>> ফ্রিজটির কনডেন্সার কিসের তৈরি তা অবশ্যই জেনে নেবেন। কপার কনডেন্সারযুক্ত ফ্রিজ পেলে সেটি কিনুন। এ ধরনের ফ্রিজের কম্প্রেসারের সঙ্গে তামার তৈরি কুলিং সিস্টেম পাইপ থাকে। যেগুলো ফ্রিজের পেছনে ও বডির ভেতরে থাকে। কপার কনডেন্সরযুক্ত ফ্রিজ বেশি টেকসই ও বিদ্যুৎসাশ্রয়ী হয়। ফলে ফ্রিজের গ্যাস লিকেজ হয় না, মরিচা পড়ে না, ক্যাপেলরি জ্যাম হয় না। আবার তাড়াতাড়ি ঠান্ডাও হয়। ফ্রিজের কম্প্রেসারই হলো প্রধান ইঞ্জিন। এর ওপরই নির্ভর করে সেটি কতদিন টিকবে। মনে রাখবেন, ফ্রিজের কম্প্রেসার খারাপ হলে বিদ্যুৎ খরচ বাড়বে। তাই কেনার আগে ফ্রিজের কম্প্রেসার কতটা উন্নত তা যাচাই করে নিন।

>> যে ফ্রিজটি কিনতে চাচ্ছেন সেটি বিদ্যুৎসাশ্রয়ী কি না। এ ধরনের ফ্রিজ ব্যবহারে বিদ্যুৎ বিল অনেকটাই কম আসে। আবার এমন ফ্রিজ পরিবেশবান্ধবও বটে। ফ্রিজের গায়ে কোথাও স্টার মার্ক দেওয়া আছে কি না তা লক্ষ্য করুন। এ চিহ্ন থাকলেই বুঝতে হবে সেটি বিদ্যুৎসাশ্রয়ী।

>> বর্তমানে বাজারে স্মার্ট ফ্রিজের চাহিদা বেশি। এতে বিভিন্ন ইনভার্টার প্রযুক্তি থাকে। এতে পাঁচটি মোড কাজ করে। একটিতে ওপরে ডিপ আর নিচে সাধারণ ফ্রিজ থাকে। এ প্রযুক্তির যন্ত্রে ডিপ ফ্রিজকে রূপান্তর করে পুরোটাই সাধারণ ফ্রিজ করে ফেলা যায়। স্মার্ট ফ্রিজ ব্যবহারের সুবিধা আছে। যেমন কেউ ঘরের বাইরে গেলে দীর্ঘ সময়ের জন্য এনার্জি সেভিং মোড চালু করে রাখতে পারেন।

>> ফ্রিজ কেনার আগে সেটি ফ্রস্ট নাকি নন-ফ্রস্ট তা জেনে বুঝে তবেই কিনুন। যেসব ফ্রিজের ভিতরে রাখা সংরক্ষিত খাবারে বরফ জমে যায় তাকে ফ্রস্ট ফ্রিজ বলে। অন্যদিকে যে ফ্রিজের ভিতরে ও সংরক্ষিত খাবারে বরফ জমে না তাকে নন ফ্রস্ট ফ্রিজ বলে। অন্যদিকে বিদ্যুৎ না থাকলেও খাবার কয়েক ঘণ্টা ভালো রাখে ফ্রস্ট ফ্রিজ। এ ধরনের ফ্রিজগুলো অনেকটাই বিদ্যুৎসাশ্রয়ী।