বৃহস্পতিবার, ৩০ মে, ২০২৪ ০০:০০ টা

কেনাকাটা ও লেনদেন তাৎক্ষণিক সমাধান নগদ

সরকার ২০২৭ সালের মধ্যে দেশের মোট লেনদেনের ৭৫ শতাংশকে ক্যাশলেস করতে চায়। নগদও এই লক্ষ্যের সঙ্গে একাত্ম। আর সে কারণেই অ্যাডমানি এবং পেমেন্টের ওপরই তাদের জোর বেশি।

কেনাকাটা ও লেনদেন তাৎক্ষণিক সমাধান নগদ

রাজধানীর একটি ব্যস্ত শপিং মলে কেনাকাটা করে রোকসানা হাতব্যাগের ওয়ালেটে নয়, হাত দিলেন মোবাইলে। নগদের অ্যাপ থেকে পেমেন্ট করলেন নিমেষে। শুধু কেনাকাটা নয়, নিত্যদিনকার অধিকাংশ লেনদেন এখন তিনি নগদের মাধ্যমেই করেন।

পেশায় কলেজশিক্ষক রোকসানা থাকেন ঢাকার মিরপুর এলাকায়। একসময় বেতন পাওয়ার পর সব টাকা তুলে ঘরে রাখতেন। এখন মাসের শুরুতে বেতনের একটি অংশ অ্যাডমানি করে নিয়ে নেন নগদে। সংসারের নিত্যপ্রয়োজনীয় কেনাকাটা, বিদ্যুৎ, পানি, ইন্টারনেট, ক্যাবল টিভিসহ যাবতীয় বিল দেন নগদেই। তার কথায়, ‘এখন আর ব্যাংকে ঘণ্টা পার করতে হয় না। মিনিটেই যাবতীয় পেমেন্ট করা যায় যে কোনো সময়। এ ছাড়া নানান উপলক্ষ্যে ক্যাশব্যাক তো থাকেই।’

ঢাকাসহ সারা দেশেই ডিজিটাল লেনদেনের গল্প প্রায় এমনই। দেশে ডিজিটাল লেনদেন জনপ্রিয় করার পেছনে বড় ভূমিকা রেখেছে মোবাইল আর্থিক সেবা নগদ। প্রতিষ্ঠানটি দেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো পেমেন্টে বিএমডব্লিউ গাড়ি উপহার দিয়েছে। এ ছাড়া সেডান গাড়ি, টেলিভিশন, রেফ্রিজারেটরসহ অসংখ্য উপহার দিয়ে নগদ গ্রাহকদের লেনদেন ও কেনাকাটার অভিজ্ঞতাই বদলে দিয়েছে। আর এবার তো তারা গ্রাহকদের দিচ্ছে ঢাকার বুকে ৮টি প্লট। 

শুধু মোবাইলে লেনদেন করে যে ঢাকায় জমি জেতা যায়, এর আগে এমন ক্যাম্পেইন দেশে ভাবেনি কেউ। ইতোমধ্যে চারটি জমি হস্তান্তর করা হয়েছে। বিজয়ীদের তালিকায় আছেন গার্মেন্টস কর্মী, সোনার দোকানের কর্মচারী, গৃহিণী আর সিএনজিচালক।

নগদ বলছে, এই ক্যাম্পেইনের ফলে গ্রাহকদের মোবাইল রিচার্জসহ মোবাইল লেনদেনের ধরনই বদলে গেছে। কিছুদিন আগেও নগদের প্রতিদিনকার লেনদেন ১৩০০ কোটি টাকার বেশি ছিল না। কিন্তু এই ক্যাম্পেইন চালু করার পর দৈনিক লেনদেন ১৮০০ কোটি টাকায় পৌঁছে গেছে। আর নিবন্ধিত গ্রাহক পৌঁছে গেছে সাড়ে ৯ কোটিতে।

চমক জাগানিয়া এই ক্যাম্পেইনগুলো সরকার ঘোষিত ক্যাশলেস সমাজ গঠনের লক্ষ্যে পৌঁছাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে বলে মনে করে প্রতিষ্ঠানটি। সরকার ২০২৭ সালের মধ্যে দেশের মোট লেনদেনের ৭৫ শতাংশকে ক্যাশলেস করতে চায়।

নগদও এই লক্ষ্যের সঙ্গে একাত্ম। আর সে কারণেই অ্যাডমানি এবং পেমেন্টের ওপরই তাদের জোর বেশি। ব্যাংক অ্যাকাউন্ট বা কার্ড থেকে নগদ ওয়ালেটে টাকা আনতে সময় লাগে এক মিনিটেরও কম। যার কারণে কোনো গ্রাহকের ক্যাশ টাকার জন্য ভুগতে হয় না। টাকা এনেই সঙ্গে সঙ্গে সেটি ব্যবহার করা যায় যে কোনো কাজে।

নগদের এমন ভূমিকার বিষয়ে প্রতিষ্ঠানটির সহকারী ব্যবস্থাপনা পরিচালক সিহাব উদ্দীন চৌধুরী বলেন, ‘শুরু থেকেই আমরা মানুষের জন্য কাজ করছি; সেটা হোক প্রযুক্তি কিংবা পণ্যের ডিজাইনে, সব খানেই জনমানুষ আমাদের অগ্রাধিকার। ঠিক এ কারণেই নগদ এখন দেশের সাড়ে ৯ কোটি মানুষের আস্থা আর ভালোবাসার জায়গা। এ আস্থার  প্রতিদান হিসেবে আমরা নিয়মিত আমাদের বিভিন্ন প্রোডাক্ট ডেভেলপ করি, যা গ্রাহকের জীবন সহজ ও সাশ্রয়ী করবে।’

সর্বশেষ খবর