৩ জানুয়ারি, ২০২০ ১১:৪৩

নিরাপত্তা ঝুঁকির কারণে পরিবারকে নিউইয়র্কে রাখবেন ব্যারিস্টার সুমন!

অনলাইন ডেস্ক

নিরাপত্তা ঝুঁকির কারণে পরিবারকে নিউইয়র্কে রাখবেন ব্যারিস্টার সুমন!

নিউইয়র্কে ‍‌‌‌‌‌‌‌‌নববর্ষ উদযাপন অনুষ্ঠানে আইনজীবী ও সমাজকর্মী ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন বলেছেন, বাংলাদেশে নিরাপত্তা ঝুঁকির কারণে নিজ স্ত্রী, সন্তান ও মাকে নিউইয়র্কে রেখে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। আমি বাংলাদেশে জীবনের সবচেয়ে ঝুঁকির মধ্যে রয়েছি। তাই এবারই প্রথম সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমার দুই বাচ্চা, আমার মা এবং আমার স্ত্রীকে আমেরিকায় রেখে যাব। আমি যদি বেঁচে না থাকি আমি চাই না যে আমার পরববর্তী প্রজন্ম ওই ভাবে ভোগান্তিতে পড়ুক।

স্থানীয় সময় ১ জানুয়ারি বুধবার সন্ধ্যায় ব্রঙ্কসের বাংলাবাজার-স্টার্লিং এলাকায় আল আকসা পার্টি হলে ব্রঙ্কস-বাংলাদেশি কমিউনিটি আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ব্যারিস্টার সুমন এসব কথা বলেন।

আয়োজক কমিটির আহবায়ক শেখ জামাল হুসেনের সভাপতিত্বে এবং সদস্য সচিব রেজা আবদুল্লাহর পরিচালনায় উৎসবমুখর পরিবেশের এ অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন প্রধান আলোচক মূলধারার রাজনীতিক মোহাম্মদ এন মজুমদার, রাজনীতিক আবদুর রহিম বাদশা, মার্কস হোম কেয়ারের ম্যানেজার আলমাস আলী, কমিউনিটি এক্টিভিস্ট হাসান আলী, প্রধান সমন্বয়কারী এ ইসলাম মামুন প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে ব্যারিস্টার সৈয়দ সাঈদুল হক সুমন আরও বলেন, বাংলাদেশের এখন যে অবস্থা আল্লাহ যেন আমাকে মন্ত্রী বানিয়ে বেইজ্জত না করার চেয়ে ব্যারিস্টার সুমন হিসেবে যদি রাখেন তাতে আমি বেশি কৃতজ্ঞ থাকবো। বাংলাদেশে হিন্দু-বৌদ্ধ-খৃস্টানরা সংখ্যালঘু নয়। বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হচ্ছে সৎলোক। দেশে নেতার অভাব নেই কিন্তু সৎলোকের অভাব। সৎলোকের অভাবের কারণেই বাংলাদেশ এত পিছিয়ে আছে। 

অনুষ্ঠানে ব্যারিস্টার সুমন আরো বলেন, যারা বাংলাদেশের ভাল চায় তারা বেঁচে থাকতে পারেননি। আমিও বাংলাদেশের ভাল চাই। তাই আমাকেও মেরে ফেলতে পারে। প্রধান আলোচক মোহাম্মদ এন মজুমদার মানবতার সেবায় ব্যারিস্টার সুমনের বিভিন্ন কর্মকাণ্ড তুলে ধরেন।

অনুষ্ঠানে ব্যারিস্টার সাঈদুল হক সুমনকে আয়োজকদের পক্ষ থেকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানানো হয়। তিনি আয়োজকদের প্রতি বিশেষ কৃতজ্ঞতা জানিয়ে সব সময় তার এলাকাসহ বাংলাদেশের দরিদ্র-অসহায়দের পাশে থাকার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের শীতার্তদের সাহায্যার্থে অর্থ সংগ্রহ করা হয়। শীতার্ত তহবিলে প্রায় এক হাজার ডলার সংগৃহীত হয়।

পরে সাংস্কৃতিক পর্বে প্রবাসের জনপ্রিয় শিল্পীরা সঙ্গীত পরিবেশন করেন। শিল্পীদের অসাধারণ পরিবেশনা দর্শকদের দারুণভাবে মুগ্ধ করে। শিল্পীদের মধ্যে ছিলেন কৃষ্ণা তিথি, শারমিন তানিয়া, সম্পা জামান, সুমন প্রমুখ। 

বিডি প্রতিদিন/ফারজানা

এই রকম আরও টপিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর