২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ ১৯:৩৪

পিলখানা ট্র্যাজেডি

অধ্যাপক মোহাম্মদ এ. আরাফাত

পিলখানা ট্র্যাজেডি

অধ্যাপক মোহাম্মদ এ. আরাফাত

২৫ ফেব্রুয়ারি, বাংলাদেশের ইতিহাসে কালো দিন। ২০০৯ সালের এই দিনে রাজধানীর পিলখানায় বিডিআর সদর দফতরে (বর্তমান বিজিবি) ঘটে এক মর্মান্তিক ও নৃশংস ঘটনা। বিদ্রোহী বিডিআর জোয়ানদের হাতে প্রাণ হারান ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তাসহ মোট ৭৪ জন।

বাংলাদেশ বিরোধী অপশক্তি যারা ৭৫ এর ১৫ই আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করেছিল, ২০০৪ সালের ২১শে আগস্ট যারা বঙ্গবন্ধু কন্যাকে হত্যার উদ্দেশ্যে গ্রেনেড ছুড়ে মেরেছিল, সেই একই অপশক্তি ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার মাত্র ৫০ দিনের মাথায় পিলখানা হত্যাযজ্ঞের ঘটনা ঘটানোর পিছনে ছিল বলে আমার বিশ্বাস। 

৫০ দিন বয়সের একটি সরকারের মন্ত্রিপরিষদ ছাড়া আর কোথাও তার অস্তিত্ব থাকে না। দুই মাস বয়সের একটি সরকার থাকে প্রচণ্ড অসংগঠিত ও দুর্বল। পিলখানার ঘটনাটি ঘটানো হয়েছিল দুই মাস বয়সের একটি নতুন সরকারকে ফেলে দেবার জন্যই। আওয়ামী লীগের শত্রুপক্ষই পিলখানার ঘটনাটি ঘটিয়েছিল। আওয়ামী লীগ সরকার যেন যুদ্ধাপরাধের বিচার করতে না পারে সেই উদ্দেশ্যেই বিপুল ভোটে নির্বাচিত তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকারকে ফেলে দিতে চেয়েছিল তারা। 

পরবর্তীতে আওয়ামী লীগ সরকার পিলখানা হত্যাকাণ্ডের পূর্ণাঙ্গ বিচার স্বচ্ছতার সাথে করেছে। পিলখানা হত্যা মামলায় ৮৫০ জনকে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় অভিযুক্ত করা হয়, তাদের বেশিরভাগই বিলুপ্ত ঘোষিত বাংলাদেশ রাইফেলস বা বিডিআরের সদস্য ছিল। বিএনপি এবং এমনকি আওয়ামী লীগের স্থানীয় কয়েকজন নেতাও এই মামলার আসামি ছিল।

৫ নভেম্বর ২০১৩ সালের ঘটনায় আদালত ১৫২ জনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে। একই মামলায় আরও ১৬১ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। 

পিলখানা হত্যাকাণ্ড নিয়ে আওয়ামী লীগ কোনো ‘জজ মিয়া’ নাটক সাজায়নি। এখন সময় এসেছে এই মর্মান্তিক ও নৃশংস ঘটনার পিছনের কারিগরদের খুঁজে বের করার।

লেখক : শিক্ষক ও গবেষক

বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর