শিরোনাম
১৯ মার্চ, ২০২২ ১৭:০৪

পাকিস্তানে নানা আয়োজনে বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী উদযাপন

অনলাইন ডেস্ক

পাকিস্তানে নানা আয়োজনে বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী উদযাপন

পাকিস্তানের ইসলামাবাদস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০২তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস নানা আয়োজনে উদযাপন করেছে। হাইকমিশনের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারী ও তাদের পরিবারবর্গ এবং শিশু-কিশোররা এ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে। এ উপলক্ষে দূতালয় প্রাঙ্গণ বর্ণাঢ্য ব্যানার, পোস্টার ও রঙিন বেলুনে সুসজ্জিত করা হয়। 

সকালে হাইকমিশনের সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের উপস্থিতিতে পাকিস্তানে নিযুক্ত হাইকমিশনার মো. রুহুল আলম সিদ্দিকী দূতালয় প্রাঙ্গণে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে দিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালার সূচনা করেন। পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে আলোচনা পর্ব শুরু হয়। দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী প্রদত্ত বাণী পাঠ করা হয়।

হাইকমিশনার তার স্বাগত বক্তব্যে স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন এবং জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে শিশু-কিশোরদের আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান। হাইকমিশনার বলেন, বঙ্গবন্ধু শৈশব থেকেই ছিলেন নির্ভীক, দয়ালু এবং পরোপকারী কিন্তু অধিকার আদায়ে ছিলেন আপোসহীন। জীবনের প্রতিটি ক্ষণে অন্যায়-অবিচার ও শোষণ-নির্যাতনের বিরুদ্ধে তিনি প্রতিবাদ করেছেন। তিনি বাঙালির অধিকার আদায়ের প্রশ্নে কখনো শাসকগোষ্ঠীর সাথে আপোস করেননি।

বিকালের অনুষ্ঠানের শুরুতে হাইকমিশনার সকল শিশু-কিশোরদের নিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুস্পস্তবক অর্পণ করে জাতির পিতার প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। পুস্পস্তবক অর্পণ শেষে হাইকমিশনার শিশুদের সাথে নিয়ে বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনের কেক কাটেন।

এ উপলক্ষে ‘বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ’  বিষয়ে রচনা ও চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। রচনা  ও চিত্রাংকন প্রতিযোগিতায় ২৫ জনের অধিক শিশু-কিশোর অংশগ্রহণ করে। এ দিবসের অনুষ্ঠানে সবচেয়ে আকর্ষনীয় বিষয় ছিল শিশু-কিশোরদের অংশগ্রহণে জাতির পিতার জীবন ও কর্মের ওপর সংক্ষিপ্ত  আলোচনা। এ আলোচনায়  চারজন শিশু-কিশোর অংশ নেয়। আলোচনা পর্বের পর শিশু-কিশোরদের অংশগ্রহণে বিভিন্ন ইভেন্টে ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও  সংক্ষিপ্ত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়। 

সবশেষে জাতির পিতার আত্মার মাগফেরাত এবং বাংলাদেশের সমৃদ্ধি, অগ্রগতি ও কল্যাণ কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। অনুষ্ঠানের শেষ পর্যায়ে সকল শিশু-কিশোর ও প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে আকর্ষণীয় পুরস্কার বিতরণ করা হয় এবং এক নৈশভোজের আয়োজন করা হয়। 

বিডি প্রতিদিন/হিমেল

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর