১৬ ডিসেম্বর, ২০২০ ১৬:৪৩

করোনা; কোরিয়া থেকে প্রতিমাসে ‘১২ কোটি টাকা’ রেমিট্যান্স হারাচ্ছে বাংলাদেশ

ওমর ফারুক হিমেল

করোনা; কোরিয়া থেকে প্রতিমাসে ‘১২ কোটি টাকা’ রেমিট্যান্স হারাচ্ছে বাংলাদেশ

দক্ষিণ কোরিয়া পৌঁছানোর পর অনেক বাংলাদেশির করোনাভাইরাস পজিটিভ ধরা পড়ছে।  কোরিয়া কতৃপক্ষ বিষয়টি নেতিবাচক হিসেবে দেখছে। এর মধ্যে এইচআরডি কোরিয়া ইপিএস সেন্টার ইন বাংলাদেশ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি ‘অঙ্গিকার নামা’ প্রচার করেছে। তাতে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘বাংলাদেশ থেকে করোনা নেগেটিভ সার্টিফিকেট নিয়ে যাওয়ার পরেও অনেক ইপিএস কর্মী কোরিয়াতে পুনরায় পরীক্ষায় পজিটিভ ধরা পড়ছে। তাই যাওয়ার আগে করোনা পরীক্ষা করার জন্য স্যাম্পল দেওয়ার পর থেকেই সবাইকে আরও বেশি সতর্ক থাকতে বলা হচ্ছে।

দুর্ভাগ্যজনকভাবে এখনো ইপিএস রিএন্ট্রি, ছুটিতে গিয়ে আটকে পড়া শিক্ষার্থী আছে প্রায় ১৫০০ জন। বিশেষজ্ঞ মহল বলছে, বাংলাদেশ এই করোনাকালে প্রতিমাসে কোরিয়া থেকে প্রায় ১২ কোটি টাকা রেমিট্যান্স হারাচ্ছে।

কোরিয়াতে গিয়ে পজেটিভ ধরা পড়লে নিজ খরচে চিকিৎসা করানোর অঙ্গীকারনামা দিয়ে যাওয়ার পরেও কোরিয়াতে গিয়ে অনেকেই সে কথা ভুলে যাচ্ছেন, অথবা অঙ্গীকার দিয়ে যাওয়ার কথা অস্বীকার করছেন। কোরিয়াতে যেহেতু চিকিৎসা ব্যয়বহুল তাই যাওয়ার আগে মালিকের সাথে কথা বলে ইন্সুরেন্স চালু করার ব্যবস্থা থাকলে সেটা করে যাবেন।

অনেকে বিষয়টি উপর নিজস্ব মতামত দিয়েছেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। সাব্বির হোসেন নামে একজন ইপিএস কর্মী লিখেন, এদের উপরই কিন্তু নির্ভর করছে বাংলাদেশ থেকে Red alart উঠে যাবার উজ্জ্বল সম্ভাবনা। সুতরাং বাংলাদেশেই ১৪ দিন সরকার স্বীকৃত কোন প্রতিষ্ঠানে কোরেন্টিনে রেখে তাদের সরাসরি ফ্লাইটের ব্যবস্থা করুন।

কোরিয়ান সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বাংলাদেশ থেকে আগত কর্মীদের করোনার শতকরা হার ০০% আসলেই তারা নতুন ভিসা ইস্যু নিষেধাজ্ঞা তুলে নিবেন। সুতরাং মাত্র কয়েক জনকে তড়িঘড়ি করে না পাঠিয়ে ভিসা ইস্যুর ব্যাপার টা গুরুত্ব দেওয়ায় শ্রেয় হবে।

সোহাগ আলী নামে একজন লিখেছেন, বিষয়টা আরো বেশি গুরুত্ব সহকারে কার্যকর সমাধান করার জন্য অনুরোধ রইলো। কিছু মানুষের জন্য পুরো ইপিএস এর ক্ষতি করবেন না।

উল্লেখ্য, কোরিয়া সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ডিসেম্বরের ৫ তারিখ থেকে নিম্নে উল্লেখিত তিনটি হাসপাতাল বা ল্যাব থেকে কভিড-১৯ এর সার্টিফিকেট গ্রহণ করা হচ্ছে না। ।এগুলো
কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ, ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব ল্যাবরেটরি মেডিসিন অ্যান্ড রেফারেল সেন্টার (ঢাকা) ও শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ, বগুড়া। 

বিডি প্রতিদিন/ফারজানা

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর