বৃটিশ কারি অ্যাওয়ার্ডস’র প্রবর্তক বাংলাদেশি এনাম আলী মারা গেছেন । রবিবার (১৭ জুলাই) স্থানীয় সময় ভোর ৩টায় যুক্তরাজ্যের একটি হাসপাতালে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না-লিল্লাহি রাজিউন। একজন প্রভাবশালী বৃটিশ বাংলাদেসি ছিলেন এনাম আলী।
মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬২ বছর। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী সকিনা আলী, এক মেয়ে জাষ্টিন আলী, দুই ছেলে জেফ্রি আলী ও জায়েদ আলীসহ চার ভাই , তিন বোন অসংখ্য আত্মীয় স্বজন ও গুনগ্রাহী রেখে গেছেন। দুরারোগ্য রোগে আক্রান্ত হয়ে গত দুই সপ্তাহ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার পর তিনি মারা যান।
বৃটেনে কারি রেস্টুরেন্ট ব্যবসায় সফল হওয়া অনেক বাংলাদেশিদের মধ্যে অন্যতম এনাম আলী। বৃটেনে কারি জগতের সবচেয়ে সম্মানজনক পুরস্কার ‘বৃটিশ কারি এওয়ার্ডস’ প্রতিষ্ঠা করেন তিনি। এই অ্যাওয়ার্ডসকে অনেকেই কারি জগতের ‘অস্কার‘ বলে থাকেন। শুধু কারি রেস্টুরেন্ট না, এনাম আলী প্রকাশনায় নিজেকে সম্পৃক্ত করেছিলেন। প্রকাশ করছেন ‘স্পাইস বিজনেস‘ নামে একটি সাময়িকী।এনাম আলী প্রথমে বৃটেনে আসেন পড়াশোনা করতে ১৯৭৫ সালে। তার বিষয় ছিলো হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট। ব্রিটিশ কারি অ্যাওয়ার্ডস’র প্রবর্তক এনাম আলী ব্রিটেনের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন, থেরেসা মে এবং বরিস জনসনের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ ও বৃটেনের মূলধারায় একজন প্রভাব বিস্তারকারী ব্যক্তিত্ব ছিলেন। বিভিন্ন সময় বিবিসি, চানেল ফোর, সিএনএন, আল-জাজিরাসহ আন্তর্জাতিক মিডিয়ায় তার অভিমত কারি ইন্ডাস্ট্রির পক্ষে খুবই অর্থবহ এবং সময়ের দাবি পূরণে সহায়ক হয়েছে।
এনাম আলী এমবিই বৃটেনের সাবেক প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ার সরকারের হসপিটালিটি এডভাইজারি কমিটির সদস্য হিসেবে ৫ বছর সার্ভিস প্রদান করেছেন। সাবেক প্রধানমন্ত্রী গর্ডন ব্রাউনের সময়কাল পর্যন্ত তা অব্যাহত ছিল। এ সময় কারি ইন্ডাস্ট্রি সংশ্লিষ্ট ইমিগ্রেশন নীতিমালা ফেয়ার থাকার ব্যাপারে তিনি সর্বাত্বক ভূমিকা রেখেছেন। তার প্রস্তাব নিয়ে হাউজ অব কমন্সে জমজমাট বিতর্ক হয়েছে। সাম্প্রতিক বিন্দালূ ভিসা চালুর প্রক্রিয়ায়ও তার সরব ভূমিকা অব্যাহত ছিলো।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ