৫ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ১১:২৭

কাতারে রেমিটেন্স প্রবাহ বৃদ্ধির কৌশল নির্ধারণ শীর্ষক কর্মশালা অনুষ্ঠিত

আমিন ব্যাপারী, কাতার

কাতারে রেমিটেন্স প্রবাহ বৃদ্ধির কৌশল নির্ধারণ শীর্ষক কর্মশালা অনুষ্ঠিত

কাতারে বাংলাদেশ দূতাবাসের উদ্যোগে রেমিটেন্স প্রবাহ বৃদ্ধির কৌশল নির্ধারণ শীর্ষক একটি কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। অনুষ্ঠানের সভাপতি  ছিলেন কাতারে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. জসীম উদ্দিন। শুরুতে দূতাবাসের প্রথম সচিব মাহাদী হাসান অনুষ্ঠানটির উদ্দেশ্য ও গুরুত্ব বিশ্লেষণ করে প্রাসঙ্গিক বিষয়াদি ব্যাখ্যা করেন।

“জাতীয় উন্নয়ন ও রেমিটেন্স প্রবাহ বৃদ্ধির উপায় অন্বেষণ, প্রেক্ষিত কাতার” শীর্ষক মূল প্রেজেন্টেশন প্রদান করেন দূতাবাসের মিনিস্টার (শ্রম) ড. মো. মুস্তাফিজুর রহমান। তার আলোচনার বিষয়বস্তু ছিল রেমিটেন্স প্রবাহ বৃদ্ধির ক্ষেত্রে কাঠামো, আইন ও কার্যগত প্রতিবন্ধকতাসমূহ, অপ্রাতিষ্ঠানিক চ্যানেল নিয়ন্ত্রণের উপায় এবং রেমিটেন্স প্রবাহ বৃদ্ধির বিভিন্ন বিষয়।   

উন্মুক্ত আলোচনায় অংশ নেন বাংলাদেশ কমিউনিটির নেতৃবৃন্দ, ব্যাংকিং, নন-ব্যাংকিং ফিনান্সিয়াল সেক্টর ও এক্সেঞ্জ হাউজের প্রতিনিধিবৃন্দ এবং কাতারের বিভিন্ন এলাকা হতে আগত স্টেকহোল্ডারগণ।

আলোচকগণ কাতার হতে বাংলাদেশে রেমিটেন্স প্রেরণে বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতা তুলে ধরেন। বৈধপথে রেমিটেন্স প্রেরণে ভোগান্তি ও বাধাসমূহ দূরীকরণ সম্ভব হলে রেমিটেন্স প্রবাহ বৃদ্ধি পাবে বলে তারা জানান। হুন্ডি ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা এবং ওয়েজ আর্নার্স বন্ডে বিনিয়োগে বিধি নিষেধ শিথিল করার জন্যও তারা আহবান জানান। এছাড়া এ আলোচনায় রেমিটেন্স প্রেরণে প্রতিবন্ধকতা দূরীকরণ ও প্রবাহ বৃদ্ধিতে মতামত উঠে আসে।  

রাষ্ট্রদূত মো. জসীম উদ্দিন বলেন, গত এক দশক ধরে জিডিপি প্রবৃদ্ধিসহ সকল ক্ষেত্রে বাংলাদেশ সঠিক পথেই এগিয়ে যাচ্ছে। সাম্প্রতিক সময়ে কোভিড মহামারি ও যুদ্ধ বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বের অর্থনীতিকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। বহুমাত্রিক অর্থনীতির বাংলাদেশ সবসময় সংকট কাটিয়ে এসেছে গেছে।

প্রবাসীদের কষ্টার্জিত আয় বাংলাদেশের অর্থনীতির অন্যতম চালিকা শক্তি হিসেবে আখ্যায়িত করে তিনি সকলকে বৈধ পথে রেমিটেন্স প্রেরণে আহবান জানান। তিনি বলেন, প্রবাসীদের বৈধ চ্যানেলে রেমিটেন্স প্রেরণে যারা নিরুৎসাহিত করেন, যারা হুন্ডি ব্যবসার সাথে জড়িত, তারা কখনোই দেশের বন্ধু হতে পারে না।

তাদেরকে সামাজিকভাবে প্রতিরোধের জন্য আহবান জানিয়ে তিনি বলেন, প্রয়োজনে দূতাবাস এ বিষয়ে কঠোর ভূমিকা গ্রহণ করবে। বিভিন্ন সংগঠনের সদস্য, সাংবাদিক, সিআইপি, রেমিটেন্স সম্মাননাপ্রাপ্ত, বাংলাদেশি কোম্পানি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বশীল ব্যক্তিবর্গসহ সকলকে তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিভিন্ন প্লাটফর্মে বৈধপথে অর্থ প্রেরণের বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টির জন্য আহবান জানান। 

বিডি প্রতিদিন/ফারজানা

এই রকম আরও টপিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর