পরিচ্ছন্নতার বিকল্প নেই। আমাদের সুস্থ থাকার জন্য চারপাশ পরিষ্কার রাখা জরুরি। পরিষ্কার-জীবাণুমুক্ত খাবার না খেলে সুস্থ জীবন লাভ করা সম্ভব নয়। তাই তো সবার আগে রান্নাঘর পরিষ্কার রাখার দিকে গুরুত্ব দিতে হয়। রান্নাঘরের নাম এলেই আসে ফ্রিজের প্রসঙ্গ। তাই নিয়মিতভাবে ফ্রিজও পরিষ্কার করতে হবে। মাছ, মাংস, শাক-সবজি থেকে শুরু করে যে কোনো খাবার দীর্ঘদিন ধরে সংরক্ষণ করতে আমরা সবাই এই ফ্রিজের ওপর নির্ভরশীল। তবে ফ্রিজ যদি অপরিষ্কার থাকে এর থেকে তৈরি হতে পারে নানা রকম অসুবিধা। তাই নিয়মিত ফ্রিজ পরিষ্কার করা জরুরি। নতুবা খাবার নষ্ট হয়ে যায় ও ফ্রিজও ভালো থাকে না। ফ্রিজের নোংরা পরিষ্কার করা কিন্তু খুব একটা কঠিন নয়। আপনার জন্য রইল সহজ গাইডলাইন।
ফ্রিজ কত দিন পরপর পরিষ্কার করা উচিত
সুস্থ থাকতে হলে নিয়মিত ফ্রিজ পরিষ্কার করতেই হবে। মাসে অন্তত এক দিন ফ্রিজ ভালো করে পরিষ্কার করুন। গরম সাবান জলে নরম কাপড় বা স্পঞ্জ ভিজিয়ে ফ্রিজ পরিষ্কার করুন। চলুন দেখে নেওয়া যাক ফ্রিজ পরিষ্কারের ধাপগুলো।
প্রথম ধাপ
প্রথমে বৈদ্যুতিক সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে ফ্রিজটির দরজা খুলে রাখুন। দেখবেন বরফ এমনিতেই গলে যাবে। বরফ সরাতে আপনার আর কষ্ট করতে হবে না।
ফ্রিজের সব জিনিস একে একে বের করে নিন। এতে পরিষ্কার করতে সুবিধা হবে। এবার ফ্রিজের খাবারগুলো একটি বালতিতে ভরে ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দিন। ফলে বরফ গলে যাবে না। ফ্রিজ ধুতে দেরি হলেও খাবার ভালো থাকবে।
দ্বিতীয় ধাপ
ফ্রিজের র্যাক, ড্রয়ার ও ছোট সেলফগুলো খুলে রেখে দিন। এবার আলাদাভাবে হালকা গরম পানিতে ডিটারজেন্ট মিশিয়ে ভিজিয়ে রাখুন। কিছুক্ষণ পর স্পঞ্জ দিয়ে ভালো করে ঘষে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এবার শুকনো কাপড় দিয়ে মুছে শুকিয়ে নিন।
তৃতীয় ধাপ
ডিটারজেন্ট মেশানো পানি একটি বোতলে ভরে ফ্রিজের ভিতরে স্প্রে করুন। এবার নরম স্পঞ্জ দিয়ে ভালোভাবে ঘষে নিন। ব্রাশ দিয়ে ফ্রিজের কর্নারের রাবারগুলো ভালো করে পরিষ্কার করে নিন। এর পর পুরো ফ্রিজ মুছে নিন। র্যাক, ড্রয়ার এবং ছোট শেলফগুলো আবার আগের জায়গায় রাখুন।
চতুর্থ ধাপ
পরিষ্কারের সঙ্গে সঙ্গেই সুইচ অন করবেন না। ঘণ্টা দুয়েক পর অন করুন। সব শেষে ফ্রিজের মধ্যে এক টুকরা লেবু কেটে রেখে দিন। এতে ফ্রিজে গন্ধ হবে না।
