যথাযোগ্য মর্যাদায় ও ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে মালদ্বীপে বাংলাদেশ হাইকমিশন ৫১তম মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন করেছে। দিবসটি উপলক্ষে শনিবার (২৬ মার্চ) সকালে হাইকমিশনের সামনে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে দিনের কর্মসূচির শুভ সূচনা করা হয়।

সান্ধ্যকালীন আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় রাজধানী মালের বিদ্যুৎ বিভাগের অডিটোরিয়ামে। আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের হাইকমিশনার রিয়ার অ্যাডমিরাল এস এম আবুল কালাম আজাদ। 

দূতাবাসের প্রথম সচিব ও হেড অব চ্যান্সেরি তার স্বাগত বক্তব্য দেন। প্রবাসীদের পক্ষ থেকে বক্তব্য দেন সি আই পি মো. সোহেল রানা, প্রবাসী ডাক্তার মোক্তার আলী লস্কর।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ হাইকমিশনার রিয়ার অ্যাডমিরাল এস এম আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবদান, অকুতোভয় মুক্তিযোদ্ধাদের অর্জন, ৩০ লাখ শহীদ ও দুই লাখ নারীর সম্ভ্রম আত্মত্যাগের  বিনিময় অর্জিত আমাদের স্বাধীনতা।’

মহান ভাষা আন্দোলন হতে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর শেখ মুজিবুর রহমানের অপরিসীম ভূমিকার কথা শ্রদ্ধার্ঘ্য চিত্তে স্মরণ করেন তিনি। সেইসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিভিন্ন উন্নয়ন পরিকল্পনা ও দেশের ক্রমবর্ধমান অগ্রগতি ও সমৃদ্ধিতে তার ভূমিকার কথা তুলে ধরেন তিনি। দেশের ভাবমূর্তি সমুন্নত রাখার লক্ষ্যে নিজ নিজ অবস্থান থেকে প্রবাসী বাংলাদেশিদের দলমত নির্বিশেষে ঐক্যবদ্ধভাবে অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নে স্বার্থে কাজ করার জন্য প্রবাসীদের প্রতি তিনি আহ্বান জানান।

অনুষ্ঠানে বিশিষ্ট প্রবাসী বাংলাদেশি ব্যবসায়ী, চিকিৎসক, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ এবং বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার বিপুল সংখ্যক প্রবাসী বাংলাদেশি   উপস্থিত ছিলেন। শেষ পর্যায়ে জাতীয়  দিবস উপলক্ষে একটি কেক কাটা হয়। নীল দরিয়া শিল্পগোষ্ঠী মনোজ্ঞ দেশাত্মবোধক সংগীত পরিবেশন করে। নৈশ্যভোজের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের পরিসমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।

বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ আহমেদ