৬ নভেম্বর, ২০২০ ০৯:২১

বাংলাদেশকে ভালোবেসে

সুলতান মাহমুদ শরীফ

বাংলাদেশকে ভালোবেসে

বাংলাদেশে থেকে, এদেশকে ভালোবাসতে শিখতে হবে। জন্মের পর থেকেই সকলের কাছে এটাই এদেশের মানুষের প্রত্যাশা। জন্মলাভ করে, যে দেশ, যে মাটি, যে মানুষকে দেখেছি তারাই আমাদের সব। এই দেশের মাটির গন্ধের স্বাদ নিয়েই আমরা সবাই বড় হয়েছি। এদেশের মানুষ ধনী-দরিদ্র, গরীব-দুখী, সুস্থ-অসুস্থ, সবল-দুর্বল, পূর্ণাঙ্গ আর বিকলাঙ্গ সব মানুষই নারী পুরুষ নির্বিশেষে একত্রে মিলেই আমরা ১৯৫৪ সালে, ১৯৭০ সালে সিদ্ধান্ত নিয়ে এদেশের মানুষ সমস্ত দায়িত্ব নিজেদের কাঁধে নিয়েছিল। সবাই মিলে রাজী হয়েছিলাম "কেউ আমাদের দাবিয়ে রাখতে পারবে না"। আমরা যখন দেশের মুক্তির জন্য "মরতে শিখেছি" সেই ব্রত নিয়েই মাত্র একজন মানুষ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের উপর অবলম্বন করে পরম করুণাময়ের উপর নির্ভর করে ৭১ সালে জীবনপণ সংগ্রামে অংশ নিয়েছিলাম। 

কি দেশ-কি বিদেশ, কি দূর-কি নিকট, এর কোন কিছুই চিন্তা করিনি। মাত্র একটা চিন্তা ছিল আমরা মা ও মাটিকে শত্রুমুক্ত করব-কোটি কোটি হাত শক্ত করে, সাড়ে সাত কোটি প্রাণ বাজি রেখে যে সম্মুখ সমরে অবতীর্ন হয়েছিলাম, তা আমাদের জন্য মুক্তি এনে দিয়েছিল। সে মুক্তির প্রথম সোপাণ ছিল-দেশকে দখলদার পাকিস্তানীদের ও তাদের বিদেশী অনুচর আমেরিকা- সৌদি আরবসহ বিভিন্ন দেশের অপদার্থ, অমানুষ ক্লিবদের উৎখাত করা। এদেরকে ঠিকই পরাজিত করেছিলাম, তাদের মূলোৎপাঠন করতে পেরেছিলাম। কিন্তু তাদের শিকড় উপড়ে ফেলতে যখন গেলাম, তখনই নীতি নৈতিকতা আর আইনের শাসনের বেড়াজালে আটকা পড়ে যেতে হলো আমাদের। যে বা যারা এটাকে শুধু কথার কথা বলে ছিল কেবল তারা নয়, যারা ভেবেছিল যে যদি বা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ফিরে আসেন, পাকিস্তানী বন্দীদশা থেকে, তখনও তারাই বঙ্গবন্ধু আর বাংলাদেশকে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসতে পারবে। কিন্তু দেশ স্বাধীন হওয়ার পর বঙ্গবন্ধু এদের প্রত্যাশাকে সম্পূর্ণ উপেক্ষা করে, দিবানিশি এই সদ্য স্বাধীন দেশটাকে শক্ত অবস্থানে নিতে, বিশ্বের কাছে পরিচিত করতে, জনগণকে সাথে নিয়ে নিয়োজিত হলেন দেশ গোছাতে। 

১০ জানুয়ারি ৭২ সালে বঙ্গবন্ধু দেশে ফিরে আসার আগেই দেশবিরোধী বিশ্বাসঘাতকদের একটি অংশ স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে অনুপ্রবেশ ঘটালো। আমরা তাদের সে সময় নাম দিয়েছিলাম "১৬ ডিভিশন" অর্থাৎ ৭১ সালে যারা দেশের বিভিন্ন সেক্টরে যুদ্ধ করেছিল-সারা বিশ্বে যারা বাংলার মানুষের পক্ষাবলম্বন করে এই দেশের মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয় সহযোগীতা করেছিল, তাদের ঘাড়ের উপরে এসে ১৬ ডিসেম্বর ১৯৭১ সালের বিকালে দলবদ্ধভাবে "জয় বাংলা স্লোগাণ" দিতে দিতে সেই মুক্তি পাগল মানুষের ভিড়ে এরা মিশে গেল। বাংলাদেশে "এই ১৬ ডিভিশনের" সেই থেকে শুরু হলো অনুপ্রবেশ। স্বার্থ উদ্ধারে তৎপর এই গোষ্ঠীর অনুপ্রবেশ আমাদের রাজনৈতিক অঙ্গনে এভাবেই।   

দেশ শত্রুমুক্ত হওয়ার দীর্ঘ ২৫ দিন পর বাঙালি তার স্বপ্নপুরুষ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ফিরে পেল। পাকিস্তানী কারাগার থেকে মুক্ত হয়ে নেতা দেশের প্রিয় মানুষের কাছে এলেন। তার আগমণের অপেক্ষায় আমাদের উত্তেজনা প্রকাশ করার কোন ভাষা ছিলো না। কর্মীদের সাথে বঙ্গবন্ধু সারাজীবন একটি আন্তরিক সম্পর্ক রাখতেন, আমাদের সকল আবদার এবং অভিযোগ তিনি শুনতেন, দরদ দিয়ে সমাধানের চেষ্টা করতেন সর্বতোভাবে। আমরাই ছিলাম নেতার সবচেয়ে প্রিয় মানুষ। সেই অধিকার তিনি আমাদের দিয়েছিলেন সারাজীবন। ১০ জানুয়ারী দেশে ফিরে এসে সেই রাতে বেগম মুজিবসহ পরিবারের সকলের কারারুদ্ধ থাকা ধানমন্ডির ৮নং বাড়িটিতে সহকর্মীদের বিদায় করে তিনি একান্তে বসেছিলেন তার প্রিয় কর্মীদের সাথে। আমরা তার পাকিস্তান কারাগারের অসহ্য জীবনের কিছু বিবরণ শুনলাম তার কাছ থেকে। তারপর আমাদের অনেক কথার মধ্যে যুদ্ধাপরাধী ও দালালদের কথা এলো। কথা এলো, যারা এসময়টা মুক্তিযুদ্ধের সাথে জড়িত থাকার নামে পাকিস্তানের পক্ষাবলম্বন করেছিল বা পক্ষ নিয়েছিল সে প্রসঙ্গও। বঙ্গবন্ধু আমাদের কথা শুনলেন মনযোগ দিয়ে। আমাদের প্রবোধ দেওয়ার সুরেই তিনি দুটো মন্তব্য করলেন। প্রথমটি হলো যে "এখন তো আর পাকিস্তান নাই সুতরাং তারা আস্তে আস্তে দেশকে ভালোবাসতে শুরু করবে"। আর দ্বিতীয়টি হলো "তোমরা মরনপণ সংগ্রাম করে স্বাধীনতা এনেছো যারা ভুল করেছে তারা অনুতপ্ত হবে, দেশের জন্য শেষমেষ কাজ করবে, কারণ তারা তো পরাজিত ও সংখ্যায় কম"।            

৭৩ সালের মার্চ মাসে তিনি বাংলাদেশকে একটি নতুন সংবিধান দিলেন, সেই অনুসারেই একটি সাধারণ নির্বাচন হলো, নির্বাচনে জনগণ আওয়ামী লীগকে বিপুল ভোটে জয়ী করে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব দিলো। বঙ্গবন্ধুর গতিশীল ও বিপ্লবী নেতৃত্বে আমরা বিশ্ব দরবারে সংসদীয় গণতন্ত্রের মাধ্যমে সরকার গঠন করে একটি স্বাধীন দেশের পূর্ণ মর্যাদা পেলাম। আমরা যখন বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে দেশকে উন্নত করার সার্বক্ষণিক কাজ করছি, যুদ্ধ বিদ্ধস্ত দেশটাকে পুনর্গঠন ও উন্নত করার যারপরনাই সংগ্রামে লিপ্ত তখনই এলো সেই ভয়াভহ আগস্ট ৭৫ এর কালো রাত।
আমাদের মানুষের সকল আশা আকাঙ্খা ভুলুন্ঠিত হলো। পুরো দেশটাকে আবার ৭১ সালের বিধ্বস্ত অবস্থায় তারা ফিরিয়ে নিয়ে গিয়েছিল। আরেকবার শুরু হলো ৭১এর ঘাতক দালাল ও তাদের অনুচরদের অত্যাচার ও নির্যাতন। হত্যা করা হলো লক্ষ, লক্ষ মুক্তিযোদ্ধাকে নির্বিচারে নৃশংসভাবে। শুরু হলো যুদ্ধাপরাধী এবং তাদের অনুগতদের পূনর্বাসনের, সরকারের প্রতিটি স্তরে। ৭১ সালে পাকিস্তানের পক্ষাবলম্বন করা, চাকুরীচ্যুত সরকারী কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের পূনর্বাসন করা হলো ও পদোন্নতি দেওয়া হলো এদেশে মোস্তাক ও জিয়ার স্বৈরাচারী শাসনামলে। নতুনভাবে সাজানো হলো প্রশাসনকে রাজাকার ও আলবদরদের নেতৃত্বে। দেশের প্রধানমন্ত্রী করা হলো ৭১ এর রাজাকার শাহ আজিজকে-উত্ত্বান হলো ধর্ম ব্যবসায়ী জামাত, নেজামী ইসলামীদের।

বাংলাদেশকে মুক্ত করতে পরম করুণাময় আল্লাহতায়ালা ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের আশীর্বাদকে সম্বল করে বঙ্গবন্ধু কন্যা জননত্রেী শেখ হাসিনা রাজনৈতিক অঙ্গনে তার অবস্থান প্রতিষ্ঠা করলেন। ১৯৮১ সালের এক অপরাহ্নে বৃষ্টি ভেজা বাংলাদেশে তিনি ফিরে এলেন। বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবার পরিজনের নৃশংস হত্যাকারীদের রক্তচক্ষু অগ্রাহ্য করে তাদের হাতে নিজের জীবন বিপন্ন হওয়ার সকল সম্ভাবনাকে বিন্দুমাত্র তোয়াক্কা না করে। শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন বৃটেনের একটি বহুল প্রচারিত পত্রিকার মতে ইতিহাসের সর্ববৃহৎ জনসংবর্ধনায় পরিণত হয়েছিলো। ক্ষমতা দখলকারী শাসকগোষ্ঠী ও তাদের আন্তর্জাতিক নিয়ন্ত্রকরা এই গণসংবর্ধণা দেখে প্রমাদ গুনতে শুরু করলো। অল্প কয়েকদিনে মধ্যেই আরেকটি সামরিক অভ্যুথানের মাধ্যমে বিশ্বাসঘাতক খুনী জিয়াকে সরিয়ে তারই আজ্ঞাবহ অনুচর বঙ্গবন্ধু হত্যাকারীদের আরেক এজেন্ট তদানীন্তন সেনাবাহিনীর প্রধান হুসেইন মোহাম্মদ এরশাদকে নিহত জিয়ার স্থলাভিষিক্ত করে। রাজাকার আলবদরদের রাষ্ট্রক্ষমতার কতৃত্ব বহাল রইলো।                        
জননেত্রী শেখ হাসিনার জীবনের উপর সেই থেকে আজ পর্যন্ত ২১ বার আঘাতের চেষ্টা চালায় খুনীরা, বিভিন্ন সরকারের প্রত্যক্ষ মদদে। জননেত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৬ সালে নির্বাচনের মাধ্যমে সরকার গঠণে সক্ষম হন। দেশে সংবিধানকে ৭৫ পরবর্তী সময় যে সব সংশোধন করা হয়েছিল, তা বাতিল করে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করে-বঙ্গবন্ধুর প্রত্যক্ষ হত্যাকারীদের আইনের আওতায় নিয়ে আসেন এবং পরবর্তীতে শাস্তি বিধানের ব্যবস্থা নিতে সক্ষম হন। ১৯৭১ সালের পাকিস্তানী দালালদের কিছু কিছু লোকের শাস্তি বিধান করেন যে প্রক্রিয়া এখনও চলছে। যদিও বঙ্গবন্ধু, তার পরিবার পরিজন ও জাতীয় নেতাদের হত্যার সাথে যারা প্রত্যক্ষভাবে জড়িত ছিলো ও ১৫ই আগস্ট, ৩রা নভেম্বরে জেল হত্যাকারীদের সহযোগীদের (হত্যাকাণ্ডের আগে এবং ঘৃণ্য হত্যার পরে) শাস্তি বিধানের কোন ব্যবস্থা আজও হয় নাই। হত্যাকারীদের অনুচরেরা আজও শাসনযন্ত্রসহ রাষ্ট্রযন্ত্রের সকল পর্যায়ে বিচরণ করছে ও রাষ্ট্রযন্ত্রকে প্রতিনিয়ত ক্ষতিগ্রস্ত করছে। এ অবস্থার অবসান আনতে হলে আইনের শাসনকে সমুন্নত রেখে দেশবিরোধী সকল ষড়যন্ত্র বন্ধ করতেই হবে। শেখ ফজলুল হক মণির ভাষায় আমাদের ৭৫ পূর্বকালের স্লোগান ছিলো "মোনায়েমের আমলা দিয়ে মুজিবের শাসন সুরক্ষা করা সম্ভব না"। আজও তাই স্বৈরাচারী শাসকদের চিন্তা চেতনা ও পাকিস্তানী ভাবধারার লোকদের অনুপ্রবেশকে বন্ধ না করে শেখ হাসিনার শাসনকে স্থায়ী করতে চেষ্টা করা যাবে, কিন্তু এরা সর্বদাই বাংলাদেশকে অকার্যকর করার চেষ্টায় লিপ্ত থাকবে। এটা স্মরণে রেখে, এদেরকে রাষ্ট্রযন্ত্র ও সমাজ নিয়ন্ত্রণের সকল কর্মকান্ড থেকে দূরে সরিয়ে রাখতে হবে। এদের রাজনৈতিক ও আদর্শিক ভাবশিষ্যরা বাংলাদেশকে গ্রহণ করেনি ভবিষ্যতেও করবেনা। আজও তাদের একটা প্রচেষ্টা বাংলাদেশকে অকার্যকর করা- হেনরি কিসিঞ্জারের "আন্তর্জাতিক বাস্কেট কেসকে" সফল করার জন্য এরা আজও লেগে আছে। এদের হাত থেকে দেশকে বাঁচাতে হবে, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হবে।   

এ কাজটি করার পথে যে অন্তরায় তা ২য় মহাযুদ্ধ শেষে বৃটেনকে ও মুখোমুখি হতে হয়েছে। জেমস জয়েস যে নিজেকে লর্ড হ-হ নাম দিয়ে নাৎসি জার্মানীর পক্ষাবলম্বন করে এলাইড ফোর্সের বিরুদ্ধে প্রপাগান্ডা করতো ২য় মহাযুদ্ধের পুরো সময়টা, সেই জেমস জয়েসকে ফাঁসির কাষ্ঠে ঝুলানো হয়েছিলো যুদ্ধাপরাধী বিচারের মাধ্যমে। এছাড়া আরোও বহু ব্রিটিশ নাগরকিককে একই অপরাধে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশে জননেত্রী শেখ হাসিনা জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে ক্ষমতায় এসে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের ব্যবস্থা করেছেন। বাংলাদেশে জন্মেও এদেশের মানুষেকে নির্বিচারে হত্যায় পাকিস্তানী দখলদার বাহিনীর সাথে যারা প্রত্যক্ষভাবে অংশগ্রহণ করেছিল তাদের শাস্তি বিধান করা হয়েছে এখনও সেই শাস্তিবিধান প্রক্রিয়া দেশে চালু আছে। পাকিস্তানী দোসররা ও তাদের বংশধরদের তত্ত্বাবধানে আজ মূখোশের আড়ালে থেকে নতুন নতুন নাম দিয়ে কিছু ভুঁইফোড় সংগঠন প্রতিদিনই গজিয়ে উঠছে। এইসব সংগঠনের মাধ্যমে নতুন নতুন পদ পদবী সৃষ্টি করে লোভীদের একটা অভয়ারণ্যে পরিণত করে বাংলাদেশের অগ্রগতিকে পরাভূত করার প্রচেষ্টা চলছে। রাজনৈতিক, ধর্মীয়, সাংস্কৃতিক লেবাসে সংগঠন সৃষ্টি করে আমাদের স্বাধীনতার মূল্যবোধকে পদদলিত করার চেষ্টায় লিপ্ত এরা। দেশও দলকে এদের হাত থেকে মুক্ত করতে চাইলে ও দেশপ্রেমিক মানুষের হাতে দেশকে রেখে যেতে হলে জননেত্রী শেখ হাসিনাকেই এইসব পরগাছার মূলোৎপাটন করার সংগ্রামে নেতৃত্ব দিতে হবে। মুক্তিযুদ্ধকালের বৃটিশ সাংবাদিক মার্ক টালি অতিসম্প্রতি বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নতিকে "ছাই থেকে জন্ম নেওয়া ফিনিক্স পাখির মতো উড়ছে" বলে মন্তব্য করেছেন। এ সম্ভাবনা আজ বাস্তবায়নের পথে।  

লক্ষ, কোটি দেশপ্রেমিক মানুষের কঠোর পরিশ্রমের ফলে আজ দেশটি সর্বোতভাবে উন্নতির দিকে গিয়ে বিশ্ববাসীর বিস্ময়ে পরিণত হয়েছে। এই অবস্থান ধরে রাখতেই হবে। একে স্থায়ী করতেই হবে। এজন্য যারা দিবানিশি কাজ করছেন তাদেরকে, তাদের স্বপ্নকে বিফল হতে দেয়া যাবে না। এখন আর সংগঠনের কর্মী সংখ্যা বাড়িয়ে ক্ষতি ছাড়া লাভ নেই। নতুন প্রজন্মের প্রকৃত দেশদরদী মানুষদের হাতে রাজনৈতিক সংগঠনকে রেখে যেতে হবে-যারা স্বার্থের দাস না হয়ে দেশের সেবক হিসেবে রাজনৈতিক ও সামাজিক কর্মকাণ্ডে আত্মনিয়োগ করবে। তারাই হবে এদশের চালিকাশক্তি।  
গড়ে হরিবল সকলকে বিনা পরখে সংখ্যা বাড়ানোর জন্য দলে লোক জড়ো করলে, আগাছা ছাড়া আর কিছুই জোগাড় করা যাবে না এবং এরা দেশ ও জাতিকে বিদেশীে বেনিয়োদের মতোই লুট করে অভাবী করে রাখবে অনন্তকাল। বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা "শশ্মান" হওয়ার হাত থেকে রক্ষা করার ব্রত নিয়ে যারা কাজ করবে তাদের সংখ্যা বৃদ্ধি করে, আগাছাদের বিতাড়িত করে, দেশপ্রেমিকদের দিয়ে সংগঠনকে শক্তিশালী করলেই আমাদের ভবিষ্যৎ বংশধরদের জন্য একটি সম্ভাবনাময় বাংলাদেশ রেখে যেতে পারবো। এই হোক আজকের দিনে আমাদের প্রত্যাশা।  

লেখক : সভাপতি, যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগ।

বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর