১১ জুলাই, ২০২৩ ০৯:৩৭

অংশীদারি আরো গভীর করতে চায় যুক্তরাষ্ট্র

মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আলী শিকদার (অব.)

অংশীদারি আরো গভীর করতে চায় যুক্তরাষ্ট্র

মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আলী শিকদার (অব.)

গত ৮ জুলাই কালের কণ্ঠের প্রথম পৃষ্ঠায় ছাপা হওয়া একটি প্রতিবেদনের শিরোনামটিকেই আজকের লেখার শিরোনাম হিসেবে বেছে নিয়েছি। শিরোনামে উল্লিখিত লক্ষ্য নিয়ে আজ ১১ জুলাই থেকে চার দিনের গুরুত্বপূর্ণ এক সফরে বাংলাদেশে এসেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিদল। দলের নেতৃত্বে আছেন মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মানবাধিকার, গণতন্ত্র ও বেসামরিক জনগণের নিরাপত্তা বিষয়ক আন্ডারসেক্রেটারি উজরা জেয়া। সঙ্গে আছেন আরেক গুরুত্বপূর্ণ প্রতিনিধি মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া শাখার অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি ডোনাল্ড লু, যিনি গত জানুয়ারি মাসে একবার বাংলাদেশ সফর করে গেছেন।

এ সপ্তাহের শুরুতে সফরে এসেছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের একটি প্রতিনিধিদল, যারা বাংলাদেশের আগামী জাতীয় নির্বাচনে পর্যবেক্ষক পাঠানোর বিষয়াদি নিয়ে সব অংশীজনের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করছে। এর দু-তিন দিন আগে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দায়িত্বপ্রাপ্ত সচিব এক দিনের জন্য বাংলাদেশ সফর করে গেছেন।

অংশীদারি আরো গভীর করতে চায় যুক্তরাষ্ট্রগত ১৪ বছরে বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ সামগ্রিকভাবে যে উচ্চতায় উঠেছে, তাতে উত্তাল বৈশ্বিক পরিস্থিতিতেও সব আগামী ও বর্তমান পরাশক্তিগুলোর জন্য এশিয়া প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে নীতিনির্ধারণে বাংলাদেশ যেভাবে গুরুত্বপূর্ণ অনুঘটক হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে, তা একাধারে যেমন মর্যাদার বিষয়, তেমনি একই সঙ্গে রাষ্ট্রের সক্ষমতার পরিচায়ক। অক্ষমের কোনো মূল্য থাকে না, কেউ খোঁজ নেয় না।


যে দেশকে একসময় আন্তর্জাতিক অঙ্গন থেকে বলা হতো পরবর্তী আফগানিস্তান, সেখানে আজ অভাবনীয় পরিবর্তন ঘটেছে, বিশ্বব্যাপী এক বিশাল সম্ভাবনার অপর নাম এখন বাংলাদেশ। খ্যাতিমান কলামিস্ট নিকোলাস ক্রিস্টফ ২০২১ সালের ১০ মার্চ নিউ ইয়র্ক টাইমসের এক নিবন্ধে উল্লেখ করেছেন, বৈশ্বিক দারিদ্র্য মোচনে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রেসিডেন্ট বাইডেন কাজ করতে চাইলে বাংলাদেশের দারিদ্র্য মোচনের মডেলটি গ্রহণ করতে পারেন।
বৈদেশিক সম্পর্কের বেলায় বাংলাদেশের মৌলিক নীতি সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারো সঙ্গে বৈরিতা নয়। জাপানের সঙ্গে সম্প্রতি কৌশলগত সম্পর্ক স্থাপনের মধ্য দিয়ে পশ্চিমা বিশ্বের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্কের নতুন দিগন্তের সূচনা হয়েছে।

চলমান বৈশ্বিক যুগে রাষ্ট্রবিজ্ঞানের ধ্রুপদি সার্বভৌমত্বের সংজ্ঞা এখন আর কার্যকর নয়। এক দেশের সঙ্গে অন্য দেশের স্বার্থ এখন মিলেমিশে একাকার। ইউক্রেনের ন্যাটো জোটে যোগ দেওয়া অথবা না দেওয়া নিয়ে যে যুদ্ধ তার পরিণতিতে সারা বিশ্ব আজ চরম ভোগান্তিতে আছে। উদারনৈতিক মূল্যবোধসংবলিত এবং সন্ত্রাস, জঙ্গিমুক্ত বাংলাদেশ শুধু নিজস্ব উন্নয়নের জন্য নয়, পুরো অঞ্চলের নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতার জন্য আবশ্যক। আঞ্চলিক সন্ত্রাসবাদ, ক্রস বর্ডার টেররিজম, উগ্রবাদ, বিচ্ছিন্নতাবাদমুক্ত দক্ষিণ এশিয়া নির্মাণে ভারত-যুক্তরাষ্ট্র একসঙ্গে কাজ করার দৃঢ় অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছে, যেটি সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির যুক্তরাষ্ট্র সফরের সময় অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে আলোচনায় এসেছে।

গত ২০ জুন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেল উল্লিখিত বিষয়ে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছেন। একজন সাংবাদিকের প্রশ্ন ছিল, প্রেসিডেন্ট বাইডেন ও প্রধানমন্ত্রী মোদি দক্ষিণ এশিয়ায় ক্রস বর্ডার টেররিজম, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবিরোধী যে অবস্থান ঘোষণা করেছেন এবং সেটি প্রতিরোধে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে যেভাবে একমত হয়েছেন, তাতে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলোতে সশস্ত্র বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীকে বাংলাদেশের বিগত একসময়ের যে রিজিম সহযোগিতা ও সমর্থন দিয়েছে, তাদের বাংলাদেশে আবার ক্ষমতায় ফিরে আসা-না আসা নিয়ে দুই নেতার মধ্যে কোনো আলোচনা হয়েছে কি না। উত্তরে প্যাটেল রিজিম বিষয়টি ঊহ্য রেখে বলেছেন, দক্ষিণ এশিয়ায় ক্রস বর্ডার টেররিজম রোধে সব পন্থা ও কৌশল অবলম্বনে দুই নেতা একমত হয়েছেন এবং এ ক্ষেত্রে ভারতের দৃষ্টিভঙ্গিই হবে মার্কিন দৃষ্টিভঙ্গি। সমগ্র এশিয়া প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের নীতি ও কৌশল বাস্তবায়নে সহযোগী হিসেবে ভারতের অপরিহার্যতা সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রে নরেন্দ্র মোদির রাষ্ট্রীয় সফরের মধ্য দিয়ে আরেকবার বোঝা গেছে।
অন্যদিকে ভৌগোলিক অবস্থানের কারণেই জননিরাপত্তাসহ ভূ-খণ্ডের অখণ্ডতা রক্ষায় একটি স্থিতিশীল, জঙ্গি সন্ত্রাসমুক্ত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ ভারতের জন্য অপরিহার্য। এ ব্যাপারে ভারতের সব রাজনৈতিক দল, থিংকট্যাংক ও সুধীসমাজ একমত। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জিরো টলারেন্স নীতির কারণে সব বিদেশি সন্ত্রাসী গোষ্ঠী বাংলাদেশ থেকে উত্খাত হয়েছে। পরিপূর্ণ শান্তি ফিরে এসেছে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সব রাজ্যে। আসামের বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী উলফার প্রধান অরবিন্দ রাজখোয়া ২০১১ সালে পত্রিকার সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ২০০৪ সালের এপ্রিল মাসে অস্ত্রের একটি চালান চট্টগ্রামে ধরা পড়লেও পাকিস্তানের পৃষ্ঠপোষকতা ও তৎকালীন বাংলাদেশ সরকারের সহায়তায় উলফা তার আগেও বেশ কয়েকটি অস্ত্রের চালান পেয়েছে। রাজখোয়ার এই বক্তব্য দৈনিক হিন্দুস্তান টাইমসের সূত্রে বাংলাদেশের একটি প্রধান দৈনিকে প্রকাশিত হয় ২০১১ সালের ৮ আগস্ট।

ভারত, চীন, যুক্তরাষ্ট্রসহ সবাই নিজ নিজ স্বার্থকে প্রাধান্য দিয়েই বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক বৃদ্ধি করতে চাইবে, সেটাই স্বাভাবিক। কিন্তু এ কথা কারো বলার সুযোগ নেই যে অমুক দেশের সঙ্গে তোমরা সম্পর্ক রেখো না বা কমিয়ে দাও। অথবা বাংলাদেশের স্বার্থের বিরুদ্ধে যায় এমন কোনো শর্ত বা দাবি কেউ করলে তা বাংলাদেশের মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্য হবে না, যে কথা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বারবার দৃঢ়ভাবে উল্লেখ করেছেন।

মুক্তিযুদ্ধের সময় মার্কিন প্রশাসন বিরুদ্ধে থাকলেও সে দেশের জনগণ ব্যাপকভাবে বাংলাদেশকে সমর্থন দিয়েছে। ১৯৭২ সালের ৪ এপ্রিল আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি প্রদানের পর থেকে গত ৫২ বছরে যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের সম্পর্ক বহু শাখা-প্রশাখায় বিস্তৃত হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র আমাদের উন্নয়নের অন্যতম অংশীদার। গত ৫০ বছরে যুক্তরাষ্ট্র আট বিলিয়ন ডলার সরাসরি বিনিয়োগ করেছে বাংলাদেশে। এক কোটি ১৫ লাখ করোনা টিকা বিনা মূল্যে দিয়েছে। আমাদের বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের প্রধান খাত গার্মেন্ট রপ্তানি সবচেয়ে বেশি হয় যুক্তরাষ্ট্রে, বছরে প্রায় ১০ বিলিয়ন ডলার। ২০২১-২২ একাডেমিক বছরে বাংলাদেশ থেকে প্রায় সাড়ে ১০ হাজার ছাত্র-ছাত্রী গিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে। আমাদের গ্যাস সরবরাহ ব্যবস্থায় প্রায় শতকরা ৬০ ভাগ কাজ করে মার্কিন কম্পানি শেভরন। ২০২১-২২ অর্থবছরে বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবসার প্রবৃদ্ধি প্রায় শতকরা ৩২ ভাগ। ২০১৮ সালে বাংলাদেশের প্রথম স্যাটেলাইট বঙ্গবন্ধু-১ উৎক্ষপিত হয় যুক্তরাষ্ট্রের কেনেডি সেন্টার থেকে। এ ছাড়া দুই দেশের মধ্যে নিরাপত্তা ও সামরিক সহযোগিতামূলক বেশ কয়েকটি প্ল্যাটফরম রয়েছে।

দুই দেশের সামরিক সদস্যদের প্রশিক্ষণ সহযোগিতাসহ ঢাকার অদূরে রাজেন্দ্রপুরে বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল পিস সাপোর্ট অপারেশন সেন্টারে নিয়মিতভাবে অংশ নিচ্ছেন মার্কিন সেনাবাহিনীর সদস্যরা। বাংলাদেশ নেভির সবচেয়ে বড় যুদ্ধজাহাজ সমুদ্র বিজয় যুক্তরাষ্ট্র থেকে কেনা হয়েছে। সুতরাং আওয়ামী লীগ সরকারের ১৪ বছরে বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পেয়েছে। বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতির চরম বিভাজনের সুযোগে জাতীয় নির্বাচন এলেই উন্নয়নের অংশীদার বৃহৎ রাষ্ট্রগুলো নিজ নিজ দৃষ্টিভঙ্গির বিবেচনায় অনেক কথা বলে, যা বাংলাদেশের মানুষ পছন্দ করে না। কিন্তু বাংলাদেশের প্রধান দুই রাজনৈতিক পক্ষ যদি অন্তত রাষ্ট্রের অস্তিত্বের মৌলিক ভিত্তির জায়গায় এক থাকত, তাহলে এমন চরম বিভাজনের রাজনীতি থাকত না, বিদেশি কোনো পক্ষও আমাদের নির্বাচন নিয়ে কথা বলার সুযোগ পেত না।

বাংলাদেশের প্রাণভোমরা ও অস্তিত্বের প্রধান নিয়ামক মুক্তিযুদ্ধ। অথচ বড় এক রাজনৈতিক পক্ষ জাতির পিতাকে মানে না, আনুষ্ঠানিক সম্মান দেখায় না, স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র, পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সংগ্রামের ঐতিহ্য এবং একাত্তরে যুদ্ধ জয়ের মূল প্রেরণা ও চেতনা জয় বাংলাকে সম্পূর্ণভাবে প্রত্যাখ্যান করে। এ রকম অদ্ভুত রাজনীতি পৃথিবীর দ্বিতীয় কোনো দেশে নেই। তাই বিশ্বের অন্যান্য দেশের সঙ্গে বংলাদেশের রাজনীতির কোনো তুলনা চলে না। এ সুযোগটাই যখন বিদেশি পক্ষ নিতে চায়, তখন তার দোষ আমাদের অভ্যন্তরীণ রাজনীতির ওপরই বেশি বর্তায়। সুতরাং বাস্তবতা বড়ই কঠিন। এই কঠিনকে বিবেচনায় নিয়েই বাংলাদেশকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সুষ্ঠু নির্বাচনের দৃঢ় ঘোষণা দিয়েছেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রও বাংলাদেশে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন চায়।

কিছুদিন আগে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র প্যাটেল এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে বলেছেন, সুষ্ঠু নির্বাচনের পথে বাধা সৃষ্টিকারী সবার জন্য ভিসা নীতি কার্যকর হবে। নির্বাচন কোন সরকারের অধীনে হবে, বাংলাদেশের সংবিধান কী বলে বা তত্ত্বাবধায়ক সরকার ইত্যাদি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের কোনো অবস্থান নেই। কে নির্বাচনে অংশ নিল, আর কে নিল না, তা নিয়েও যুক্তরাষ্ট্রের বক্তব্য নেই। তাই মার্কিন প্রতিনিধিদলের যে সফর আজ ১১ জুলাই থেকে শুরু হচ্ছে তাতে বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়ার রাষ্ট্রগুলোর উন্নয়ন ও নিরাপত্তা নিশ্চিতকল্পে এবং একই সঙ্গে বিচ্ছিন্নতাবাদ, উগ্রবাদ, ক্রস বর্ডার টেররিজম রোধকল্পে যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশ যৌথভাবে কাজ করার ক্ষেত্রগুলো কিভাবে প্রশস্ত করা যায়, তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হতে পারে বলে মনে হয়। সাইড টক বা পার্শ্ব বিষয়ের আলোচনায় বাংলাদেশের নির্বাচনের কথাও আসবে হয়তো। তবে আলোচনাগুলো দ্বিপক্ষীয় হলেও বাস্তবতা ও প্রেক্ষাপটের সূত্রে ভারত, যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশ—এই ত্রিমুখী সম্পর্ককে এগিয়ে নেওয়ার বিষয়টিও একই সময়ে গুরুত্ব পেতে পারে। মার্কিন প্রতিনিধিদলটি দিল্লি-ঢাকার উদ্দেশে রওনা হওয়ার আগে ওয়াশিংটনে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বিস্তারিত আলোচনা করেছে, কথা বলেছে ভারতের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গেও। ভারত সফর শেষ করেই দলটি বাংলাদেশে এলো। সব কিছুর একটা সামগ্রিকতা আছে। একক কোনো বিষয় থেকে সামগ্রিক বৃহত্তর স্বার্থই সবার কাছে প্রাধান্য পাবে, এটাই যুক্তির কথা। তাই যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিদলের এই সফর উভয় দেশের জন্য ফলপ্রসূ হবে—এই প্রত্যাশা করি।

লেখক : রাজনৈতিক ও নিরাপত্তা বিশ্লেষক

[email protected]

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর