এ বয়সীতরুন। সাতসকাল থেকে মধ্যরাত অবধি অফুরান সময় কাটান ভার্চুয়াল কনভার্সেসনে। তার ফেসবুক বন্ধুদের গরিষ্ঠসংখ্যকই সুন্দরী রমণীকুল যাদের গড় বয়স উনিশ। কবির অনেক শুভাকাঙ্খীর অনুযোগ, মাত্রাতিরিক্ত ফেসবুক আসক্তি তার স্বাস্থ্যকে ক্রমেই ঝুকিপূর্ণ করে তুলছে। স্ক্রিনের উজ্জল আলোয় পুরুষ্ট হচ্ছে তার চোখে বাসা বাঁধা গ্লুকোমা। একদা দীর্ঘস্থায়ী স্বেচ্ছানির্বাসনের মতো স্বেচ্ছায় দৃষ্টিহীনতার দিকে হেঁটে চলেছেন কবি।  

কবির আঙুল ছলনা করতে জানেনা। তাই কবিতায় নিজের নিরাশ্রয় পাঁচটি আঙুল নির্দ্বিধায় অলংকার করে নিতে বলেছিলেন তার প্রেয়সী হেলেনকে। কবির প্রথম প্রেম হেলেন কী জানেন, তার কবির আঙুল এখন অ্যান্ড্রয়েড’র উজ্জল স্ক্রিনে ভেসে ওঠা কত ভার্চুয়াল মুখ স্পর্শ করে সকাল-সন্ধ্যা। ফেসবুকের কিশোরী বন্ধুদের মাঝে কবি খোঁজেন ছোটবেলার হেলেনকে। তরুণী বান্ধবীদের সঙ্গে ইনবক্সে খুনসুটির ফাঁকে হাতড়ে বেড়ান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্মৃতিময় ক্যাম্পাসের হেলেনময় সেই সোনালি দিনগুলো। স্মৃতিরোমান্থন করেন সবিতাদি’র স্নেহের আঁচলের নিচে ক্ষনিকের এক টুকরো আশ্রয়। বয়সে অনেক বড় জ্ঞাতিবোন রেণু সে-সময় কবির অন্যতম কাব্যলক্ষ্মী। রেণু আপা একা নন, কবিকে আরো প্রভাবিত করেছেন বন্ধুর ছোটবোন বাল্যপ্রেমিকা হেলেন এবং মিস্ট্রেস সবিতা সেন , যিনি ছিলেন রেণু আপার প্রায় সমবয়সি। কবিতায় অনেকের নাম এলেও কিন্তু কখনই রেণু আপাকে আনেননি কবি, খুব সন্তর্পণে এড়িয়ে গেছেন এই অবমিশ্র প্রেম।

প্রেম-বিরহের বয়স নেই, তেমনি কবির কাব্য ভাবনারও। মানুষ বুড়ো হলেও মানুষের মন তো বুড়ো হয়না কখনো। আর কবি তো রক্ত-মাংশেরই মানুষ। তাইতো বৃদ্ধবেলায়ও হেলাল হাফিজের আঙুল ফেসবুক ম্যাসেঞ্জারে ভালবাসা ছড়ায়। সেই ভালবাসায় কবি আবিষ্কার করেন যৌবনের নিজেকে, নিজের না-পাওয়াকে। হেলাল-হেলেনের ধ্রুপদী প্রেম, পাওয়া-না-পাওয়ার কাব্য, আনন্দ ছাপিয়ে বেদনার প্রগাঢ় অনুভ‚তি তো জীবনেরই গল্প। এইসব গল্পের ক্যানভাসে আঁকা কবিতার ভেতর কেবলই গভীর শূন্যতা। হেলাল হাফিজ আগাগোড়া ধ্রুপদী অস্পষ্টতায় মোড়া এক প্রাণ। তার যাপিতজীবন একটি বেদনার গল্প, যেখানে নিঃসঙ্গতা আর আড়ষ্টতা গলাগলি করে থাকে সখের বৈরাগ্যে। যে গল্পের উঠানে হেলেন-সবিতারা সংগোপনে অশ্রু ঝরায় শ্রাবণের মেঘ হয়ে। নিঝুম রাতে যখন বালিশে মুখ গুঁজে ফুপিয়ে কাঁদেন কবি, তখন অ্যান্ড্রয়েড’র স্ক্রিন থেকে বেরিয়ে এসে কেউ কী তার মাথার চুলে বিলি কেটে বলে এই তো আমি! কবি কী তখন কল্পনায় কারোকে হেলেন কিংবা সবিতাদি ভেবে বলেন তোমাকে দূর থেকে ভালবাসার আনন্দ অন্যরকম এক বেদনা! 
চিরস্থায়ীভাবে সংসারবিমুখ হয়ে সন্যাস জীবনযাপনে অভ্যস্থ হেলাল হাফিজ তিয়াত্তরতম জন্মদিন সামনে রেখে লেখা এক রচনায় আক্ষেপ করে বলেছেন ‘আমার আর ঘর হলো না, সংসার হলো না, অর্থকড়ি হলো না, প্রতিষ্ঠা হলো না।’ কবি ‘জীবনের প্রায় শেষপ্রান্তে’ দাঁড়িয়ে নিজেকে মূল্যায়ন করেছেন এভাবে ‘এখন কেবলই আমার মনে হয়, জীবনের সময়গুলো বৃথাই অপচয় করেছি। কত সুন্দর সুন্দর কবিতার পঙ্ক্তি এসেছে মাথায়, আমি টেবিলে বসিনি, লিখিনি। জীবনটা অপচয়ই করেছি বলা যায়। এ জন্য আমি এখন ভীষণভাবে লজ্জিত, অনুতপ্ত ও ক্ষমাপ্রার্থী।’ 

অনেক দেরিতে হেলাল হাফিজের ভাগ্যে জুটেছে বাংলা একাডেমী পুরস্কার। একুশে পদক কী জীবদ্দশায় মিলবে? একুশে পদক বা স্বাধীনতা পদকের তকমা লাগল কী লাগল না এ নিয়ে অবশ্য কোন আক্ষেপ-অনুযোগ নেই কবির। কারণ একাত্তরের ২৫ মার্চ কালরাত্রিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে যে জীবনের সলতে নিভে যেতে পারতো, ভাগ্যক্রমে সেই জীবনই আগামী বছর  ২০২১ সালে উদ্যাপন করতে যাচ্ছে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী। এ জন্য ৫০ বছর বেঁচে থাকা, এ তো অনেক বড় পাওয়া, অনেক সৌভাগ্য। দীর্ঘজীবী হোন হেলাল হাফিজ। স্বাধীনতার কবিতা লিখে রাষ্ট্রীয় পুরস্কার না মেলার আক্ষেপ তার না থাকলেও আমার আছে, আমার মতো অসংখ্য কবিভক্তের। 

লেখক: বাংলাদেশ প্রতিদিনের উপসম্পাদক ও কবি।  

 

বিডি প্রতিদিন/হিমেল

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর