মঙ্গলবার, ২০ জুন, ২০২৩ ০০:০০ টা

গ্রাহক আস্থার শীর্ষে মিনিস্টার রেফ্রিজারেটর

নিজস্ব প্রতিবেদক

গ্রাহক আস্থার শীর্ষে মিনিস্টার রেফ্রিজারেটর

এম এ রাজ্জাক খান রাজ, চেয়ারম্যান, মিনিস্টার-মাইওয়ান গ্রুপ,ভাইস প্রেসিডেন্ট, এফবিসিসিআই

সর্বস্তরের গ্রাহকদের পছন্দ মাথায় রেখে রেফ্রিজারেটরের বিভিন্ন আকার ও ডিজাইন করা হয়েছে। পণ্যগুলো কীভাবে আরও উন্নত করে গ্রাহকদের কাছে পৌঁছানো যায় সে জন্য নিরলস কাজ করে যাচ্ছি।

মিনিস্টার-মাইওয়ান গ্রুপের চেয়ারম্যান ও এফবিসিসিআইয়ের ভাইস প্রেসিডেন্ট এম এ রাজ্জাক খান রাজ বলেছেন, দীর্ঘ ২১ বছর ধরে সুনামের সঙ্গে ব্যবসা করছি আমরা। বাজারে যেসব পণ্য বিক্রি হচ্ছে তার মধ্যে মিনিস্টার রেফ্রিজারেটর অনেক বেশি জনপ্রিয়। গ্রাহক আস্থার শীর্ষে অবস্থান করছে মিনিস্টার রেফ্রিজারেটর। উন্নত প্রযুক্তির মানসম্মত পণ্য সুলভ মূল্যে গ্রাহকের কাছে পৌঁছে দেওয়াই আমাদের লক্ষ্য।

প্রতিষ্ঠানের শুরুর গল্প তুলে ধরে তিনি বলেন, ২০০২ সালে সাদা-কালো টেলিভিশন তৈরি ও বাজারজাত করার মাধ্যমে যাত্রা শুরু হলেও আমরা এখন সব ধরনের ইলেকট্রনিকস এবং হোম অ্যাপ্লায়েন্স পণ্য উৎপাদন করে বাজারের ১৫-২০ শতাংশ শেয়ার ধরে রেখেছি। আমাদের রেফ্রিজারেটর সব গ্রাহকের চাহিদা এবং প্রয়োজনীয়তা পূরণ করতে সক্ষম। সর্বস্তরের গ্রাহকদের পছন্দ মাথায় রেখে রেফ্রিজারেটরের বিভিন্ন আকার ও ডিজাইন করা হয়েছে। পণ্যগুলো কীভাবে আরও উন্নত করে গ্রাহকদের কাছে পৌঁছানো যায় সে জন্য নিরলস কাজ করে যাচ্ছি।

ব্যবসার চ্যালেঞ্জগুলো জানতে চাইলে মিনিস্টার-মাইওয়ান গ্রুপের চেয়ারম্যান বলেন, প্রতিযোগিতামূলক বাজারে টিকে থাকতে হলে প্রতিবন্ধকতা থাকবেই। এসব প্রতিবন্ধকতা জয় করেই লক্ষ্যে পৌঁছাতে হবে। বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দায় বিদেশ থেকে কাঁচামাল আনার জন্য ডলার সংকটের কারণে এলসি করাটা সমস্যা হচ্ছে। এটা যে শুধু আমাদের দেশে তা নয়; সারা পৃথিবীজুড়ে একই অবস্থা। তাছাড়া বাজারে অনেকে অনেক নামিদামি ব্র্যান্ডের নাম ব্যবহার করে কম দামে নকল পণ্য বাজারজাত করছে। এসব পণ্যে কোনো ধরনের গুণগত মান বজায় রাখা হয় না। এতে একদিকে গ্রাহক যেমন পণ্য ক্রয়ে ঠকছে, অন্যদিকে এটির জন্য গ্রাহকদের মনে অন্য ব্র্যান্ডের ওপর বিশ্বাস এবং আস্থা কমে যাচ্ছে। এটা আমাদের মতো ব্যবসায়ী, যারা সঠিক গুণগত মান বজায় রেখে ইলেকট্রনিকস পণ্য উৎপাদন করছে তাদের জন্য হুমকিস্বরূপ। সরকারের বাজার মনিটরিং সংস্থাকে এ বিষয়টির ওপর গুরুত্ব দেওয়ার অনুরোধ জানাই।

প্রস্তাবিত বাজেটের পরিপ্রেক্ষিতে কোনো দাবি বা সুপারিশ রয়েছে কি না জানতে চাইলে এফবিসিসিআইয়ের ভাইস প্রেসিডেন্ট এম এ রাজ্জাক খান রাজ বলেন, প্রস্তাবিত বাজেটে বলা হয়েছে, বিদেশি রেফ্রিজারেটর আমদানিতে সম্পূরক শুল্ক বাড়ানো হতে পারে। দেশি রেফ্রিজারেটর প্রস্তুতকারক কোম্পানিগুলোর ওপর ভ্যাট অব্যাহতি অপরিবর্তিত থাকবে। যা স্থানীয় কোম্পানিগুলোর জন্য সুখবরই বলা চলে। সরকার দেশীয় পণ্যের প্রসার বাড়াতে সাহায্য করে আসছে। তারই ধারাবাহিকতায় নতুন বাজেট করা হয়েছে।

প্রতিষ্ঠান নিয়ে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, গ্রাহকের কাছে আমাদের পণ্য পৌঁছে দেওয়ার জন্য আমরা সারা বছরই গ্রাহকদের জন্য কোনো না কোনো অফার দিয়ে থাকি। পণ্য ক্রয়ে গ্রাহকের সুবিধার জন্য   আমরা সহজ কিস্তি সুবিধা রেখেছি। মাত্র   দৈনিক ৫০ টাকার কিস্তিতে টেলিভিশন, ১০০ টাকায় ফ্রিজ এবং মাসিক ২০০০ টাকার  কিস্তিতে এয়ার কন্ডিশনার দিচ্ছি। যা বাজারের আর কোনো কোম্পানি দিচ্ছে না। আমরা শূন্য শতাংশ ইন্সলমেন্টেও মিনিস্টার পণ্য দিচ্ছি। এ ছাড়াও পুরাতন পণ্য দিয়ে “পুরানো দিলে নতুন মেলে”

অফারে পরিবর্তন করে মিনিস্টার পণ্য নেওয়ারও সুযোগ রয়েছে। ঈদ সামনে রেখে ‘ঈদ সালামি’ অফার ঘোষণা করা হয়েছে। এই অফারে পণ্য কিনে গ্রাহক পেতে পারেন কোটি কোটি টাকার পুরস্কার। শুক্রবারে গ্রাহকদের জন্য থাকছে বিশেষ অফার। যার মাধ্যমে গ্রাহকরা নির্দিষ্ট পণ্যের ওপর অবিশ্বাস্য মূল্যছাড়সহ আকর্ষণীয় সব উপহার পাচ্ছেন। আমরা সব সময় গ্রাহকদের সুবিধা এবং ক্রয়ক্ষমতার কথা মাথায় রেখে প্রতিটি পণ্যের দাম নির্ধারণ করে থাকি। ফ্রিজে আমাদের সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়, সেই জন্য আমাদের রেফ্রিজারেটর ৬৬ শতাংশ বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী। ৫ হাজারেরও বেশি সদস্য নিয়ে মিনিস্টার পরিবার। এই পরিবারের সঙ্গে আগামী কয়েক বছরের মধ্যে ২০ হাজারের বেশি মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা আমাদের লক্ষ্য।

 

 

সর্বশেষ খবর