শিরোনাম
৮ মার্চ, ২০২৩ ১৩:১১

যথাযোগ্য মর্যাদায় টোকিও বাংলাদেশ দূতাবাসে ঐতিহাসিক ৭ মার্চ পালন

অনলাইন ডেস্ক

যথাযোগ্য মর্যাদায় টোকিও বাংলাদেশ দূতাবাসে   ঐতিহাসিক ৭ মার্চ পালন

যথাযোগ্য মর্যাদায় টোকিও বাংলাদেশ দূতাবাসে ঐতিহাসিক ৭ মার্চ পালন

যথাযোগ্য মর্যাদায় জাপানের রাজধানী টোকিওতে মঙ্গলবার বাংলাদেশ দূতাবাস কর্তৃক ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উদযাপিত হয়েছে।

সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙাণি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ভাষণ প্রদানের স্মৃতি বিজড়িত ৭ মার্চ স্মরণে দূতাবাস প্রাঙ্গনে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানের শুরু হয় সকালে বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর মাধ্যমে। 

প্রবাসী বাংলাদেশি ও দূতাবাসের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীর উপস্থিতিতে জাপানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত শাহাবুদ্দিন আহমদ বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। পরে রাষ্ট্রদূত জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনের সাথে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। 

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, তার পরিবারের শহীদ সদস্যগণসহ বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে আত্মোৎসর্গকারী সকল শহীদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। 

অনুষ্ঠানের দ্বিতীয়াংশে বঙ্গবন্ধুসহ তার পরিবারের সদস্য এবং মুক্তিযুদ্ধের সকল শহিদের আত্মার মাগফিরাত এবং প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে দেশের শান্তি, উন্নয়ন ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। পরে দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী প্রদত্ত বাণী পাঠ করা হয়।

রাষ্ট্রদূত শাহাবুদ্দিন আহমদ তার স্বাগত বক্তব্যে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান । ৭ মার্চের তাৎপর্য তুলে ধরে তিনি বলেন, ৭ মার্চ আমাদের জাতির ইতিহাসে একটি অনন্য গুরুত্বপূর্ণ দিন, যখন বঙ্গবন্ধুর বজ্রকণ্ঠের এই উদাত্ত ভাষণ সমগ্র দেশবাসীকে স্বাধীনতা ও মুক্তির জন্য একীভূত করেছিল। 

রাষ্ট্রদূত বলেন, ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ বাঙ্গালি জাতির মুক্তির কাণ্ডারী ও রাজনীতির মহাকবি বঙ্গবন্ধু রেসকোর্স ময়দানে স্বাধীনতার জন্য উম্মুখ বাংলাদেশের লাখো জনতাকে শুনিয়েছিলেন মুক্তির বাণী, প্রদান করেছিলেন মুক্তি সংগ্রামের সুস্পষ্ট নির্দেশনা। বঙ্গবন্ধুর সেই ভাষণ ছিল জনগণের প্রতি হৃদয় নিংড়ানো ভালোবাসা আর অকৃত্রিম দেশপ্রেমের স্বতঃস্ফুর্ত বহিঃপ্রকাশ। 

রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, ৭ মার্চের ভাষণ থেকে  অনুপ্রাণীত হয়েই মুক্তি পাগল জনতা দেশ স্বাধীনের প্রস্তুতি নিয়েছিল এবং ২৫ মার্চের কালো রাতে নিরস্ত্র বাঙালিদের উপর পাক হানাদার বাহিনীর হামলার পর দেশের আপামর জনগণ সশস্ত্র যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে ও দীর্ঘ নয় মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীকে পরাজিত করে চূড়ান্ত বিজয় অর্জন করে।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর অমূল্য সেই ভাষণ আজ UNESCO-কর্তৃক ২০১৭ সালে ‘World’s Documentary Heritage’ হিসেবে “Memory of the World Register” এর অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর জীবন-সংগ্রামের ইতিহাস জাপানী বন্ধু এবং নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরার জন্য প্রবাসী বাংলাদেশিদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

পরে উম্মুক্ত আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন উল্লেখযোগ্য সংখ্যক জাপান প্রবাসী বাংলাদেশ কমিউনিটির সদস্য। বক্তারা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের “সোনার বাংলা” এবং ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উন্নত রাষ্ট্র হিসেবে গড়ার লক্ষ্যে যার যার অবস্থান থেকে কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণের ওপর তথ্যচিত্র প্রদর্শনের মাধ্যমে অনুষ্ঠান সমাপ্ত হয়। 

বিডি প্রতিদিন/কালাম

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর