৮ অক্টোবর, ২০২২ ১৩:০৯

ফের চাঙ্গা গ্রিসের পর্যটন খাত

অ্যাক্রোপলিসে প্রতিদিন ১৬ হাজার পর্যটকের সমাগম

মতিউর রহমান মুন্না, গ্রিস

ফের চাঙ্গা গ্রিসের পর্যটন খাত

করোনা মহামারির পর এবার ফের চাঙ্গা হয়ে উঠেছে গ্রিসের পর্যটন খাত। এবারও বিশ্বের ‘সবচেয়ে সুন্দর শহর’ হিসেবে শীর্ষ ১০ তালিকায় উঠে এসেছে এথেন্সের নাম। ‘ওয়ার্ল্ড অফ স্ট্যাটিস্টিকস’ গ্রিক রাজধানীকে বিশ্বের সবচেয়ে সুন্দর দশটি শহরের মধ্যে স্থান দিয়েছে। আর এথেন্সের মধ্যে সবচেয়ে বেশি পর্যটনের আনাগোনা থাকে অ্যাক্রোপলিসে। অ্যাক্রোপলিস বিশ্বের সবচেয়ে বিখ্যাত প্রাচীন প্রত্নতাত্ত্বিক স্থানগুলোর মধ্যে একটি।

গ্রিসের এথেন্সের উপরে একটি চুনাপাথরের পাহাড়ের উপরে অবস্থিত অ্যাক্রোপলিস প্রাগৈতিহাসিক কাল থেকেই রয়েছে। শতাব্দী ধরে অ্যাক্রোপলিসে ঐতিহ্যবাহী অনেক কিছু ছিল। এর মধ্যে রাজাদের বাড়ি, দুর্গ, দেবতাদের একটি পৌরাণিক বাড়ি ও ধর্মীয় কেন্দ্রসহ অনেক কিছুই ছিল। এগুলোই বর্তমানে পর্যটকদের মূল আকর্ষণ। এটি বোমাবর্ষণ, বিশাল ভূমিকম্প এবং ভাঙচুর প্রতিরোধ করেছে। তবুও এখনো গ্রিসের সমৃদ্ধ ইতিহাসের স্মারক হিসেবে দাঁড়িয়ে আছে।

গ্রিক পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সাম্প্রতিক ঘোষণা অনুসারে এ বছর প্রতিদিন ১৬ হাজারেরও বেশি পর্যটক এথেন্সের অ্যাক্রোপলিসে পরিদর্শন করেছেন। গেটের প্রবেশ টিকিট বিক্রয় হিসাব করা হয়েছে।

গত মার্চ মাস থেকে প্রতিদিন ১৬ হাজারেরও বেশি পর্যটক অ্যাক্রোপলিসে ঘুরে দেখেন। করোনা মহামারি কাটিয়ে দীর্ঘ দুই বছর পর ফের চাঙ্গা হয়েছে গ্রিসের পর্যটন খাত। বিধিনিষেধ না থাকায় অ্যাক্রোপলিস ছাড়াও গ্রিসের বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্র পর্যটকদের পদচারণায় মুখর। তবে শীত শুরু হওয়ায় পর্যটকদের সংখ্যা কমতে শুরু করবে।

অ্যাক্রোপলিস কি?

‘অ্যাক্রোপলিস’ শব্দের অর্থ গ্রিক ভাষায় ‘উচ্চ শহর’। গ্রিসের সবচেয়ে উঁচু ভূমিতে পাথুরে নির্মিত অনেক প্রাকৃতিক দুর্গের একটি এথেন্সের অ্যাক্রোপলিস।

অ্যাক্রোপলিসের বয়স কত?

অ্যাক্রোপলিসের সমতল শীর্ষটি ব্রোঞ্জ যুগ থেকে শুরু হওয়া হাজার হাজার বছরের নির্মাণের ফলাফল। ব্রোঞ্জ যুগের শেষের দিকে মাইসেনিয়ানরা এটি চাষ করার আগে অ্যাক্রোপলিসে কী ঘটেছিল তার কোনো নথিভুক্ত ইতিহাস নেই। ঐতিহাসিকরা বিশ্বাস করেন যে মাইসেনিয়ানরা স্থানীয় শাসক এবং তার পরিবারে থাকার জন্য অ্যাক্রোপলিসের উপরে একটি বিশাল প্রাচীর (প্রায় ১৫ ফুট পুরু এবং ২০ ফুট উঁচু) দ্বারা বেষ্টিত একটি বিশাল যৌগ তৈরি করেছিল।

বহু বছর পরে এথেনিয়ানরা খ্রিস্টপূর্ব ষষ্ঠ শতাব্দীতে দেবী এথেনার সম্মানে পাহাড়ের উত্তর-পূর্ব দিকে চুনাপাথর দিয়ে তৈরি একটি ডোরিক মন্দির তৈরি করে, যা ব্লুবিয়ার্ড মন্দির নামে পরিচিত। এথেনাকে উৎসর্গ করা আরেকটি মন্দিরও একই শতাব্দীতে নির্মিত হয়েছিল, যেমনটি ছিল গ্রিক পুরানো গর্ভবতী মায়েদের দেবী আর্টেমিস ব্রাউরোনিয়ার মন্দির ।

বিডি প্রতিদিন/এমআই

এই রকম আরও টপিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর