১৮ মার্চ, ২০২২ ১৭:৫০

ইস্তাম্বুলে বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকীতে আলোচনা সভা

অনলাইন ডেস্ক

ইস্তাম্বুলে বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকীতে আলোচনা সভা

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০২তম জন্মবার্ষিকী এবং জাতীয় শিশু দিবস ২০২২’ যথাযথ মর্যাদায় উদযাপন করেছে ইস্তাম্বুলস্থ বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল। কনস্যুলেটে সকালে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে এই অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। এরপর, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করা হয়। 

কনস্যুলেটের ‘ফ্রেন্ডশিপ হল’-এ ভারপ্রাপ্ত কনসাল জেনারেল মাসুদ পারভেজের সভাপতিত্বে তুরস্কে বসবাসরত উল্লেখ্যযোগ্য সংখ্যক প্রবাসী বাংলাদেশি এবং মিশনের কর্মচারীবৃন্দের অংশগ্রহণে ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০২তম জন্মবার্ষিকী এবং জাতীয় শিশু দিবস ২০২২’-এর গুরুত্ব ও তাৎপর্য নিয়ে একটি আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভায় রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্র মন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী কর্তৃক প্রদত্ত বাণীসমূহ পাঠ করা হয়। 

ভারপ্রাপ্ত কনসাল জেনারেল মাসুদ পারভেজ তার বক্তব্যের শুরুতে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, স্বাধীনতার মহান স্থপতি, সার্বভৌম বাংলাদেশের রূপকার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। বঙ্গবন্ধু শিশুর শিক্ষার বিষয়ে ছিলেন খুবই সচেতন এবং যত্নবান ছিলেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু প্রাথমিক শিক্ষাকে অবৈতনিক করেছিলেন এবং ১৯৭৩ সালে প্রাথমিক শিক্ষাকে জাতীয়করণের মাধ্যমে ৩৭ হাজার প্রাথমিক বিদ্যালয়কে সরকারি করেন। বঙ্গবন্ধুর শিশুদের প্রতি অগাধ স্নেহের বর্ণনা দিতে গিয়ে পারভেজ বলেন, বঙ্গবন্ধু ১৯৭২ সালে নির্বাহী আদেশ জারির মাধ্যমে যুদ্ধশিশুদের বিশ্বের নানা দেশে দত্তকের ব্যবস্থা করেন। তিনি বাংলাদেশ-তুরস্কের মধ্যকার সম্পর্কের সাম্প্রতিক গতিশীলতার বর্ণনা দিয়ে দু’দেশের জনগণের মধ্যকার বিরাজমান ভ্রাতৃত্বপূর্ণ সম্পর্ককে আরো জোরদারকরণে প্রবাসী বাংলাদেশিগণকে আরো সক্রিয় ও বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান। উপস্থিত সকলেই তুরস্কে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বলকরণের জন্য কনস্যুলেটকে সর্বাত্মক সহযোগিতার করার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন।

উপস্থিত প্রবাসী বাংলাদেশিবৃন্দ আলোচনায় স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করেন। বক্তারা সকলেই আমাদের মহান স্বাধীনতা অর্জন এবং স্বাধীনতা পরবর্তী বাংলাদেশ বিনির্মাণে বঙ্গবন্ধুর অনন্যসাধারণ ভূমিকার কথা উল্লেখ করেন। তারা বলেন, বঙ্গবন্ধু বিশ্বাস করতেন শিশুরাই আগামীর ভবিষ্যৎ। শিশুরা যেন সৃজনশীল, মননশীল এবং মুক্ত মনের মানুষ হিসেবে গড়ে ওঠে, সেজন্য বঙ্গবন্ধু অনেক প্রাসঙ্গিক এবং দূরদর্শী কর্মসূচি গ্রহণ করেছিলেন। 

প্রসঙ্গত, তারা জাতিসংঘ শিশু অধিকার সনদ গৃহীত হওয়ার অনেক পূর্বে শিশুদের কল্যাণে বঙ্গবন্ধুর প্রণীত ‘জাতীয় শিশু আইন’ এর কথা উল্লেখ করেন। উপস্থিত সকলেই দেশের উন্নয়নে স্বতঃস্ফূর্ত ও সক্রিয় অংশগ্রহণের অভিপ্রায় ব্যক্ত করেন।


বিডি প্রতিদিন/ ওয়াসিফ

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর