বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর ৪৬তম শাহাদত বার্ষিকী ও ‘জাতীয় শোক দিবস’ পালন করেছে। এ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানের শুরুতে জাতির পিতার প্রতি সম্মান প্রদর্শন করে কনসাল জেনারেল সাদিয়া ফয়জুননেসা ও কনস্যুলেটের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারী অর্ধনমিত পতাকার সাথে জাতীয় সংগীত পরিবেশনায় অংশগ্রহণ করেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুস্পস্তবক অর্পণ করেন কনসাল জেনারেল সাদিয়া ফয়জুননেসা এবং কনস্যুলেটের অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ।
জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ থেকে প্রেরিত রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী, পররাষ্ট প্রতিমন্ত্রী’র বাণী পাঠ করা হয়। জাতির পিতা, তাঁর পরিবারের অন্যান্য শহিদ সদস্য ও শহিদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের স্মরণে ১ মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের অভ্যুদয়ে জাতিরপিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কালজয়ী নেতৃত্বেও উপর নির্মিত একটি প্রামান্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।
কনসাল জেনারেল সাদিয়া ফয়জুননেসার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনায় সভায় ১৫ আগস্টেও এই দিনটিকে তিনি ইতিহাসের সবচাইতে জঘন্যতম ও কলঙ্কজনক দিন হিসেবে উল্লেখ করেন। কনসাল জেনারেল তাঁর বক্তব্যের শুরুতে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এ সময় তিনি বলেন, জাতিরপিতা বঙ্গবন্ধু একটি সুখী, সমৃদ্ধ, শোষণমুক্ত ও বৈষম্যহীন ‘সোনার বাংলা’ প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন দেখেছিলেন। তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধুকে নির্মমভাবে হত্যা করা হলেও তাঁর আদর্শ ও স্বপ্নকে ঘাতকরা কখনই হত্যা করতে পারেনি। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের ‘সোনার বাংলা’ বাস্তবায়নে তারই সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা’র দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশ অদম্য গতিতে উন্নয়নের শিখরে আরোহণের লক্ষ্যে এগিয়ে চলেছে। বর্তমান প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসের মহামারীর মধ্যেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সময়োপযোগী ও বলিষ্ঠ নেতৃত্বে বাংলাদেশের অর্থনীতির চাকা সচল রয়েছে। কনসাল জেনারেল শোককে শক্তিতে পরিণত করে সকলকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে নিষ্ঠার সাথে দায়িত্বপালনের মাধ্যমে উন্নতদেশ গড়ার প্রক্রিয়ায় অবদান রাখার আহবান জানান। এছাড়াও কনস্যুলেটের কর্মকর্তাবৃন্দ জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন এবং জাতিরপিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সংগ্রামী জীবনী, ব্যক্তিত্ব ও আদর্শের উপর আলোকপাত করেন।ফেইস বুক লাইভে সম্প্রচারিত অনুষ্ঠানটিতে নিউয়র্কস্থ বীর মুক্তিযোদ্ধা, শহিদ মুক্তিযোদ্ধার সন্তান, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ও কমিউনিটির বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গসহ অনেকে অংশগ্রহণ করেন।
অনুষ্ঠানে জাতিরপিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, তাঁর পরিবারের অন্যান্য শহিদ সদস্য ও শহিদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে এবং দেশের অব্যাহত সমৃদ্ধির জন্য বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়। নিউইয়র্কে বৈশ্বিক মহামারী করোনাভাইরাসের অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে, স্বাগতিক দেশের বিধি-বিধান প্রতিপালন করে কনস্যুলেটে এই দিবস উদযাপন করা হয়।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল