২২ আগস্ট, ২০২১ ১৫:৪৩
নির্মূল কমিটির আন্তর্জাতিক ওয়েবিনারে অভিমত

দক্ষিণ এশিয়ার নিরাপত্তার স্বার্থে তালেবানদের স্বীকৃতি দেয়া উচিত হবে না

যুক্তরাষ্ট্র প্রতিনিধি

দক্ষিণ এশিয়ার নিরাপত্তার স্বার্থে তালেবানদের স্বীকৃতি দেয়া উচিত হবে না

নির্মূল কমিটির আন্তর্জাতিক ওয়েবিনারে বিশিষ্টজনেরা। ছবি-বাংলাদেশ প্রতিদিন।

২১ আগস্ট বিকেল ৩টায় গ্রেনেড হামলার ১৭তম বার্ষিকী উপলক্ষে ‘একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি’র অস্ট্রেলিয়া শাখার উদ্যোগে ‘বাংলাদেশ এবং দক্ষিণ এশিয়ায় মৌলবাদের উখান এবং আমাদের করণীয়’ শীর্ষক আন্তর্জাতিক ওয়েবিনারের আয়োজন করা হয়।

নির্মূল কমিটির অস্ট্রেলিয়া শাখার সভাপতি ডা. একরাম চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও অস্ট্রেলিয়া শাখার সাধারণ সম্পাদক জুয়েল তালুকদারের সঞ্চালনায় এ কর্মসূচিতে প্রধান বক্তা ছিলেন নির্মূল কমিটির সভাপতি লেখক সাংবাদিক শাহরিয়ার কবির। 

বিশেষ অতিথি ছিলেন নির্মূল কমিটির কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি শহীদজায়া শ্যামলী নাসরিন চৌধুরী, নিরাপত্তা বিশ্লেষক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আবদুর রশীদ (অবঃ), বীর মুক্তিযোদ্ধা কামরুল আহসান খান ও একুশে পদকপ্রাপ্ত আলোকচিত্র শিল্পী পাভেল রহমান। অন্যান্যের মধ্যে সভায় আরও বক্তব্য প্রদান করেন নির্মূল কমিটির সর্ব ইউরোপীয় শাখার সভাপতি তরুণ কান্তি চৌধুরী এবং সাধারণ সম্পাদক আনসার আহমদ উল্লাহ, অস্ট্রেলিয়ার পরিবেশবিদ পল অবোহভ, তুরস্ক শাখার সাধারণ সম্পাদক লেখক চলচ্চিত্র নির্মাতা শাকিল রেজা ইফতি, জাগরণের হিন্দ বিভাগের সম্পাদক তাপস দাস, অস্ট্রেলিয়া আওয়ামী লীগের সভাপতি ডা. সামস রহমান ও সাধারণ সম্পাদক আনিসুর রহমান রিতু, হারুনূর রশিদ, নির্মূল কমিটির অস্ট্রেলিয়া শাখার সহ-সভাপতি হাসান ফারুক শিমুল রবিন ও সাজ্জাদ সিদ্দিকী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তানভীর কেনেডি এবং সাংস্কৃতিক সম্পাদক আশফাক কে রহমান, বঙ্গবন্ধু পরিষদ অস্ট্রেলিয়া শাখার সভাপতি ড. রতন কুন্ডু, চট্টগ্রাম ইসলামিয়া কলেজের প্রাক্তন ছাত্রনেতা ভিপি ইফতেখার উদ্দিন ইফতু, মেলবোর্ন বঙ্গবন্ধু পরিষদের সাধারণ সম্পাদক শুভজিৎ রায় ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের পরিবেশ উপ-কমিটির সদস্য মির্জা খালেদ আল আব্বাস।

প্রধান বক্তার ভাষণে নির্মূল কমিটির সভাপতি লেখক সাংবাদিক শাহরিয়ার কবির বলেন, ‘সম্প্রতি আফগানিস্তানে যে মৌলবাদী সন্ত্রাসী তালেবান অবৈধভাবে ক্ষমতাদখল করেছে তাদের রাজনীতি এবং বাংলাদেশে বিএনপি-জামায়াত-হেফাজত এবং তাদের তল্পিবাহকরা একই রাজনীতি অনুসরণ করে। ধর্মের নামে তারা ভিন্নধর্ম, ভিন্নমত, ভিন্ন জীবনধারার অনুসারী; বিশেষভাবে নারী সমাজের উপর কী ভয়ঙ্কর নির্যাতন চালিয়েছে, কিভাবে নির্বিচারে হত্যাকাণ্ড ও সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনা করে আমরা’৭১-এর মুক্তিযুদ্ধকালে বাংলাদেশে দেখেছি এবং আফগানিস্তানে তালেবানদের প্রথম শাসনামলে দেখেছি। ধর্মের নামে সন্ত্রাসের রাজনীতি নিষিদ্ধ না হলে বাংলাদেশ সহ দক্ষিণ এশিয়ার সকল দেশ জঙ্গি জিহাদিদের অভয়ারণ্যে পরিণত হবে। ‘গাজওয়ায়ে হিন্দ’-এর কথা বলে তালেবান, আল-কায়দা-আইএসআইএস-এর জঙ্গী সন্ত্রাসীরা ইতিমধ্যে দক্ষিণ এশিয়ায় তাদের সাংগঠনিক নেটওয়ার্ক বিস্তৃত করেছে, যার প্রধান মদদদাতা হচ্ছে পাকিস্তান। বাংলাদেশের জামায়াতে ইসলামী ও আফগানিস্তান তালেবানদের মূল ঘাঁটি পাকিস্তানে। দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক নিরাপত্তার স্বার্থে তালেবানদের অবৈধ ক্ষমতাদখলকে স্বীকৃতি দেয়া কোনও শান্তি ও গণতন্ত্রকামী দেশের পক্ষে উচিত হবে না।’

 

বিডি প্রতিদিন/ ওয়াসিফ

এই রকম আরও টপিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর