ইলেক্ট্রো মার্ট গ্রুপের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. নুরুল আফছার বলেন, বাংলাদেশে প্রথম সস্তায় রঙিন টিভি বাজারে এনেছিল ইলেক্ট্রো মার্ট। ১৯৯৮ সালের পর অর্ধেকেরও কম দামে কনকা টিভি বাজারে আসে এবং শহরে ও গ্রামে-গঞ্জে গ্রাহকরা রঙিন টিভি উপভোগ করার সুযোগ পায়। পর্যায়ক্রমে গ্রাহকদের টেলিভিশনের চাহিদা ও নিত্যনতুন প্রযুক্তির সমন্বয়, ক্রেতাদের রুচি, আর্থিক সক্ষমতা, ঝকঝকে ছবি, শব্দের উৎকর্ষতা উল্লেখযোগ্যসংখ্যক মডেলের টেলিভিশন উৎপাদন ও বাজারজাত করছে ইলেক্ট্রো মার্ট গ্রুপ। গ্রাহকের চাহিদা পূরণে অত্যাধুনিক এবং উন্নতমানের পণ্য তুলে দেওয়াই মূল লক্ষ্য।
তিনি আরও বলেন, দেশের ইলেকট্রনিকস মার্কেটে যখন উচ্চমূল্যে ক্রেতাদের কাছে আমদানি করা টেলিভিশন বিক্রি শুরু হয়, তখনই ইলেক্ট্রো মার্ট প্রয়োজন বোধ করে কীভাবে স্বল্পমূল্যে উন্নতমানের একটি আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ডের টেলিভিশন দেশের সর্বস্তরের গ্রাহকের কাছে পৌঁছানো সম্ভব। একসময় রঙিন টিভি বলতে আমদানিকৃত কয়েকটি বিদেশি ব্র্যান্ডই ছিল এবং দামও ছিল বেশি। ফলে ইলেক্ট্রো মার্ট ১৯৯০ সাল থেকে প্রথম বিশ্বখ্যাত কনকা ব্র্যান্ডের ১৪ ও ২১ ইঞ্চি সিআরটি টেলিভিশন বিপণন কার্যক্রম শুরু করে।
টেলিভিশনের নতুন ফিচারের বিষয়ে মো. নুরুল আফছার বলেন, সম্প্রতি আমরা কনকা টিভিতে বেশ কিছু নতুন ফিচার যোগ করেছি যেমন গুগল টিভি, কিউএলইডি অ্যান্ড ট্রু কালার এইচডিআর টেকনোলজি যা একেবারেই নতুন। এতে টিভির পিকচার কোয়ালিটি অত্যন্ত প্রাণবন্ত উপভোগ্য হয়। এ ছাড়া কনকা টিভিতে রয়েছে জিরো এক্স র্যাডিয়েশন। এর ফলে দীর্ঘ সময় টিভি দেখলেও চোখের কোনো সমস্যা হবে না। গুগুল টিভি উইথ ভয়েস কন্ট্রোল এবং কার্নেল ভার্সন একসঙ্গে আমরাই বাংলাদেশে প্রথম করেছি। এর মাধ্যমে একসঙ্গে ৮ হাজারের বেশি অ্যাপস স্টোরেজ করা সম্ভব। খেলা দেখা, গান শোনা বা মুভি দেখার জন্য শব্দ একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। সে বিষয়টি মাথায় রেখে আমরা বিশ্বের বিখ্যাত সাউন্ড মেকার ডলবি ডিজিটাল কর্তৃক সার্টিফায়েডকৃত সাউন্ড সিস্টেম অ্যাড করেছি; যা টিভি![](/assets/archive/images/Print-Edition/2024/05.%20May/27-05-2024/Bd-Pratidin-27-05-24-F-05.jpg)
টিভিশিল্প নিয়ে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সম্পর্কে প্রতিষ্ঠানটির এই উপব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন, আমরা আশা করি অল্প সময়ের মধ্যে এ দেশের টিভিবাজারের বৃহৎ অংশ কনকা টিভির অধীনে আসবে। এ দেশের মানুষের ঘরে ঘরে সাধ্যের মধ্যে আন্তর্জাতিক মানের কনকা টিভি পৌঁছে যাবে। সরকারের নীতিসহায়তা দীর্ঘমেয়াদি ভিত্তিতে পাওয়া গেলে আমরা টিভিশিল্পকে পরিপূর্ণ শিল্প খাতে রূপান্তরের চেষ্টা করব এবং রপ্তানির দিকে এগিয়ে নিতে সক্ষম হব। টেলিভিশন শিল্প খাতের জন্য সব ধরনের মূলধনি যন্ত্রপাতি বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয়। যেখানে একটি পরিপূর্ণ কারখানা স্থাপনের জন্য প্রচুর দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগ করতে হয়। এ বিনিয়োগের বিপরীতে রিটার্ন আনতে ১০-১৫ বছরের বেশি সময়ের প্রয়োজন। কাঁচামাল, খুচরা যন্ত্রাংশ ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় উপকরণ সম্পূর্ণ আমদানিনির্ভর। ফলে আমদানি পর্যায়ে যথেষ্ট চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হতে হয়।