
দেশে অনলাইন বেটিংয়ের প্রসার নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূইয়া। তিনি জানিয়েছেন, বেটিংয়ের বিরুদ্ধে সরকার ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি গ্রহণ করেছে এবং এর বিস্তার রোধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
রবিবার (২০ এপ্রিল) জাতীয় ক্রীড়া পরিষদে ক্রীড়া কল্যাণসেবী ফাউন্ডেশন আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে ক্রীড়া সংশ্লিষ্টদের সহায়তা প্রদানকালে তিনি এ বিষয়ে বক্তব্য রাখেন।
ক্রীড়া উপদেষ্টা বলেন, 'অনলাইন বেটিং এখন কেবল আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নয়, স্থানীয় পর্যায়েও ছড়িয়ে পড়েছে। আমরা বিষয়টি খুব গুরুত্ব দিয়ে দেখছি। ইতোমধ্যেই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও আইন মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে এ বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। জুয়া খেলার মতোই অনলাইন বেটিংয়ে জড়িতদের বিরুদ্ধেও আইন অনুযায়ী কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'
তিনি আরও জানান,'বেটিংয়ের সঙ্গে জড়িত আর্থিক লেনদেন ও চক্রগুলোকে নজরদারির আওতায় আনা হয়েছে। এই বিষয়ে সরকার সম্পূর্ণ জিরো টলারেন্স অবস্থানে রয়েছে।'
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ক্রীড়া সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের উদ্দেশে তিনি বেটিং থেকে দূরে থাকার আহ্বান জানান এবং ক্রীড়াঙ্গনকে এই অবৈধ কার্যক্রম থেকে রক্ষা করার জন্য সবাইকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দেন।
বাংলাদেশের তারকা ক্রীড়াবিদকে বিভিন্ন সময় বেটিং কোম্পানির বিজ্ঞাপনের সঙ্গে দেখা গেছে। বেটিংয়ের সঙ্গে যেন কোনো ক্রীড়াবিদ বা ক্রীড়া সংশ্লিষ্ট কেউ না থাকেন সেটাও আইন করতে চান উপদেষ্টা, 'ক্রীড়াবিদ বা ক্রীড়া সংশ্লিষ্টরা এটার সাথে সম্পৃক্ত থাকতে পারবেন না। এ রকম নির্দেশনা আমাদের থাকবে।'
দেশের দুই শীর্ষ খেলা ফুটবল-ক্রিকেটেও পাতানো খেলা বা বিভিন্ন ধরনের ফিক্সিং হয়। খেলায় ফিক্সিং রোধে উন্নত প্রযুক্তির ব্যবহার করতে চান আসিফ মাহমুদ। তিনি বলেন, 'ফিক্সিং বৈশ্বিক ব্যবস্থা। অনেক সময় প্রথম-তৃতীয় বিভাগে ফিক্সিংয়ের অভিযোগ আসে। বিভিন্ন দেশ উন্নত প্রযুক্তির মাধ্যমে ফিক্সিং চিহ্নিত করে। আমরাও সেটা অনুসরণ করে ফিক্সিং রোধ করার পরিকল্পনা করছি। আমাদের ক্রীড়া ফেডারেশন বাফুফে, বিসিবি ফিক্সিং প্রতিরোধে কাজ করছে।'
এসময় ক্রীড়া উপদেষ্টা অসচ্ছল, অসুস্থ ও অসমর্থ ক্রীড়াসেবীদের মাঝে ৩ কোটি ৯৬ লাখ ৬৫ হাজার টাকা প্রদান করেন। ১৬৫২ জন ইলেকট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফারের মাধ্যমে এই সুবিধা পেয়েছেন। এই ভাতা মাসিক ২ হাজারের পরিবর্তে এখন থেকে ৩ হাজার টাকায় উন্নীত করেছেন উপদেষ্টা।
বিডি প্রতিদিন/মুসা