আগামীকাল শুক্রবার বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি মণ্ডলীর অন্যতম সদস্য, স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম মহিলা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এডভোকেট সাহারা খাতুনের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী। গত বছরের ৯ জুলাই থাইল্যান্ডের বামরুনগ্রাদ হাসপাতালে চিকিতৎসাধীন অবস্থায় এডভোকেট সাহারা খাতুন ইন্তেকাল করেন। তিনি কিডনি, নিউমোনিয়াসহ বিভিন্ন রোগে ভুগছিলেন।

সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম থেকে শুরু করে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে পতিত জিয়া-এরশাদের সামরিক দুঃশাসন শাসন আর বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের পতন আন্দোলনে অগ্রভাগে ছিলেন এডভোকেট সাহারা খাতুন। গণতান্ত্রিক আন্দোলন-সংগ্রামে নেতৃত্ব দিতে গিয়ে প্রিয় সাহারা আপা রাজপথে পতিত ক্ষমতাশীনদের নির্যাতনের সম্মুখীন হয়েছেন বার বার- গুরুতর আহত হয়েছেন একাধিক বার। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের আদর্শের সৈনিক হিসেবে অগ্নি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে সফলতা অর্জনে ও পিছিয়ে নেই। ঊনিশ শ' পঁচাত্তরের পনেরো আগস্ট কালো রাত্রিতে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মধ্য দিয়ে অবৈধভাবে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখলকারীদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ আন্দোলনে আইন অঙ্গনের পাশাপাশি রাজপথের প্রতিটি কর্মসূচিতে অগ্রভাগে ছিলেন তিনি। ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত বিএনপি-জামায়াত জোটের দুঃশাসনের বিরুদ্ধে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আন্দোলনে বলিষ্ঠ ভূমিকা রেখেছে সাহারা আপা।

সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অগণতান্ত্রিক পন্থায় রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা কুক্ষিগত করার বিরুদ্ধে আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছেন গণতন্ত্রের মানসকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা। যার ফলে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কারান্তরালে যেতে হয়েছে বঙ্গবন্ধু কন্যাসহ জাতীয় অন্যান্য নেতাদের। সে সময় বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠার পক্ষ অবলম্বন ও তার নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে শ্রদ্ধাভাজন নেতা (প্রয়াত রাষ্ট্রপতি) জিল্লুর রহমানের নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলের অন্যতম সংগঠক হিসেবে অগ্রণী ভূমিকা রেখেছিলেন। বাংলাদেশ মহিলা সমিতির সভানেত্রীসহ বিভিন্ন নারী সংগঠনে সম্পৃক্ত থেকে নারী জাগরণের অগ্রদূত হিসেবে কাজ করেছেন এডভোকেট সাহারা খাতুন। 

লেখক : সাবেক সহ-সম্পাদক, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় উপ কমিটি
সাবেক সহ-সভাপতি, বাংলাদেশ কৃষক লীগ

বিডি প্রতিদিন/ফারজানা