ভাবনা থেকে সৃষ্টির যাত্রা শুরু হয়। ভাবনা যেটাই হোক, সেখানে যদি ঘুমন্ত একটা স্বপ্ন থাকে তবে তা মানব সভ্যতার মহামূল্যবান সম্পদও হতে পারে। ভাবনার ভাবনা থাকে।
একজন বিজ্ঞানী ভাবনা থেকে ভাবনা সৃষ্টি করে অনেক আবিষ্কারের জন্ম দেয়। একজন লেখক ভাবনা থেকে কল্পনা সৃষ্টি করে একটার পর একটা সাহিত্য রচনা করে যান। একইভাবে একজন দার্শনিক তার নিজের দর্শনের ভাবনা থেকে অনেক ভাবনার জন্ম দিয়ে দর্শন থেকে দর্শন বের করে আনে। ভাবনার এই শক্তি অর্থনীতি, রাজনীতি, শিক্ষা, মনস্তত্ব, নেতৃত্ব, মানবিক মূল্যবোধ ও উন্নয়ন সহ সবক্ষেত্রে প্রয়োগ করা সম্ভব।
বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও বিশ্ববিখ্যাত বিজ্ঞানী আলবার্ট আইনস্টাইন বিভিন্ন সময়ে ভাবনার আদান প্রদান করেছেন। এই ভাবনায় সাহিত্য বিজ্ঞানকে ও বিজ্ঞান সাহিত্যকে এক নতুন উচ্চতায় নিয়ে গেছে।
রবীন্দ্রনাথ ও আইনস্টাইনের মধ্যে প্রথম যোগাযোগ ঘটলো। রবীন্দ্রনাথ সাক্ষাৎ শেষে বেরিয়ে আসার পর সাংবাদিকেরা তাঁকে প্রশ্ন করলেন, ‘এইমাত্র আপনি একজন বিশ্বখ্যাত বিজ্ঞানীর সঙ্গে কথা বললেন, আপনার প্রতিক্রিয়া কী?’ রবীন্দ্রনাথ উত্তর দিলেন, ‘আমি তো একজন বিশ্বখ্যাত কবির সঙ্গে কথা বললাম।’
ভাবনার বড়ত্ব ও উদারতা এখানেই। যা দেখা যায় না, উপলব্ধি করা যায় না কিন্তু ঘটে যায় অভূতপূর্বভাবে।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন