বৃহস্পতিবার, ৩০ মে, ২০২৪ ০০:০০ টা

উপবৃত্তি ও ভাতা বিতরণে অদ্বিতীয় নগদ

শিক্ষা উপবৃত্তি, বিভিন্ন ধরনের ভাতা আর সরকারি সহায়তা এভাবেই সাধারণ মানুষের জীবনমানের উন্নতি ঘটিয়ে চলেছে। ইতিবাচকভাবে পরিবর্তন আনছে আর্থ-সামাজিক খাতে।

নিজস্ব প্রতিবেদক

উপবৃত্তি ও ভাতা বিতরণে অদ্বিতীয় নগদ

প্রাথমিক পর্যায়ের কোমলমতি শিশুরা উপবৃত্তি পায় নগদের মাধ্যমে, এ যেন আনন্দের ঝরনা ধারা। পিছিয়ে পড়া মানুষের জন্য একইভাবে বিতরণ হয় সামাজিক নিরাপত্তা ভাতা। যেন ভালোবাসা ফল্গুধারায় প্রবাহিত হয়। আর এভাবেই গোটা জনপদে অবিস্মরণীয় এক ভূমিকা রেখে চলেছে মোবাইল আর্থিক সেবা নগদ।

শিক্ষা উপবৃত্তি, বিভিন্ন ধরনের ভাতা আর সরকারি সহায়তা এভাবেই সাধারণ মানুষের জীবনমানের উন্নতি ঘটিয়ে চলেছে। ইতিবাচকভাবে পরিবর্তন আনছে আর্থ-সামাজিক খাতে।

সরকার এখন প্রাক-প্রাথমিকের প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে মাসে ৭৫ টাকা উপবৃত্তি দিচ্ছে। প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণিতে পড়া শিক্ষার্থী পায় মাসে ১৫০ টাকা। ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণিতে পড়া শিক্ষার্থীদের জনপ্রতি উপবৃত্তি দেওয়া হয় মাসে ২০০ টাকা। তাছাড়া প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্টের অর্থও পরিপূর্ণভাবে বিতরণ হয় নগদের মাধ্যমে। সব মিলে শিক্ষা ক্ষেত্রে অনন্য এক ভূমিকা রেখে চলেছে ডাক বিভাগের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট এই প্রতিষ্ঠানটি। শিক্ষা উপবৃত্তি বিতরণে নগদ প্রথম যুক্ত হয় ২০২১-২০২২ অর্থবছর থেকে।

তখন থেকেই সফলভাবে উপবৃত্তি বিতরণ করছে তারা। প্রতিষ্ঠানটি বলছে, এই সময়ে তারা প্রাথমিকের ১ কোটি ৪০ লাখ শিক্ষার্থীর অভিভাবকের কাছে স্বচ্ছভাবে উপবৃত্তির টাকা পৌঁছে দিয়েছে। এর ফলে বিভিন্ন অসচ্ছল পরিবারের নারীরা শক্তিশালী হয়েছেন, কারণ উপবৃত্তির টাকা শিক্ষার্থীর মায়েদের অ্যাকাউন্টে দেওয়া হয়।  পাশাপাশি এখন চাইলেই যে কেউ ঘরের কাছে থাকা নগদ উদ্যোক্তা পয়েন্ট থেকে টাকা ক্যাশ আউট করতে পারে। অতিরিক্ত কোনো টাকা খরচ না করে সরকারের দেওয়া টাকায় শিক্ষা কার্যক্রম চলায় প্রাথমিক পর্যায়ে কমেছে ঝরে পড়ার হার।

প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্টের মাধ্যমে মাধ্যমিকে (ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণি) ২০২৩-২৪ অর্থবছরে প্রায় ৪৪ লাখ ৬১ হাজার শিক্ষার্থীকে উপবৃত্তির টাকা দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে সরকার। এই শিক্ষা সহায়তাও নগদের মাধ্যমে বিতরণ হবে। ২০২২-২৩ অর্থবছরে ৪০ লাখ মাধ্যমিকের শিক্ষার্থীকে উপবৃত্তির টাকা দেওয়ার লক্ষ্য থাকলেও প্রকৃতপক্ষে দেওয়া হয়েছিল ৫০ লাখ ৫৩ হাজার ৬৬১ শিক্ষার্থীকে।

যে সময়টাতে সামাজিক নিরাপত্তা ভাতা হাতে হাতে বিতরণ করা হতো, সে সময়ের কথা সবারই জানা। ২০২১ সাল থেকে এটি মোবাইলের মাধ্যমে বিতরণের সিদ্ধান্ত হয়। প্রযুক্তিগত দক্ষতা দেখিয়েই মোট ভাতার ৭৫ শতাংশ নগদের মাধ্যমে বিতরণ করাচ্ছে সরকার। এখানেও প্রায় ১ কোটি মানুষ সরকারের সহায়তা পায়। এর পুরোটাই বিতরণ হয় ডিজিটাল পদ্ধতিতে। এ খাতের সুবিধাভোগীদের মধ্যে বয়স্ক, বিধবা, পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী, শারীরিক প্রতিবন্ধী বা প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীরা আছে। পরে বেদে সম্প্রদায় এবং তৃতীয় লিঙ্গের মানুষদেরও যুক্ত করা হয়েছে। তাদের প্রত্যেকের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে নগদের মাধ্যমে এই ভাতা পৌঁছে দেয় সরকার।

এ ছাড়াও নগদ চা শ্রমিকদের জীবনমান উন্নয়নে দেওয়া ভাতা, পিছিয়ে পড়া ও শারীরিকভাবে অক্ষম ব্যক্তিদের ভাতাও সফলতার সঙ্গে বিতরণ করেছে। করোনা মহামারির সময় দুবার ২৫০০ টাকা করে ৩০ লাখ পরিবারের কাছে প্রধানমন্ত্রীর ঈদ উপহার পৌঁছে দিয়েছে নগদ। এসব কারণে সরকারি সব ভাতা বিতরণে নগদ সরকারের প্রথম পছন্দ।

সর্বশেষ খবর