সেলিম উল্যা সেলিম বলেন, ২০২০ সালে মার্কেট রিসার্চ অনুসারে দেখা যায়, ২০১০ সালে মার্কেট শেয়ারের ২০ ভাগ ছিল লোকাল ব্র্যান্ডগুলোতে। ৮০ শতাংশ আন্তর্জাতিক ছিল। ২০২০ সালে এসে দেখা যায়, ৮০ শতাংশ লোকাল ব্র্যান্ড হয়েছে আর ২০ শতাংশ আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ডের হয়েছে। সরকারের ব্যবসাবান্ধব নীতির কারণে রেফ্রিজারেটর শিল্প এই অবস্থানে পৌঁছেছে।
অত্যাধুনিক প্রযুক্তির যন্ত্রপাতি, উন্নত কাঁচামাল, দক্ষ জনবল দিয়ে উদ্ভাবনী ও উৎকর্ষ সাধনের ফলে দেশের নাম্বার ওয়ান কোয়ালিটি রেফ্রিজারেটর ব্র্যান্ড যমুনা। অবকাঠামোগত উন্নয়ন, দেশব্যাপী বিদ্যুৎ সংযোগ এবং মানুষের জীবনযাপনে পরিবর্তনের ফলে প্রতিনিয়ত ব্যবহৃত হচ্ছে রেফ্রিজারেটর। এক সময় কনজুমার ইলেকট্রনিক্স আমদানিনির্ভর ছিল সেই চিত্র এখন মোটামুটি উল্টো। বাংলাদেশের লোকাল ব্র্যান্ডগুলো আধিপত্য বেড়েছে রেফ্রিজারেটর শিল্পে। দুই যুগ আগে বাংলাদেশের কনজ্যুমার ইলেকট্রনিক্সের ব্যবসা শুরু হয়। শহরে কোয়ালিটি প্রোডাক্টের চাহিদা বেড়েছে। এক সময় যেটি নিতান্তই শখের জিনিস ছিল বর্তমানে তা প্রয়োজনীয় উপকরণ।
তিনি বলেন, মানুষের স্বাস্থ্য আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের প্রোডাকশনের কোনো স্তরে আমরা সিলিকন জেল ব্যবহার করি না। আমরা পরিবেশবান্ধব মানুষের জীবনের ক্ষতি করে না এমন জিনিস ব্যবহার করি। আমরা সিক্স হান্ড্রেড গ্যাস ব্যবহার করি রেফ্রিজারেটরে। এখনো অনেক ভালো ইন্ডাস্ট্রি এই ধরনের গ্যাস ব্যবহার করে না। ইলেকট্রিসিটি এখন খুব গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আমরা সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী পণ্য দিয়ে থাকি। সাম্প্রতিক বুয়েটে আমরা কুলিং পারফরমেন্সের একটা টেস্ট করেছি। কুলিং পারফরমেন্সের জন্য আমাদের বেস্ট রেফ্রিজারেটর প্রমাণিত হয়েছে। আমাদের কুলিং হচ্ছে ফোর ডিগ্রি থেকে মাইনাস ২৬ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড। অন্যান্য লোকাল ব্র্যান্ডগুলোর কুলিং ক্যাপাসিটি চার ডিগ্রি থেকে মাইনাস ১৭-১৮ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড পর্যন্ত রয়েছে। আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ডগুলো কোনোটাই মাইনাস ২০-এর ওপর নয়। বুয়েট টেস্টে এটা প্রমাণিত হয়েছে। এখন লোডশেডিং চলছে। আমাদের ফ্রিজ ক্রয় করলে ইলেকট্রিসিটি না থাকলেও তিন দিন পর্যন্ত খাবার সতেজ থাকবে। ডিপ ফ্রিজে পাঁচ দিন পর্যন্ত খাবার সতেজ থাকবে।
সেলিম উল্যা সেলিম বলেন, ২০২০ সালে মার্কেট রিসার্চ অনুসারে দেখা যায়, ২০১০ সালে মার্কেট শেয়ারের ২০ ভাগ ছিল লোকাল ব্র্যান্ডগুলোতে। ৮০ শতাংশ আন্তর্জাতিক ছিল। ২০২০ সালে এসে দেখা যায়, ৮০ শতাংশ লোকাল ব্র্যান্ড হয়েছে আর ২০ শতাংশ আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ডের হয়েছে। সরকারের ব্যবসাবান্ধব নীতির কারণে রেফ্রিজারেটর শিল্প এই অবস্থানে পৌঁছেছে। এ শিল্পে সরকার আমাদের আগে থেকেই শুল্কমুক্ত সুবিধা দিয়ে থাকে যেটা ২৩ সালে শেষ হয়ে যাওয়ার কথা। শুল্কমুক্ত যে সুবিধাটা পাচ্ছি এটা মিনিমাম ২০৩০ সাল পর্যন্ত যেন নেওয়া হয়। তাহলে আমাদের এই শিল্পটা আরও কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে বড় ধরনের ভূমিকা রাখবে।
আফটার সেলস সার্ভিস আমাদের এখানে শূন্য দশমিক শূন্য তিন শতাংশ মানুষ আসেন। মানুষ যখন পণ্যের ত্রুটি-বিচ্যুতি পায় তখনই তো পণ্য সম্পর্কে অভিযোগ করবেন। আমাদের ১ হাজার ফ্রিজ বিক্রি করলে খুব রেয়ার এক-দুইটা ফ্রিজ নিয়ে কমপ্লেইন আসে। এর পরেও সারা দেশে ৬৪ জেলার ৫৭০টি থানায় আমাদের সার্ভিস সেন্টার রয়েছে। এ ছাড়াও শহরের মধ্যে ১১টি অথরাইজ সার্ভিস সেন্টার রয়েছে।
দেশের বাজারে গ্রাহকদের সাশ্রয়ী ও মানসম্পন্ন ইলেকট্রিনিক্স পণ্য সরবরাহের লক্ষ্য নিয়ে যাত্রা শুরু করে যমুনা ইলেকট্রনিক্স অ্যান্ড অটোমোবাইলস। শহর থেকে মফস্বল সর্বত্র পণ্য পৌঁছে দিতে সারা দেশে আমাদের ফ্ল্যাগশিপ শোরুম হচ্ছে। আমরা সাশ্রয়ী মূল্য, দীর্ঘস্থায়িত্ব, বিদ্যুৎসাশ্রয়ী, আকর্ষণীয় ডিজাইন, উন্নত কম্পেসার, ওয়ারেন্টি, বিক্রয়োত্তর সেবা ও অত্যাধুনিক প্রযুক্তির পণ্যটি সরবরাহ করছি।