৬ আগস্ট, ২০২১ ০৯:৩১

বার্লিনে শেখ কামালের জন্মবার্ষিকী উদযাপন

ওমর ফারুক হিমেল

বার্লিনে শেখ কামালের জন্মবার্ষিকী উদযাপন

বার্লিনে শেখ কামালের জন্মবার্ষিকী উদযাপন।

জার্মানির বার্লিনস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস বৃহস্পতিবার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জ্যেষ্ঠ পুত্র ও শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের ৭২তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন করেছে। জার্মানিতে বাংলাদেশ কমিউনিটির সদস্যরা ও দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারী অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন। করোনা অতিমারির নানা বিধিনিষেধ মেনে অনুষ্ঠানটি দূতাবাসের সম্মেলন কক্ষে আয়োজন করা হয়।

দূতাবাসের দ্বিতীয় সচিব খালিদ হাসান অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ও অতিথিদের অনুষ্ঠানে অভ্যর্থনা জানান। তারপর পবিত্র ধর্মগ্রন্থ হতে পাঠ ও বাংলাদেশ সরকারের যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে নির্মিত শেখ কামালের জীবন ও কর্মের উপর একটি তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।

অনুষ্ঠানের পরবর্তী পর্যায়ে মূল আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা অনুষ্ঠানে জার্মানিতে বসবাসরত কমিউনিটি সদস্যরা দূতাবাসের মিনিস্টার এম মুর্শীদুল হক খান এবং কমার্শিয়াল কাউন্সেলর মো. সাইফুল ইসলাম শেখ কামালের জীবন ও কর্মের উপর বক্তব্য উপস্থাপন করেন।

সর্বশেষ আলোচক হিসেবে অনুষ্ঠানের সভাপতি রাষ্ট্রদূত বক্তব্য উপস্থাপন করেন। তিনি মুক্তযুদ্ধকালীন প্রেক্ষাপটে শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামাল এর ভূমিকা এবং ক্রীড়া, সংগীত, নাটক ও সংস্কৃতির অন্যান্য অঙ্গণে তার অনন্য অবদানের কথা উল্লেখ করেন।

তিনি আরও উল্লেখ করেন যে, বাঙালি জাতির কাছে শেখ কামালের ত্যাগ একজন কিংবদন্তি দেশ প্রেমিকের গল্প। তিনি তারুণ্যের প্রতীক। চির তরুণ এক বাংলার সন্তান। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে তিনি ছিলেন মুক্তিবাহিনীর অন্যতম সংগঠক। ১৯৭১ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতার ডাক দিলেন। বাংলাদেশের ছাত্র-যুবক, পেশাজীবী ও বীর জনতার সাথে শেখ কামালও মুক্তিযুদ্ধে যোগদান করেন এবং ফিরে আসেন যুদ্ধ জয় করে।

তিনি বলেন, যতদিন বাংলাদেশ বেঁচে থাকবে, জাতির হৃদয়ে বেঁচে থাকবেন শেখ কামাল। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও নেতৃত্বের গুণাবলি ধারণ করে তার সুযোগ্য কন্যা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকার বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়ন, অভ্যন্তরীণ স্থিতিশীলতা নিশ্চিতকরণের পাশাপশি বলিষ্ঠ ও নিরপেক্ষ কূটনীতির মাধ্যমে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।

অনুষ্ঠানে শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের ৭২তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে জাতির পিতা ও তার পরিবারের সকল শহীদ সদস্য, জাতীয় নেতৃবৃন্দ, মুক্তিযুদ্ধের সকল শহীদ ও নির্যাতিত মা-বোন এবং বিশেষ করে বাংলাদেশের মানুষের জন্য দোয়া ও মোনাজাত করা হয়। সব শেষে দূতাবাসের দ্বিতীয় সচিব খালিদ হাসান আলোচনা অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের জন্য সকলকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করেন।

বিডি প্রতিদিন/এমআই

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর