২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ১৩:৫৩

হোয়াইট হাউজ স্টেট ডিপার্টমেন্টের সামনে আওয়ামী লীগ-বিএনপি মুখোমুখি

যুক্তরাষ্ট্র প্রতিনিধি

হোয়াইট হাউজ স্টেট ডিপার্টমেন্টের সামনে আওয়ামী লীগ-বিএনপি মুখোমুখি

হোয়াইট হাউজের সামনে বিএনপির বিক্ষোভ। ছবি-বাংলাদেশ প্রতিদিন।

খালেদা জিয়ার স্থায়ী মুক্তি, নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনসহ বিভিন্ন বিষয়ে হোয়াইট হাউজ এবং স্টেট ডিপার্টমেন্টের হস্তক্ষেপ কামনা করেছে যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি। ২৭ সেপ্টেম্বর সোমবার দাবি সম্বলিত ব্যানার-পোস্টারসহ বিপুলসংখ্যক নেতা-কর্মী দিনব্যাপী এ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন। ওয়াশিংটন মেট্র এলাকা ছাড়াও নিউইয়র্ক থেকে বাসযোগে কর্মসূচিতে অংশ নেন অনেকে। 

করোনার নানা বিধি সত্বেও টিকা গ্রহণকারি প্রবাসীরা দলীয় শীর্ষ নেতার মুক্তি দাবিতে অনুষ্ঠিত এই কর্মসূচি থেকে গগনবিদারি স্লোগান দেন ক্ষমতাসীন শেখ হাসিনা সরকারের পদত্যাগ দাবিতে। তারা অভিযোগ করেন, বাংলাদেশের মানুষের ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নেই। আইনের শাসন ভুলণ্ঠিত। সরকারের সমালোচনা করলেই গুম হতে হয় অথবা মামলায় জেলে যেতে হয় বলেও অভিযোগ করেন নেতৃবৃন্দ। 

অংশগ্রহণকারি নেতৃবৃন্দের মধ্যে ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা গিয়াস আহমেদ, কামাল পাশা বাবুল, বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব বাবর ঊদ্দিন, গোলাম ফারুক শাহীন, হাফিজ খান সোহায়েল, এম এ বাতিন, হাবিবুর রহমান সেলিম রেজা, সৈয়দ এম রেজা,আনোয়ারুল ইসলাম, জসিম ভুঁইয়া, সৈয়দা মাহমুদা শিরিন, সৈয়দ জুবায়ের আলী, শাহ ফরিদ, মৌলানা  অলিউল্লাহ মোহাম্মদ আতিকুর রহমান, সাইদুর রহমান সাইদ, ইঞ্জিনিয়ার সায়েম রহমান, মাজহারুল ইসলাম জনি,জাহাংগীর সরওয়ার্দী, সালেহ আহমেদ মানিক, মীর মশিউর রহমান, ইঞ্জিনিয়ার জাকির হোসেন, জাহিদ খান, দেওয়ান কাওছার আহমেদ, শামীম আহমেদ, মহরাব রাজা চৌধুরী, জাকারিয়া অপু, শাহরুখ ইসলাম ফারহান, দিদার আহমেদ, দেওয়ান কাওছার, রিয়াজ মাহমুদ, নাছিম আহমেদ প্রমুখ। এছাড়াও ছিলেন স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তি উদযাপন কমিটির জিল্লুর রহমান, মিল্টন ভ’ইয়া, সরাফত হোসেন বাবু, জসীম ভূইয়া, আবু সাঈদ আহমেদ, ম্হোাম্মদ কাজল প্রমুখ। বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-আন্তর্জাতিক সম্পাদক বেবী নাজনীন এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত বিএনপির সভাপতি জাকির আহমেদও ছিলেন। 

প্রথমে তারা বিক্ষোভ করেন স্টেট ডিপার্টমেন্টের সামনে। এরপর হোয়াইট হাউজ প্রাঙ্গনে। এ সময় যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি নেতা গিয়াস আহমেদ জানান, বাংলাদেশের পরিস্থিতি আন্তর্জাতিক মহলকে যথাযথভাবে অবহিত করতে আমরা বিভিন্ন পর্যায়ে দেন-দরবার চালাচ্ছি। শীঘ্রই নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সামনেও কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে। 

অপরদিকে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এগিয়ে চলা বাংলাদেশের বিরোধিতাকারিদের স্বরূপ উম্মোচনের অভিপ্রায়ে ২৭ সেপ্টেম্বর হোয়াইট হাউজের সামনে ‘শান্তি সমাবেশ’ করে মেট্র ওয়াশিংটন আওয়ামী লীগসহ যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা। ‘বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিপক্ষে থাকলেও বিজয় অর্জনের পরই নিক্সন প্রশাসন সুর পাল্টে সদ্য-স্বাধীন বাংলাদেশের পক্ষে অবস্থান নিলেও একাত্তরের রাজাকার-আল বদর, আল শামস ও তাদের জামায়াতি চেলা-চামুন্ডারা এই প্রবাসে এখনও নানা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ওরা নানা অবয়বে নির্জলা মিথ্যাচার চালাচ্ছে। বিপুল অর্থ ঢালছে বিভিন্ন মহলকে বিভ্রান্ত করতে’ এমন মন্তব্য করা হয় এই শান্তি সমাবেশে। 

আওয়ামী লীগ নেতা মাহমুদুন্নবী বাকি জানান, জঘন্য মিথ্যাচারে মার্কিন প্রশাসন যাতে বিভ্রান্ত না হয়-সে জন্যে আমরা এ ধরনের কর্মসূচির পাশাপাশি বাইডেনের নীতি-নির্দ্ধারকদের সাথে দেন-দরবার চালিয়ে যাবো। এক্ষেত্রে বিন্দুমাত্র কার্পণ্য করবো না কেউই। এই সমাবেশে নেতৃবৃন্দের মধ্যে ছিলেন যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের ড. সিদ্দিকুর রহমান, এম ফজলুর রহমান, নিজাম চৌধুরী, সামাদ আজাদ, আইরিন পারভিন, মোর্শেদা জামান, আশরাফুজ্জামান, আবুল হাসিব মামুন, মমতাজ শাহনাজ, ফরিদ আলম, হাজী এনাম, মহিউদ্দিন দেওয়ান, সালায়মান আলী, দেওয়ান বজলু, খোরশেদ খন্দকার, আতাউল গনি আসাদ, আলী হোসেন গজনবী, শাহানারা রহমান, শেখ আতিক, যুবলীগের শেখ জামাল,সেবুল মিয়া, জাহিদ খন্দকার প্রমুখ। 

আরো ছিলেন মেট্র ওয়াশিংটন আওয়ামী লীগের সভাপতি সাদেক খান, সিনিয়র সহ সভাপতি শিব্বীর আহমেদ, সহ সভাপতি জি আই রাসেল, জুয়েল বড়–য়া, নুরল আমিন নুরু, জীবক বড়–য়া, আক্তার হোসেন এবং নাজমুল হাসান, সদস্য জেবা রাসেল, রোমিও হক, সাঈদ আলী, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আবুল শিকদার, ভারপ্রাপ্ত সাধারন সম্পাদক মিরাজ খান, সহ সভাপতি মোহাম্মদ সিরাজ, ওয়াশিংটন যুবলীগের সভাপতি আরশাদ আলী বিজয়, মীর রফিক, জাহিদ হোসেন, আওয়ামী সাংস্কৃতিক ফোরামের সাধারন সম্পাদক আবু সরকার, সহ সভাপতি হাসনাত সানি, আমান উল্লাহ্ আমান প্রমুখ। 

শান্তি সমাবেশের পর রাতে নিকটস্থ হোটেল হিল্টনের লবিতে শেখ হাসিনার ৭৫তম জন্মদিনের কেক কাটেন নেতা-কর্মীরা। এ সময় অতিথি হিসেবে সেখানে ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. এ বি এম আব্দুল্লাহ এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক আব্দুস সোবহান গোলাপ। 


বিডি প্রতিদিন/হিমেল

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর