বৃহস্পতিবার, ৩০ মে, ২০২৪ ০০:০০ টা

লেনদেন স্মার্ট করবে নগদের ডিজিটাল ব্যাংক

নিজস্ব প্রতিবেদক

লেনদেন স্মার্ট করবে নগদের ডিজিটাল ব্যাংক

সেই দিন বেশি দূরে নয়, যখন আর কেউ ব্যাংক দেখতে পাবে না, অথচ ব্যাংকিং হবে আগের চেয়ে ঢের বেশি। লেনদেনও বাড়বে বহুগুণ। এখনই তো অনেকে ছাপা টাকা সঙ্গে নিয়ে চলতে অনাগ্রহী। সামনের দিনে ছাপা টাকা হয়তো ‘অনাকাক্সিক্ষত’ বিষয়ে পরিণত হবে। হাতের মোবাইলেই ঘটবে সব। এমনই প্রেক্ষাপটে আসছে দেশের প্রথম ডিজিটাল ব্যাংক নগদ। ডিজিটাল ব্যাংকের গড়ে ওঠা এবং মোবাইল আর্থিক সেবার অগ্রযাত্রা নিয়েই বিশেষ এ আয়োজন-

 

মানুষের হাতে থাকা ছোট ডিভাইসটিই হয়ে উঠবে একটি ব্যাংক। কোনো শাখা কার্যক্রম থাকবে না; ডিভাইসে অ্যাপ চালু করেই সব ধরনের লেনদেন, ঋণ আবেদন, ডিপোজিট স্কিম চালুর সেবা পাবেন গ্রাহক। এমনই সব পরিকল্পনা আর অত্যাধুনিক প্রযুক্তি নিয়ে শিগগিরই বাংলাদেশ প্রবেশ করতে যাচ্ছে ডিজিটাল ব্যাংক যুগে।

প্রযুক্তিগত সক্ষমতার বিচারে দেশের প্রথম ডিজিটাল ব্যাংক হিসেবে কার্যক্রম শুরুর অনুমোদন পেয়েছে নগদ লিমিটেড। তবে মোবাইল আর্থিক সেবায় সাফল্য দেখানো নগদ রয়েছে এক ধাপ এগিয়ে। প্রস্তুতি পর্বের অগ্রগতি বলছে- তারাই হতে যাচ্ছে দেশের প্রথম ডিজিটাল ব্যাংক।

কার্যক্রম শুরুর পরপরই মোবাইল আর্থিক সেবায় দেশে আলোড়ন তৈরি করে প্রতিষ্ঠানটি। কী না করেছে তারা? অ্যাকাউন্ট খোলার ক্ষেত্রে দেশের প্রথম ইলেকট্র্রনিক কেওয়াইসি বা ই-কেওয়াইসি চালু করে তো তখন রীতিমতো হইচই ফেলে দেয় প্রতিষ্ঠানটি। সময়টা তখন ২০১৯ সাল। শুরু থেকেই বাজারের সর্বনিম্ন ক্যাশ আউট চার্জ আরোপ, সেন্ড মানি ফ্রি, বিভিন্ন ইউটিলিটি বিল নিখরচায় জমা দেওয়ার সেবা দিয়ে চমক জাগায় তারা। তাছাড়া ডাক বিভাগের সঙ্গে আয় ভাগাভাগির সমঝোতাটিও যেমন আধুনিক ছিল, তেমনি এই সমঝোতা তাদের অনেকটা পথ এগিয়েও দেয়।

দিন দিন নিবন্ধিত গ্রাহক পেরিয়ে গেছে সাড়ে ৯ কোটি। বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটি প্রতিদিন প্রায় ১ হাজার ৮০০ কোটি টাকার লেনদেন করছে। এই শক্ত ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়েই ডিজিটাল ব্যাংক সাজাচ্ছে নগদ। ডিজিটাল ব্যাংকের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটি যে দেশের আর্থিক লেনদেন পরিকাঠামোতে বড় রকমের নাড়া দেবে সেটি বলা যায় নিঃসন্দেহে।

নগদের প্রতিষ্ঠাতা এবং প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা তানভীর আহমেদ মিশুক বলছিলেন, ব্যবসাই তাদের কাছে প্রধান বিবেচ্য বিষয় নয়। আধুনিকতম সেবায় দেশের আর্থিক লেনদেনের ধরন বদলে দিতে চান তারা।

‘কোটি কোটি মানুষকে সনাতনী লেনদেন পদ্ধতিতে রেখে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়া সম্ভব নয় বলেই আমরা বারবার ডিজিটাল ব্যাংকের কথা বলেছি। আমরা কৃতজ্ঞ যে, সরকার আমাদের প্রস্তাব এবং কর্মপরিকল্পনা পছন্দ করেছে এবং আধুনিকতম সেবাটি চালু করতে নগদকে অনুমোদন দিয়েছে,’ বলেন তানভীর।

ডিজিটাল ব্যাংক সম্পর্কে মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী সৈয়দ মাহবুবুর রহমান বলেন, ডিজিটাল ব্যাংকে মাত্র কয়েক সেকেন্ডে ঋণ নেওয়াসহ অন্যান্য লেনদেন করা সম্ভব। স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার যে স্বপ্ন, সেটি বাস্তবায়নে ডিজিটাল ব্যাংকের মাধ্যমে নগদ একটা বড় ভূমিকা রাখতে পারে বলে মনে করেন সৈয়দ মাহবুবুর রহমান।

 

বিশ্বসেরা প্রযুক্তির ওপর দাঁড়াবে ডিজিটাল ব্যাংক

নগদ ডিজিটাল ব্যাংকের প্রধানতম অনুষঙ্গই হবে প্রযুক্তি। যার অংশ হিসেবে সম্প্রতি বিশ্বসেরা টেক প্রতিষ্ঠান সিলভারলেক গ্রুপের সঙ্গে চুক্তি করেছে প্রতিষ্ঠানটি। সে অনুযায়ী, সিলভারলেক গ্রুপ নগদ ডিজিটাল ব্যাংককে তাদের আধুনিকতম ব্যাংকিং প্রযুক্তিগুলো ব্যবহারের সুযোগ দেবে। বিশ্বসেরা এই প্রযুক্তি আর নিজ দেশের দক্ষ জনবলে গড়ে উঠছে নগদের ডিজিটাল ব্যাংক, যা শক্তিশালী করবে স্মার্ট বাংলাদেশের আর্থিক লেনদেন ব্যবস্থাকে।

প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, ডিজিটাল ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করতে গিয়ে গ্রাহকের তথ্য ও অর্থের নিরাপত্তা হবে তাদের প্রধান অগ্রাধিকার। যে প্রযুক্তি এখানে ব্যবহার হবে তা গ্রাহক এবং লেনদেনের প্রতিটি তথ্যকে এনক্রিপ্টেড রাখবে। এটি ফাঁস করা হবে অসম্ভব কাজ। একাধিক বিশ্ববিখ্যাত নিরপেক্ষ বিশ্লেষক দিয়ে নিরাপত্তাব্যবস্থা পরীক্ষা করানো হচ্ছে বলে জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।

 

স্বপ্নের শুরু আরেকটু পেছনে

২০১৯ সালে নগদ যখন যাত্রা শুরু করে, তখনো যে কোনো আর্থিক প্রতিষ্ঠানের অ্যাকাউন্ট খোলা জটিলই ছিল। কয়েক পাতার ফরম পূরণ করে ৭ থেকে ১০ দিন অপেক্ষায় থাকতে হতো। কিন্তু নগদের ই-কেওয়াইসি ভোজবাজির মতো সবকিছু বদলে দেয়। এই পদ্ধতিতে অ্যাপ ডাউনলোড করে জাতীয় পরিচয়পত্র স্ক্যান করার মাধ্যমে জাতীয় পরিচয়পত্র ডেটাবেজ থেকে পরিচয় যাচাই করে মুহূর্তেই অ্যাকাউন্ট খোলা শুরু হয়।

এই অসম্ভবকে যখন নগদ কয়েক সেকেন্ডের কাজ বানিয়ে ফেলে স্বপ্নটা আসলে তখনই বোনা শুরু হয়, জানান তানভীর। পরে ফিচার ফোন থেকে *১৬৭# ডায়াল করে অ্যাকাউন্ট খোলার মতো উদ্ভাবন আর্থিক অন্তর্ভুক্তিতে গতি দেয়।

‘আসলে বিভিন্ন উদ্ভাবনী কর্মকান্ডই নগদকে এত অল্প সময়ে এত গ্রাহকের ভালোবাসা পেতে সাহায্য করেছে। সামনের দিনে নগদ যে ডিজিটাল ব্যাংক নিয়ে আসতে যাচ্ছে, এটি সাধারণ মানুষের আর্থিক লেনদেনের অভ্যাসই বদলে দেবে,’ বলেন তানভীর।

 

কেমন হবে ডিজিটাল ব্যাংক?

এটি প্রথাগত ব্যাংকের চেয়ে ভিন্নতর একটি ব্যাংকিং সেবা, যার সবই হবে ডিজিটাল প্রযুক্তিতে। প্রধান কার্যালয় ছাড়া প্রচলিত ব্যাংকের মতো শাখা থাকবে না। প্রশ্ন আসবে শাখা ছাড়া কীভাবে আমানত সংগ্রহ ও নগদ টাকা হবে? এই বিষয়টিরও সমাধান রেখেছে নগদ ডিজিটাল ব্যাংক। এজেন্ট ব্যাংক, এমএফএস-এর প্রতিনিধির মাধ্যমে ক্যাশ-ইন বা ক্যাশ-আউট করা যাবে। তবে অর্থনীতিতে এমন একটি সংস্কৃতির প্রচলন নগদ ঘটাতে চায় যেখানে ছাপা টাকার প্রয়োজনই হবে না।

লেনদেনের সব কাজ যাতে গ্রাহকের মোবাইলে একটা অ্যাপের মাধ্যমে করতে পারে সেখানেই ডিজিটাল ব্যাংককে নিয়ে যেতে চায় প্রতিষ্ঠানটি।

সব ডিজিটালি হওয়ায় পরিচালন ব্যয় কম। তাতে তুলনামূলক কম সুদে ঋণ দিয়েও মুনাফা করা যাবে। প্রতিষ্ঠানটি বলছে, যারা ব্যাংকে যেতে ভয় পায়, তারাই হবেন ডিজিটাল ব্যাংকের মূল শক্তি। এদের ঘাম-শ্রমের ওপরই দাঁড়িয়ে আমাদের অর্থনীতি। অথচ এরাই সব রকম আর্থিক হিসাবের বাইরে। ফলে অর্থনীতির হিসাবে বড় অংশটাই যুক্ত হতে পারে না।

 

জামানতবিহীন সিঙ্গেল ডিজিট সুদে ঋণ

সমাজের যে অংশটি অনানুষ্ঠানিক অর্থনীতিতে যুক্ত, যাদের লেনদেন হয় ছাপা টাকায়, প্রথাগত ব্যাংকও যাদের ঋণ দেয় না, সেই বড় অংশটিকে ডিজিটাল ব্যাংকের আওতায় আনার স্বপ্ন দেখছে নগদ। এদের ট্রেড লাইসেন্স নেই, জামানত দিতে পারছে না। ফলে ব্যাংকও তাদের দেখছে না। এই মানুষেরাই এক অঙ্কের সুদে জামানতহীন ঋণ পাবে নগদ ডিজিটাল ব্যাংক থেকে।

বিস্তর প্রতিবন্ধকতা জয় করা প্রতিষ্ঠানটি বলছে, ডিজিটাল ব্যাংকের প্রক্রিয়াগত পুরো কাজ করবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা। বিগ ডেটাও এখানে রাখবে ভূমিকা। মোবাইল আর্থিক সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানের ধাপ পেরিয়ে ডিজিটাল ব্যাংকের দিকে পা বাড়ানো নগদ এখন এসব বিষয় নিয়েই বিস্তর কাজ করছে। প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী বলেন, নানা প্রতিবন্ধকতায় ক্ষুদ্রঋণও নিতে পারে না বা নিলেও ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ সুদ দিতে হয় এমন মানুষই আমাদের দেশে বেশি। তাদেরই জামানতহীন ঋণ দিতে চায় প্রতিষ্ঠানটি। তানভীর বলেন, এই ঋণ কারা ও কত টাকা পাবে- সেটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা মূল্যায়ন করবে। বিভিন্ন তথ্য বিশ্লেষণ করে প্রযুক্তিই বলে দেবে কাকে কত টাকা ঋণ দিলে তা নিরাপদ। গত দুই বছর ধরে এটা নিয়ে কাজ করছে প্রতিষ্ঠানটি। ফলে এই প্রক্রিয়াটি সম্পূর্ণরূপে তাদের আয়ত্তে আছে। ‘প্রচলিত ব্যাংকের যে পরিচালন খরচ হয়, তা কিন্তু গ্রাহকের থেকেই তোলা হয়। ডিজিটাল ব্যাংক যখন আসবে, এই খরচ শূন্যের কাছাকাছি হবে। ফলে ডিজিটাল ব্যাংকও ন্যূনতম মার্জিনে সাধারণ মানুষকে সেবা দেবে,’ বলেন তানভীর।

 

এসডিজির লক্ষ্য পূরণ

শুরু থেকেই নগদ প্রধান শক্তি হিসেবে সামনে এনেছে উদ্ভাবনকে। নগদ মনে করে প্রথাগত পণ্য কেনাবেচা থেকে বেরিয়ে ডিজিটাল পদ্ধতিতে লেনদেন করার সময় এসেছে। আর এটাই এসডিজির অন্যতম লক্ষ্য। তারাও চায় কাগজের মতো উপকরণের ব্যবহার কমিয়ে আনতে, যা পরিবেশকে রক্ষা করবে। নগদ-এর মতে, ক্যাশলেস সোসাইটিই পারে এ লক্ষ্য অর্জন করতে। 

নগদ বলছে, এসডিজিতে আর্থিক অন্তর্ভুক্তির কথা জোর দিয়ে বলা হয়েছে। এখানে বড় ধরনের উন্নতি করতে একমাত্র ডিজিটাল ব্যাংকই ভরসা হবে।

এ খাতের বিশেষজ্ঞ ড. আনন্য রায়হান বলেন, ঝুঁকি না নিলে তো কোনো কিছুই করা সম্ভব হয় না। নগদ একটা ঝুঁকি নিয়েছে এবং আমি সর্বাত্মকরণে প্রত্যাশা করি নগদের ডিজিটাল ব্যাংক যেন সফল হয়। তারা সফল হলে দেশের আর্থিক সেবা খাতের চেহারা রাতারাতি বদলে যাবে।

এসডিজির লক্ষ্য হিসেবে, দারিদ্র্যের অবসানের কথা বলা হয়েছে। নগদ যে প্রান্তিক মানুষের অর্থনৈতিক অন্তর্ভুক্তি নিয়ে কাজ করছে, সেটা মূলত এ দারিদ্র্য অবসানের জন্যই। তারা বাংলাদেশ সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের নানা ধরনের ভাতা বিতরণ করে আসছে। বিধবা ভাতা, স্বামী নিগৃহীতা ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতা, বয়স্ক ভাতা, প্রতিবন্ধী শিশু ভাতা, শিক্ষা উপবৃত্তি বিতরণে সাফল্য  দেখিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।

এসব কাজ করতে গিয়ে পাঁচ বছরেই তারা সাড়ে ৯ কোটি গ্রাহকের এক পরিবার গড়ে তুলেছে। যেসব প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষ একসময় মঙ্গাসহ নানা দারিদ্র্যে ভুগত, সেখানে নগদের মাধ্যমে সরকারের ভাতা পৌঁছে গেছে এবং তাদের খাদ্য নিরাপত্তা অনেকটাই নিশ্চিত করেছে।

শিক্ষার ক্ষেত্রেও নগদের অবদান অবশ্যই স্মরণযোগ্য। প্রাথমিক পর্যায়ে দেশের দেড় কোটি শিক্ষার্থীর অভিভাবকের কাছে শিক্ষাবৃত্তি বিনা খরচে পৌঁছে দিচ্ছে নগদ। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে শিশু ঝরে পড়ার হার ঈর্ষণীয়ভাবে কমে গেছে। বিভিন্ন সমীক্ষায় এর প্রমাণ মিলেছে। প্রাথমিক শিক্ষা উপবৃত্তি, মাধ্যমিক শিক্ষা উপবৃত্তি, প্রতিবন্ধী শিক্ষা ভাতা এবং প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা তহবিলের টাকা বিতরণ হচ্ছে নগদের মাধ্যমে।

প্রতিষ্ঠানটি কাজ করছে লৈঙ্গিক সমতা নিয়েও। বিধবা ভাতা, স্বামী নিগৃহীতা ভাতা সেসব নারীর ক্ষমতায়ন করেছে, যারা এর আগে সমাজের মূলস্রোতে সেভাবে আসারই সুযোগ পেতেন না। এখানে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে প্রতিষ্ঠানটি। এখানেও কিন্তু এসডিজি লক্ষ্যমাত্রায় ভূমিকা রেখেছে তারা। তাছাড়া সরকারের নীতির কারণেই শিক্ষা উপবৃত্তির টাকা বাবার স্থলে মায়ের নগদ নম্বরে পাঠানো হয়। এ অর্থ সন্তানের জন্য খরচ করার স্বাধীনতা দিয়ে কয়েক লাখ নারীর ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করেছে নগদ। আর এসব কিছুর ওপরে দাঁড়িয়েই গড়ে উঠছে ডিজিটাল ব্যাংক।

এসব বিষয়ে তানভীর এ মিশুক বলেন, দেশের কোনো ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায়ী এবং কোনো নাগরিক ব্যাংকিং কাঠামোর বাইরে না থাকুক, সেটা আমাদের চাওয়া। ডিজিটাল ব্যাংককে আমরা সেভাবেই সাজিয়েছি। আর এভাবেই নগদ ডিজিটাল ব্যাংককে সবার ব্যাংক করে গড়তে চান তিনি।

সর্বশেষ খবর